<p>রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় গত ৪ আগস্ট বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয় শিক্ষার্থী তাহসিন হোসেন নাহিয়ান। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। দেড় মাস কেটে গেলেও নাহিয়ানের সুস্থতা এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি চিকিৎসক। এ নিয়ে শঙ্কায় তার বাবা মো. নীরব হোসেন।</p> <p>গতকাল শুক্রবার মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে নীরব হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে প্রাণে বেঁচে গেলেও তার জটিলতাগুলো গুরুতর। মেরুদণ্ডে গুলির আঘাতে কোমরের নিচ থেকে অবশ, দাঁড়াতে পারে না। বসতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করে বলতে পারে না, ক্যাথিটার দিয়ে কোনো রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হবে কি না—এ প্রশ্নে চিকিৎসকদের বক্তব্য হলো, সময় লাগবে। তবে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন তাঁরা।’</p> <p>ছেলে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবে কি না, তার ভবিষ্যৎ কী হবে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে কি না—সে চিন্তায় ঘুম আসে না বলে জানান নীরব হোসেন।</p> <p>পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসিন হোসেন নাহিয়ান। মা-বাবার সঙ্গে থাকত মোহাম্মদপুরে। বিদ্যালয় বন্ধ, সেই সঙ্গে মা-বাবার নিষেধ থাকায় কাউকে কিছু না বলেই ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হয়ে যায় নাহিয়ান। এলাকার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার’ মিছিলে এসে একত্র হয়। মিছিল শুরুর আগে সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয় নাহিয়ান।</p> <p>ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর কিভাবে জানতে পেরেছিলেন, সেই বর্ণনা দিয়ে নীরব হোসেন বলেন, ‘সেদিন ছিল রবিবার। সকাল থেকে চারদিকে সংঘাত-সহিংসতা চলছিল। সকালে ছেলেকে বললাম, বাবা বাইরে যাস না; কিন্তু কোন ফাঁক দিয়া বাসা থেইকা বাইর হয়ে গেছে বলতে পারব না। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে হাসপাতাল থেকে আসা ফোনে খবর পাই ছেলে গুলিবিদ্ধ। গিয়ে দেখি, কোমরের পেছন দিকে গুলি লেগেছে। শরীরজুড়ে রক্তের দাগ। এর পর থেকে সে শয্যাশায়ী।</p> <p> </p>