<p>বয়স হলে দেহের প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়। আর তাই রোগকে পর্যুদস্ত করতে শরীরের অনেক সমস্যা হয়। আর তাই এ সময় বাড়তি যত্ন নেওয়া চাই। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জীবনযাত্রায় আনা উচিত পরিবর্তন।</p> <p><strong>এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন—</strong></p> <p>অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী</p> <p>সাবেক অধ্যক্ষ</p> <p>চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ</p> <p> </p> <p><strong>টিকা নিন</strong></p> <p>বয়স হলে বয়স্কদের মধ্যে অধিক হারে কভিড, ফ্লু, শিঙ্গলস আর নিউমোনিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। এ ছাড়া, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো ক্রনিক অসুখ থাকলে সেগুলো আরো গুরুতর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই নিরাপদ থাকার জন্য টিকা নেওয়া উচিত। নিজেকে ও চারপাশের অন্যদের সুরক্ষিত রাখার একটি  কার্যকর, নিরাপদ আর সহজ উপায় হলো টিকা নেওয়া।</p> <p><strong>নিয়মিত স্ক্রিনিং প্রয়োজন</strong></p> <p>ক্রনিক রোগ যেমন : ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ আর ক্যান্সারের ঝুঁকি বয়স্কদের মধ্যে বেশি। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা সিডিসির অনুমান ৬০-এর বেশি বয়সী প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের উচ্চ রক্তচাপ আছে। আর এদের স্ক্রিনিং না হলে বেশির ভাগ ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত হবে না।</p> <p><strong>স্বাস্থ্যকর খাবার খান</strong></p> <p>সবার জন্য চাই স্বাস্থ্যকর আহার। তবে এই কথাটি বয়স্কদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য। তাদের জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার। অনেক সময় শরীর উপযোগী খাবার ‘হেলদি এজিং’-এর জন্য অবলম্বন হয়ে ওঠে। টাটকা সবজি, ফল, হোল গ্রেন, বাদাম খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। আবার ক্রনিক অসুখ যেমন : ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ থাকলে ডায়েটে আনতে হবে পরিবর্তন।</p> <p><strong>শরীরচর্চা করুন নিরাপদে</strong></p> <p>বয়স বাড়লে সীমিত সচলতা আর পেশির শক্তি খর্ব হওয়ার জন্য শরীরচর্চার মাত্রা কমিয়ে দিতে হয়। শুয়ে-বসে থাকার নামই হয় জীবন। তাই একটু কম পরিশ্রমের ব্যায়াম যেমন : হাঁটা, পারলে সাইকেল চালানো, ওয়াটার অ্যারবিক্স বা জলকেলি করা নিরাপদ। শরীর আর মনের কুশলের জন্য শরীরচর্চা প্রয়োজন। হাড় ক্ষয়রোধ, অষ্টিও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশম ও ইমিউনিটি বাড়ানো, মেজাজ ভালো রাখার জন্য অল্প দূরত্বে হাঁটাও ভালো।</p> <p><strong>সামাজিক হন</strong></p> <p>বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা, ডিমেনসিয়া, অকাল মৃত্যু ও হৃদরোগের জন্য দায়ী একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতা। সামাজিক একাকিত্ব এড়াতে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও আলাপে সময় কাটাতে হবে। কমিউনিটির নানা কাজে সম্পৃক্ত থাকা ভালো।</p>