২৯ বছর পর ঘরের মাঠে আইসিসির কোনো ইভেন্ট আয়োজন করে উল্টো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো ব্যয় হয় আয়োজকদের। কিন্তু আয়োজক স্বত্ব, টিকিট বিক্রি ও পৃষ্ঠপোষক থেকে পাওয়া অর্থ মিলিয়ে মাত্র ছয় মিলিয়ন ডলার পেয়েছে তারা। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৫ শতাংশ।
শুরুতে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের ভাবনা ছিল পিসিবির। পরে ভারত সে দেশে গিয়ে খেলতে রাজি না হওয়ায় এমন ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। রোহিত শর্মারা ফাইনাল খেলায় আসরের ১৫টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি হয় দুবাইয়ে। পাকিস্তানে হওয়া ১০ ম্যাচের তিনটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
যেখানে দুই ম্যাচে টস পর্যন্ত হয়নি। বাবর আজমরা ঘরের মাঠে খেলতে পারেন মাত্র একটি ম্যাচ।
একে তো ব্যর্থ পাকিস্তান, ৮ দলের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি দলটি, ৭ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে। তার ওপর আয়োজক হয়েও ঘরের মাঠে বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি বাবরা।
এ কারণে মূলত বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে।
এর প্রভাব পড়েছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ওপর। দেশটিতে চলমান জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি বোর্ডের ক্ষতির দায় খেলোয়াড়দের ওপরে চাপাতে চাচ্ছেন না। পিসিবির ম্যাচ ফি কমানোর সিদ্ধান্ত বোর্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বিভাগকে পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
টেলিগ্রাফ