<p style="text-align:justify">৪০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে রাইড শেয়ারিং সেবা নেটওয়ার্ক উবার ও পাঠাওকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মাসুদ আহমেদ নামে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। গত রবিবার কাওসার মেহমুদ নামের এক ব্যক্তির পক্ষে এই মাসুদ আহমেদ এই নোটিশ পাঠান। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাওরে হামিদ পরিবারের রাজত্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727736980-8f525ef47b56fc6d987c432e0fe29404.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাওরে হামিদ পরিবারের রাজত্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/01/1430686" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আট বছর ধরে বাংলাদেশে তারা সরকারকে কত হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স দিয়েছে, তাদের আয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের আয়-ব্যয়ের পরিপূর্ণ হিসাব এবং বিদেশে পাঠালে কোন প্রক্রিয়ায় কত টাকা পাঠিয়েছে, তাও লিগ্যাল নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">নোটিশে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং বিধিমালা ২০১৭ লঙ্ঘন করে বিআরটিএ-এর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাইড শেয়ারিং কম্পানিগুলো এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে উবার একটি মাল্টিন্যাশনাল কম্পানি, যা পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা হয় ভারত থেকে। বাংলাদেশে এর কিছু অফিস রয়েছে, যার কাজ হলো মূলত অর্থ সংগ্রহ করা। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বরগুনায় শম্ভুর ভয়ংকর শাসন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727738047-9e3eb7abd89b0f120def052fe9f29df9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বরগুনায় শম্ভুর ভয়ংকর শাসন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/01/1430687" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার পরিবহণ অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে উবার ও পাঠাওয়ে সংযুক্ত রয়েছে, যারা মূলত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ, ফুড ডেলিভারি ইত্যাদি কাজ করে থাকে। রাইড শেয়ারিং বিধিমালায় কোনো নির্দেশনা না থাকলেও কোম্পানিগুলো প্রতারণা করে পরিবহণ ব্যবসায়ীদের আয়ের ওপর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন, অ্যাডভান্স প্ল্যাটফর্ম ফি, সার্ভিস চার্জ, বুকিং ফি ও ট্যাক্স ইত্যাদি নিয়ে থাকে। </p> <p style="text-align:justify">বিধিমালা মোতাবেক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি এক লাখ টাকা প্রদান করে বিআরটিএ থেকে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্যবসা করতে পারবে। অন্য কারও কাছ থেকে কোনো টাকাপয়সা তারা নিতে পারবে মর্মে বিধিমালায় উল্লেখ না থাকলেও কম্পানিগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্রহণ করছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বৃক্ষবিহীন দ্বীপে কোটি বছর আগের গাছের গুঁড়ি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727748826-c22febb739158ebfd895fcb43d8f3d03.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বৃক্ষবিহীন দ্বীপে কোটি বছর আগের গাছের গুঁড়ি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/10/01/1430688" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">কিছু দেশীয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি (ইন ড্রাইভ) আছে, যারা একটি টাকাও কমিশন নেয় না। বাংলাদেশে গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কোথাও কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না। সর্বত্র এসব প্রতিষ্ঠানেরও হাজার হাজার কর্মচারী রয়েছে। গুগল-ফেসবুকের মতো রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোও অনলাইন অ্যাপ পরিচালনা করে কার্যক্রম পরিচালনা করে।</p> <p style="text-align:justify">একজন গাড়ির ড্রাইভার যদি তিন হাজার টাকা একদিনে আয় করেন, সেখান থেকে অন্তত এক হাজার টাকা তারা (উবার ও পাঠাও) বিভিন্ন খাত দেখিয়ে কেটে নিচ্ছে। এভাবে বিগত আট বছরে তারা হাজার কোটি টাকার পাহাড় গড়েছে। সুতরাং রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ১০২ ধারার বিধিমতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লে­খ করা হয়েছে।</p>