<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে নতুন মোড় নিয়েছে। রহস্য উদঘাটনে বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ লালবাগ বিভাগের সাবেক উপকমিশনার মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত ৮ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত সুপার আজিজুল হক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তাধীন সময় জিয়াউল র‌্যাবের এডিজি (অপারেশন) ও মশিউর ডিসি (লালবাগ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনো জিয়াউল ও মশিউরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে শিগগিরই তাঁদের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে পিবিআইপ্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>