<p>হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গ্রামীণ জনপদ আলোকিত করতে ৫০০টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়। তখন স্ট্রিট লাইট স্থাপনে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া স্ট্রিট লাইট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইটকল তাদের দায়িত্বে অবহেলা করে। ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই অর্ধেকের বেশি স্ট্রিট লাইট নষ্ট হয়ে যায়। চুরি হয়ে যাচ্ছে স্টিলের খুঁটি, ব্যাটারি, সোলার প্যানেলসহ দামি যন্ত্রপাতি।</p> <p>চুনারুঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার  কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের আওতায় চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫০০ সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি সোলার স্ট্রিট লাইট বসানো বাবদ সরকারের খরচ হয় ৫৬ হাজার টাকা। মোট খরচ হয়েছে দুই কোটি ৮০ হাজার টাকা।</p> <p>উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) নুর মামুন বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। আমি আসার আগেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। সোলার প্যানেলের ওপর ধুলাবালি পড়াসহ ছায়াযুক্ত স্থানে বেশির ভাগ লাইট স্থাপন করায় ব্যাটারিতে পর্যাপ্ত চার্জ না হওয়ায় অনেক স্ট্রিট লাইট নষ্ট হয়েছে। সরকারিভাবে কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকায় নষ্ট হওয়া লাইট মেরামত করা যাচ্ছে না।’</p> <p>চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হচ্ছে। শিগগির মেরামতের কাজ হবে।’</p> <p> </p>