<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে আলু সংরক্ষণের খরচ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হিমাগার মালিকরা। আলু সংরক্ষণের জন্য ভাড়া প্রতি কেজিতে এক টাকা বাড়িয়ে আট টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা আলু হিমাগারে সংরক্ষণে ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। এবার তা কেজিতে এক টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০০ টাকা। বিদ্যুতের দাম না বাড়ার পরও প্রতি কেজি আলুতে সংরক্ষণ চার্জ এক টাকা বাড়ানোকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বগুড়া জেলা কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের দাবি, শ্রমিক ও বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালাই উপজেলার পুনট কোল্ড স্টোরেজের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলমান পরিস্থিতিতে সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমাগার মালিকদের সভায় চলতি বছরে প্রতি কেজি আলুর ভাড়া এক টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে শুনেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এই মৌসুমে ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ আলু জেলার ১৯টি হিমাগারে সংরক্ষণ করা হবে। দুই লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু রাখেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলু ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, হিমাগার মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং সাধারণ কৃষক ও ভোক্তাদের প্রতি অন্যায়। তাঁরা গত বছরও জোটবদ্ধ হয়ে ভাড়া বাড়িয়েছেন, এবারও একই কাজ করছেন। বিদ্যুতের দাম বাড়েনি, তবুও খরচ বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, হিমাগারের ভাড়া বাড়ার কারণে ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে আলুর দাম বাড়াবেন। বিদ্যুতের দাম বাড়েনি, তার পরও এই খরচ বৃদ্ধি অযৌক্তিক।</span></span></span></span></span></p>