ক্রীড়া প্রতিবেদক : ব্যাটে-বলে মনে রাখার মতো একটা দিনই কাটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুপস্থিতির পরও শাইনপুকুরকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। বল হাতে ২ উইকেটের পর ওপেনিংয়ে নেমে ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) অষ্টম রাউন্ডে গতকাল অবশ্য সেঞ্চুরি হয়েছে আরো চারটি।
আবাহনীর হয়ে পারভেজ হোসেন, প্রাইম ব্যাংকের দুই ব্যাটার সাব্বির হোসেন-ইরফান শুক্কুর এবং দল হারলেও অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করে মোহামেডানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২২৩ রানে শেষ হয় শাইনপুকুরের ইনিংস। লক্ষ্যটা ৪৬ বল হাতে রেখে তাড়া করে ফেলে মোহামেডান। পাশের মাঠে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে সাব্বির (১০২) ও ইরফানের (১০৭*) জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক ৩ উইকেটে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। লক্ষ্য তাড়ায় ইমরুলের সেঞ্চুরির (১১৬) পরও অগ্রণী ব্যাংক অল আউট হয় ২৮৭ রানে। আরেক ম্যাচে পারভেজের ১২৪ রানের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী।
শাইনপুকুর-মোহামেডান : শাইনপুকুর ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ (রাফসান ৭৭, শরিফুল ৫৭; তাইজুল ৩/৪৪, মিরাজ ২/৩৩)।
মোহামেডান ৪২.২ ওভারে ২২৭ (মিরাজ ১০৩, রনি ৬১; রহিম আহমেদ ২/২২)।
ফল : মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ।
ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাব-আবাহনী : ধানমণ্ডি ৫০ ওভারে ২০১/৯ (ফজলে মাহমুদ ৮৭, জিয়াউর ৫৭; রাকিবুল ৪/১৬, নাহিদ ৪/৪৫)।
আবাহনী ৩৯.২ ওভারে ২০৬/৫ (পারভেজ ১২৪*, মোসাদ্দেক ৫৪; আনামুল হক ৪/৪০)।
ফল : আবাহনী ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : পারভেজ হোসেন ইমন।
প্রাইম ব্যাংক-অগ্রণী ব্যাংক : প্রাইম ব্যাংক ৫০ ওভারে ৩২১/৩ (ইরফান ১০৭*, সাব্বির ১০২,
শাহাদাত ৪৮*; নাঈম ১/৬০)।
অগ্রণী ব্যাংক ৪৭.৩ ওভারে ২৮৭ (ইমরুল ১১৬, সাদমান ৬৮; রিশাদ ৩/৪৮, আরাফাত ৩/৩৯)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৩৪ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ইরফান শুক্কুর।