<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন লুঙ্গি আর ফতোয়ায় হাঁটছিলেন ষাটোর্ধ্ব মো. সেলিম মিয়া। বেশ মনমরা। হাঁটছেন ধীরগতিতে। ফোন কল রিসিভ করার পর চেহারাটা আরো মলিন হয়ে যায়। আলাপচারিতায় বোঝা যাচ্ছিল কোনো স্বজনকে তিনি বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুস্তা কি আর আছে। আর আনুমই বা কেমনে। পানিত ত অহন অ কুছু রইছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্যার পানিতে দুটি ঘর ভেসে গেছে রাজমিস্ত্রি সেলিম মিয়ার। কথা হলে বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি যাতে না আয়ে আমরা কজন মিল্লা কাম করতে আছলাম। আতকা রাস্তা ভাইঙ্গ্যা পানি ডুহা শুরু করছে। দৌড়াইয়া বাড়িত গিয়া হগলরে লয়া বাইর অইছি। জানডা কোনো রহম বাঁচাইছি। নতুন যে কাপড় দেকতাছেন এডা আমার এক আত্মীয় আয়া দিয়া গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে গত ২১ আগস্ট বন্যার পানিতে সেলিম মিয়া ও তাঁর ভাই আব্দুর রউফের মোট তিনটি ঘর ভেসে গেছে। বর্তমানে পাশের বাড়িতে অবস্থান করছেন তাঁরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের জায়গায় এখন বড় গর্ত ও সামান্য পানি জমা। কিছু টিন এবড়োখেবড়োভাবে পড়ে আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আখাউড়ায় তিন দিন ধরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বেশিরভাগ লোক ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। অনেকে ত্রাণের আশায় বসে আছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রহিমপুর, রাজেন্দ্রপুর, খলাপাড়া, আইড়ল, ইটনা, কর্নেল বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সর্বত্রই বন্যার ক্ষত। পানি বেশিরভাগ শুকিয়ে গেলেও বন্যার্তরা এখন নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে ব্যস্ত। এর মধ্যে আইড়লে দেখা গেল ভেঙে যাওয়া সড়ক পারাপারে বাঁশের সাঁকো তৈরি করছে স্থানীয় লোকজন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাদের বাড়িঘর ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। তালিকা পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>