রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নতুন ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং। ৬০ হাজার বর্গফুটের চারতলাবিশিষ্ট স্টোরটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রাফট স্টোর বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আউটলেটটি শুধু ক্রয়কেন্দ্র নয়; এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সৃষ্টিশীলতার প্রতীকও। চারতলা উচ্চতাবিশিষ্ট নকশিকাঁথা, মৃশিল্পের দেয়াল, তামা ও পুনর্ব্যবহূত কাঁচের ঝুলন্ত শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো স্টোরটি সহজেই দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
ধানমণ্ডিতে আড়ংয়ের সবচেয়ে বড় ক্রাফট স্টোর

সম্পর্কিত খবর

ঈদ লেগেছে ছোটদের পোশাকে
- ঈদের আনন্দ ছোটদেরই বেশি থাকে। এই আনন্দে বাড়তি আমেজ যোগ করে ঈদের নতুন জামা। আরাম ও ফ্যাশন দুদিকই প্রাধান্য পেয়েছে ছোটদের পোশাকে। খোঁজ নিয়েছেন আহমেদ ইমরান

ছোটদের কাছে ঈদ মানেই নতুন জামা। এ জন্য ছোটদের পোশাক হওয়া চাই মনের মতো। গরমের এই সময়ে পোশাকে যতটা আরাম রাখা যায় ততটাই ভালো। হালকা নকশার ছিমছাম পোশাকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছেন ডিজাইনাররা।

রং
ছোটদের পোশাকে রঙিন আবহ বেশি ভালো লাগে। এ জন্য লাল, হলুদ, কমলা, নীল, গোলাপি, আকাশি রঙের পোশাক বেশি এসেছে। গরমের জন্য সাদা রঙের আরামদায়ক পোশাকও আছে। ছেলেশিশুদের পোশাকে সাদা, প্যাস্টেল ঘরানার রং, সাদার সঙ্গে হলুদ, নীলের ব্যবহার অনেক বেশি।

বাহারি পোশাক
মেয়েশিশুদের ঈদের পোশাকে উত্সবের আমেজ রাখতে গ্লিটার কাপড়ের ব্যবহার করা হয়েছে।

ম্যাটেরিয়াল
সুতি, লিনেন, পাতলা খাদি, জামদানি, মসলিন ও গেঞ্জি কাপড় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ছোটদের ঈদ পোশাকে। একরঙা পাঞ্জাবি যেমন আছে তেমনি পাতলা খাদি কাপড়ে চেকের ব্যবহারে ভিন্নতা এসেছে। পাঞ্জাবির বুক ও হাতায় এমব্রয়ডারির ছিমছাম কাজ বেশি দেখা যাচ্ছে। মেয়েশিশুদের সুতি ও নেটের পোশাকে সুতা, পুঁতি, পাথর, লেস, জরির কাজ করা হয়েছে। মোটিফ হিসেবে আছে ফুল, পাতা ও প্রকৃতির নকশা। আরামের বিষয়টি মাথায় রেখে লিনেন বা সুতি কাপড়ের ওপর জোর দিয়েছে ব্র্যান্ডগুলো।
দরদাম
ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট পাবেন ৬৫০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে। মেয়েদের থ্রিপিস, ফ্রক, টপ, টিউনিক, কাফতানের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা।

পাঁচতারা হোটেলের ইফতার সাহরি
- রমজানে ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন করে তারকা হোটেলগুলো। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন এসব খাবার। পাঁচটি রেসিপি দিয়েছেন ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের পরিচালক [ফুড অ্যান্ড বেভারেজ] এ টি এম আহমেদ হোসেন

আফগানি চানা চাট
উপকরণ
সিদ্ধ করা কাবুলি ছোলা ৫০০ গ্রাম, তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪টি, গরম মসলা পাউডার ১ চা চামচ, টমেটো কুচি আধা কাপ, চাটমসলা ১ টেবিল চামচ, পানি ১ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. হাঁড়িতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে লালচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
২. এবার এর মধ্যে সিদ্ধ করা কাবুলি ছোলা দিয়ে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন। এরপর বাকি উপকরণ দিয়ে হালকা আঁচে আরো ৫-৭ মিনিট রান্না করুন।
৩. মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
হাঁড়ি কাবাব
উপকরণ
গরুর রানের মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, তেল আধা কাপ, পেঁপে বাটা ২ টেবিল চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ,
লবণ স্বাদমতো, চিনি ২ চা চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, দারচিনি বাটা আধা চা চামচ, কালো গোলমরিচ ১০টি, টক দই আধা কাপ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করে কিমা করে নিন। একটি বাটিতে কিমা করা মাংস নিয়ে তেল, পেঁয়াজ ও চিনি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
২. একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিন। সামান্য বেরেস্তায় পরিমাণমতো চিনি দিয়ে মাখিয়ে নিন। বাকিটা মাংসের জন্য রেখে দিন।
৩. আরেকটি প্যানে মাংস চড়িয়ে দিন।
৪. ঝোল শুকিয়ে মাখা মাখা হলে চিনি মাখা বেরেস্তা দিয়ে আরো ৫ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন। পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।
মাটন দম বিরিয়ানি
উপকরণ
বাসমতী চাল ১ কেজি, খাসির মাংস হাড়সহ ২ কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, দারচিনি ৩-৪টি, সবুজ এলাচ ৮-১০টি, কালো এলাচ ৪-৫টি, লবঙ্গ আধা চা চামচ, জয়ত্রি গুঁড়া ১ চা চামচ, জায়ফল আধা চা চামচ, টক দই ১ কাপ, ঘি ৩-৪ কাপ, শাহি জিরা আধা চা চামচ, আলু ৪-৫টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পানি ৬ কাপ, লবণ স্বাদমতো, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, জাফরান ১ চিমটি, আলুবোখারা ১০-১২টি, ময়দা ২ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. চাল ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মাংস ধুয়ে লবণ দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিন।
২. শুকনা মরিচ, দারচিনি, এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, জয়ত্রি, জায়ফল, কাবাব চিনি এবং শাহি জিরাসহ সব মসলা গুঁড়া করে নিন।
৩. একটি হাঁড়িতে মাংস, গুঁড়া করে রাখা মসলা এবং দই মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। অন্য একটি হাঁড়িতে ৬ কাপ পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে চাল দিন। চাল একটু ফুটে এলে পানি ঝরিয়ে আরেকটি পাত্রে রেখে দিন।
৪. কুসুম গরম পানিতে জাফরান গুলে নিন। চাল ঝরানো গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে নিন। মাংসের হাঁড়িতে ভাজা আলু, পেঁয়াজ বেরেস্তা, আলুবোখারা ও ঘি মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে দিন। ওপরে চাল দিয়ে জাফরানের মিশ্রণ ঢেলে দিন। এরপর ঘি মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে দিন।
৫. মনে রাখতে হবে, পানি যেন চালের ওপরে না আসে। এবার ময়দা গুলে হাঁড়ির ঢাকনা দিয়ে ভালোমতো সিল করে চুলায় চড়িয়ে দিন। কোনো ফাঁকা যেন না থাকে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা মাঝারি আঁচে রান্না করুন। এবার নামিয়ে ঢাকনা খুলে কাবাব ও চাটনি সহযোগে পরিবেশন করুন।
গোলাপজাম
উপকরণ
গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ আধা কাপ, ময়দা ৪ টেবিল চামচ, বেকিং সোডা ১ চা চামচ, এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ, তরল দুধ ১ কাপ।
সিরার জন্য
চিনি ২ কাপ, পানি ১ কাপ, আস্ত এলাচ ৩-৪টি।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ফ্রাইপ্যানে ঘি দিয়ে গরম করে নিন। এবার তরল দুধ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
২. গুঁড়া দুধ একটু একটু করে দিন যেন দানা দানা না হয়। অনবরত হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। একসময় প্যান থেকে নরম হয়ে ওঠে আসবে। তখন নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
৩. অন্য একটি হাঁড়িতে চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। হালকা আঁচে সিরা চুলায় রেখে দিন।
৪. এবার ঠাণ্ডা করে রাখা মিশ্রণটিতে ময়দা ও দুধ দিয়ে ছেনে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন দানা দানা না হয়।
৫. ছানা হয়ে গেলে গোল গোল মিষ্টি আকারে বানিয়ে গরম ঘিতে ভেজে সরাসরি মিষ্টির সিরায় দিয়ে ঢেকে দিন। ৩-৪ ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন।
শাহি টুকরা
উপকরণ
ক্রিম ১ লিটার, কনডেন্সড মিল্ক ১ কৌটা, এলাচ গুঁড়া ১ চা চামচ, পাউরুটি ৬-৮ টুকরা, কিশমিশ ২ কাপ, ঘি ভাজার জন্য, কাঠবাদাম সাজানোর জন্য।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. হাঁড়িতে দুধ ও কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি অর্ধেক করে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যেন লেগে না যায়।
২. এরপর নামিয়ে এলাচ গুঁড়া দিন। কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তাতে পাউরুটি টুকরা সোনালি করে ভেজে নিন। এরপর কিশমিশগুলো ভেজে নিন।
৩. একটি ট্রেতে পাউরুটিগুলো সাজিয়ে এর ওপর দুধের মিশ্রণটি দিয়ে ঢেকে দিন।
৪. এরপর কাঠবাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ভ্যান মার্কেটের জামা-জুতায় ঈদ
- কেনাকাটায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভ্যান মার্কেট। ঈদ ঘিরে আরো জমজমাট এই মার্কেট। প্রায় সব কিছুই পাওয়া যায় এখানে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন অলকানন্দা রায়

ব্যস্ত নগরীর দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে যে শব্দটি তার নাম ভ্যান মার্কেট। চলতি পথেই দেখা যায় এমন অসংখ্য দোকান। কী নেই এখানে। জামাকাপড়, জুতা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, বেডকভার, মশারি, পর্দা, জুয়েলারি, ব্যাগ, কসমেটিকস, হস্তশিল্প, রান্নাঘরের খুঁটিনাটি, মোবাইল অ্যাকসেসরিজ থেকে শুরু করে টয়লেট্রিজ পণ্য, সবজি, ফল, মুখরোচক খাদ্য প্রায় সব ধরনের সামগ্রীই সস্তায় কিনতে পাওয়া যায় ভ্যান মার্কেটে।
জামাকাপড়
সালোয়ার, কামিজ, শাড়ি, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টি-শার্ট, লেগিংস, প্যান্ট, মিডি, ক্রপ টপ, ট্যাং টপ, হাফপ্যান্ট, স্কার্ফ, কুর্তিসহ প্রায় পোশাকই পাওয়া যায় ভ্যান মার্কেটে।
জুতা
পাওয়া যাবে কম দামে পছন্দসই নানা রকম ডিজাইনের জুতা।
গয়না ও অন্যান্য
টিপ, চুলের কাঁটা, মালা, চুড়ি, কানের দুল, নাকছাবি, আংটি সবই মেলে ভ্যানে। লিপলাইনার, কাজল, লিপস্টিক, মেকআপ কিটস আরো নানা পণ্য পাওয়া যায়। দাম ২০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
পর্দা ও বেড কভার
ব্লকপ্রিন্ট, টাইডাই, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ নানা নকশার পর্দাও পাবেন সুলভে। এ ছাড়া প্রিন্ট বা নেটের পর্দাও পাবেন। পাশেই সাজানো থাকে বালিশ কভার, বেড কভার, কোলবালিশ কভার, কুশন ইত্যাদি। এসব পর্দা বা কভারে কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, সিনথেটিক, লিলেন এবং মিক্স কটন। প্রতি পিস পর্দার দাম ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা। বেড কভারের দাম পড়বে ৩৫০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে।
সিরামিকের তৈজসপত্র
ভ্যান মার্কেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পণ্য হলো সিরামিকের জিনিসপত্র। থালা, বাটি, জগ, মগ, টি-পট, সুগার পট, মিল্ক পট, সার্ভিং ডিশ, চামচ, লবণদানি, সস রাখার পাত্র—সবই পাওয়া যায় কম দামে। ঈদে রান্নাঘর ও খাবার টেবিলে বাহার আনতে কিনতে পারেন এমন পণ্য। সেট কিংবা পিস হিসেবেও কিনতে পারেন। মগ পাবেন ১০০ থেকে ২০০ টাকায়। নানা আকৃতির সার্ভিং ডিশ পাবেন ৫০০ থেকে ১২০০ টাকায়। স্যুপ সেট, ফিরনি সেট এক হাজারের মধ্যে কিনতে পাবেন। ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় পাবেন ছোট ছোট নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

ইফতারে তেলে ভাজা খাবারের বদলে কী খাবেন
- অস্বাস্থ্যকর জেনেও ইফতারে ভাজাপোড়া খান অনেকে। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁদের ভাবনায় থাকে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারি। ভাজাপোড়ার বদলে ইফতারে কী কী রাখতে পারেন এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গুলশান ক্লিনিক লিমিটেডের নিউট্রিশন ও ডায়েট কনসালট্যান্ট মাইশা ফারজানা অন্তরা। লিখেছেন চান্দ্রেয়ী মম

অল্প তেলে ভুনা ছোলা
ইফতারে ছোলা ভুনা খাওয়ার চল। বেশির ভাগ সময় বেশি তেল ও মসলা দিয়ে তৈরি করা হয় ছোলা ভুনা। যাঁরা কম তেল খেতে চান তাঁরা প্রথমে ছোলা সিদ্ধ করে নিন। এরপর সামান্য তেল দিয়ে ভুনা করে নিন।
দই-চিড়া
দই ও চিড়ার সঙ্গে পাকা কলা মিশিয়ে নিন। সঙ্গে সামান্য দুধ মিশিয়ে ইফতারে খেতে পারেন। শুধু চিড়া ও কলা মেখেও খেতে পারেন।
কাঁচা ছোলা
কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদা ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি অত্যন্ত উপাদেয় এবং শরীরের জন্য ভালো একটি খাবার। সারা দিন রোজার পর সহজেই শরীরে শক্তি জোগাবে খাবারটি।
খেজুর ও দুধ
খেজুর দুধে ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। এটি একটু খেলেই পেট অনেকটা ভরে যায়
মৌসুমি ফল
শরীরের জন্য উপকারী মৌসুমি ফলমূল। রোজার সময় নানা রকম ফলের শরবত তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ফলের সালাদ তৈরি করা যায়। আপেল, শসা, আঙুর, বরই, ডালিম একত্র করে সালাদের মতো বানিয়ে টক দই মিক্স করে খেতে পারেন।
ওটস ও ডিমের প্যানকেক
ওটস এবং ডিম দিয়ে প্যানকেক তৈরি করে খেতে পারেন। এতে একদমই তেল প্রয়োজন হয় না। প্যানকেক তৈরি করার পর মধু দিয়েও খেতে পারেন।
চিয়া সিড
চিয়া সিড, দুধ এবং ফল সারা দিন একত্রে ভিজিয়ে রেখে ইফতারে খেতে পারেন। অনেকে পানিতে চিয়া সিড অথবা মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করে থাকেন। আপনি চাইলে ইফতারেও এটি রাখতে পারেন।
ডিম, মুরগি সিদ্ধ
সালাদের সঙ্গে সিদ্ধ ডিম বা মুরগির মাংস যোগ করেও খেতে পারেন ইফতারে।
মোমো
জাপানিজ খাবার মোমো তেলবিহীন ভালো খাবার। এটি সবজি বা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়। খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এটি তৈরিতে একদমই তেলের ব্যবহার নেই। গরম পানির ভাপে সিদ্ধ করে তৈরি করা হয়। ইফতারে মোমো রাখতে পারেন। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যিনি খাচ্ছেন তাঁর যেন কোনো শারীরিক সমস্যা না হয়। অনেকের ডায়াবেটিস, এসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক এবং অন্যান্য সমস্যা থাকতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখে রমজানের ইফতার খেতে হবে।