<p>টোল আদায়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (উড়ালপথ) আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সাড়ে ১৩ মাস আগে তৎকালীন সরকারের আমলে তড়িঘড়ি করে এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হলেও নির্মাণ কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় দীর্ঘদিন যান চলাচল করতে পারেনি। গতকাল শুক্রবার টোল আদায়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এটি বন্দর নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। </p> <p>গতকাল শুক্রবার সকালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এর আগে নবনির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নামফলক উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রথম নিহত চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম আকরামের স্মরণে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক’।</p> <p>উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি। যেন সারা দেশের মানুষ ও আগামী প্রজন্ম তাঁদের অবদানের কথা জানতে পারে, স্মরণ করতে পারে। চট্টগ্রামে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম শাহাদাতবরণ করেছিলেন যিনি, সেই ওয়াসিম আকরামের নামে এই উড়াল সেতু। আমরা সারা দেশে যাঁরা এই জুলাই অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি।’</p> <p>এদিকে উদ্বোধনের পর চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম টোল দিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর সিডিএ চেয়ারম্যান মো. নুরুল করিমও টোল দিয়ে পার হন। এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিয়ে ১০ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।</p> <p>নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>