<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফেনীতে সাম্প্রতিককালের ভয়াবহতম বন্যায় ত্রাণ নিয়ে ছুটে গিয়েছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাবিক অটোমেশন দল। কিন্তু দুর্গম কিছু জায়গায় পানির প্রবল স্রোতের কারণে বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছাতে পারছিলেন না তারা। এ সময় রোবটের সাহায্য নিয়ে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছে দিতে সক্ষম হন তারা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে ফোর্বসের তালিকা করা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০০ সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের মধ্যে এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা রোবটিকসকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চায়। বিগত বছরগুলোয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। সমুদ্রের তলদেশ থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা, সব জায়গায় নিজেদের প্রাধান্য নিয়ে হাজির হয়েছে মানুষ। আর এই অগ্রযাত্রায় মানুষের সহযোগী হয়েছে রোবটিকসের মতো সময়োপযোগী ধারণা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশেও বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে, এই বিষয়ে অবদান রাখার মতো নানান সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে উদ্যমী একটি অংশ এই অর্জনকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার্থীরা রোবটিকস অলিম্পিয়াডের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে নিয়ে আসছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবর্তিত বাস্তবতায় এটি বলা যায় যে রোবটিকসের মতো বিষয় জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো বেশি আগ্রহী হওয়ার সুযোগ তৈরি হতো। বর্তমানে দেশে শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। আর রোবটিকসের মতো আধুনিক ও যুগোপযোগী বিষয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার এখনই যথার্থ সময়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রোবটিকস চালু করতে চাইলে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারিকুলামে এটিকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্থান দিতে হবে। যেকোনো শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে শৈশবই সবচেয়ে যথার্থ সময়। ফলে মূলত প্রাথমিক স্কুল থেকেই শিশুদের রোবটিকস ও প্রগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়া প্রয়োজন। তবে প্রশ্ন থাকে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কি আসলেই রোবটিকসের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব? এ ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে, এমন অভিমত দিয়েছেন শিক্ষা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শিক্ষাক্রমে রোবটিকস অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রোবটিকসের শিক্ষক ধীরাজ ডাবি। তিনি বলেন, প্রথমেই রোবটিকস শিক্ষাদানের উপযোগী শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। এরপর রোবটিকস শেখানোর মতো অবকাঠামো তৈরি করে শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি ও এর প্রয়োগের সঙ্গে পরিচিত করাতে হবে। প্রয়োজনে গ্লেনরিচের মতো স্কুল যারা এরই মধ্যে স্টেমরোবো প্রগ্রামের মাধ্যমে শিশুদের উপযোগী রোবটিকস পাঠদান শুরু করেছে, তাদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল বলেন, রোবটিকস শেখানোর মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে নেই। তাই কারিকুলামে বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে ও তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি</span></span></span></span></p>