<p> বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৪ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৪ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য Tourism and Community Development অর্থাৎ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পর্যটন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।<br /> পর্যটনশিল্প এর বহুমাত্রিকতা ও ব্যাপ্তির কারণে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পর্যটনের সাথে এলাকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পর্যটকরা দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের পাশাপাশি এলাকার জীবনযাত্রা, লোকাচার ইত্যাদি বিষয়ে পরিচিত হতে চায়। ফলে পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। তাই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। এবারের প্রতিপাদ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে পর্যটনের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগসহ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।।<br /> বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের বিকাশে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। একই সাথে বিশ্বসভায় দেশের পর্যটনশিল্পকে তুলে ধরতে হবে। স্থানীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে পর্যটনসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাই। আমি বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৪ এর সাফল্য কামনা করি।<br />  </p>