<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা দাঁড় করানো সহজ কিছু নয়। ব্যবসা দাঁড় করানোর প্রথম বছরে গড়ে প্রতি চারটির মধ্যে মাত্র একটি সফলতার মুখ দেখে। সে হিসেবে মারিও ভাসকুয়েজ জুনিগাকে (২৯) সফল বলা যায়। স্টার্টআপ দাঁড় করানোর এক বছরের মধ্যে চার লাখ ডলার বা চার কোটি ৭৭ লাখ টাকা আয় করেছে তাঁর কনসালট্যান্সি ফার্ম। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মায়ের সঙ্গে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর থেকে এসেছিলেন শৈশবে। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পরও আর্থিক টানাপড়েনে বড় হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার করতে পারেনি। জুনিগাই প্রথম, যিনি পড়াশোনা শেষ করতে পেরেছেন। ২০১৬ সালে সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করার পর ক্যারিয়ার গড়েছিলেন গণযোগাযোগে। মার্কিন কম্পানি লুকাস পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন ডিজিটাল কনসালট্যান্ট হিসেবে। এর পাশপাশি পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি ফুলের দোকানেও কাজ করতেন। প্রচারণার কাজ চালিয়ে ফুল বিক্রিতে সহায়তা করতেন মা-বাবাকে। বলা যায়, উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ তিনি সেখান থেকেই নেন। ফুলের দোকানটি তিন বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। চোখের সামনে ব্যর্থতা দেখেও ভয় পাননি তিনি। বেতনের চাকরিটি ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জুনিগা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোনো লক্ষ্য না থাকার অর্থ হলো আপনি নির্দিষ্ট কোনো পথে আগাচ্ছেন না। এতে আপনার মনে হতে পারে সব স্থবির হয়ে আছে। যে কাজ করছেন তাতে আনন্দ পাচ্ছেন না। আমারও ঠিক এটাই মনে হচ্ছিল। যেন এক জায়গায় আটকে আছি। বারবার মনে হতো, আরো অনেক কিছু করার আছে কিন্তু করছি না। আগামী কয়েক বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাই, কী হতে চাই সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। স্বাচ্ছন্দ্যে বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তাকে পাশ কাটিয়ে অজানা ভবিষ্যতের পথে পা বাড়ানো সহজ ছিল না। অ্যাকাউন্টে শুধু চার মাস চলার মতো অর্থ জমা ছিল। স্বাস্থ্য বীমার খরচের কথা ভাবতেই ভয় লাগছিল। তবে কিছু কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছিলাম। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় আত্মবিশ্বাস ছিল যে চাকরিটা ছাড়া সম্ভব।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০২৩ সালে চাকরি ছেড়ে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কালেক্টিভ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নামের একটি কনসাল্টিং ফার্ম দাঁড় করান তিনি। সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন তাঁরই সাবেক সহকর্মী থিয়া অ্যাপলিং। তাঁদের ফার্মের কাজ হলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠনকে অভিনব ও কৌশলগত যোগাযোগের পথ বাতলে দেওয়া। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টো এলাকায় অফিস প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যেই তাঁরা সফলতার স্বাদ পান। তবে এটা শুধু এক বছরের পরিশ্রমের ফল নয়। লম্বা সময় ধরে নেওয়া প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার কারণেই সফল হয় তাঁদের স্টার্টআপ।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কথা বলা জরুরি</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুকুরে হাঁস ছাড়ার আগে বা সেগুলোকে ঘরে ফেরানোর আগে এক সারিতে নিয়ে আসা হয়। একই নিয়ম ব্যবসার বেলায়ও খাটে বলেও মনে করেন জুনিগা। তাঁর মতে, সব পরিকল্পনা আগে করে তারপর সেটা বাস্তবায়নে কাজ করতে হয়। এর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদে ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্বস্ত বন্ধ ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিশদভাবে গবেষণা করতে হবে। সরকারি সংস্থা থেকে যত তথ্য পাওয়া যায় সেগুলোও কাজে লাগাতে হবে। এতে বিস্তারিত পরিকল্পনা সাজানো সহজ হবে। পণ্য বা সেবা বাজারের উপযোগী কি না, প্রাইসিং কেমন হবে এবং ব্যাবসায়িক ব্যবস্থাপনা সামলানো যাবে কি না তা নিয়ে অনেক গবেষণা করা যায়। তবে এটাই সব নয়। স্পষ্ট ধারণা পেতে এ বিষয়গুলোতে দক্ষ এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার</span></span></span></span></span></p> <p> </p>