<p>সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় গণহারে পুকুর খনন করে সরকারি পাকা রাস্তা পাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রাস্তা ধসে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। এ ছাড়া এসব স্থানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় সরকারের ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।</p> <p>স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ  উপজেলায় অভ্যন্তরীণ কাঁচাপাকা মিলে মোট রাস্তা রয়েছে ৬৮০ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা রাস্তা রয়েছে ৩৯২ কিলোমিটার, পাকা রাস্তা ২৩৯ কিলোমিটার, ব্রিক সোলিং ২৪ কিলোমিটার ও আরসিসি ২১ কিলোমিটার।</p> <p>উল্লিখিত রাস্তার পাশে নির্বিচারে পুকুর খনন করে পুকুরের মালিকরা রাস্তাকেই পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করছেন। যার ফলে অতিরিক্ত মাল বোঝাই গাড়ি চলাচল, বৃষ্টি বা বর্ষার পানির চাপে রাস্তা ধসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব পুকুরের পাড় ধ্বসের কারণে পাকা রাস্তা রক্ষা করতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তাদের নতুন পরিকল্পনায় গাইড ওয়াল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে সরকারের অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। অথচ রাস্তা পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার বেআইনি হিসেবে প্রশাসন তৎপর হলে সরকারের অতিরিক্ত এ আর্থিক ক্ষতি হতো না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চৌদ্দগ্রামে লরিচাপায় নিহত ২" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/20/1726831638-da9ca8088150e71ab2dc1ab576cb6d9d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চৌদ্দগ্রামে লরিচাপায় নিহত ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/20/1427237" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সম্প্রতি তাড়াশ-কাউরাইল, খুঁটিগাছা-নওগাঁ বাজার, তাড়াশ-বারুহাস ও বিনোদপুর-বস্তুল রাস্তায় গিয়ে অসংখ্য ভাঙনের চিত্র দেখা যায়।</p> <p>এ প্রসঙ্গে কুসুম্বী গ্রামের দুলাল হোসেন, নওগাঁ বাজারের আমিরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা পাকা হয়, ভেঙে আবার তা পুকুরে ধসে যায়। জনগণের কষ্ট কমে না। এ বিষয়ে পুকুরের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নিলে এ সমস্যার শেষ হবে না।</p> <p>তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ঘটনার সতত্যা স্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার জনগণ সচেতন না হলে তাদের তেমন কিছু করার নেই। তবে টেকসই রাস্তা নির্মাণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা আমরা যাচাই করে দেখছি।’</p> <p>তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মি. সুইচিং মং মারমা বলেন, মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বেশ কিছু পুকুর মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।</p>