<p>যুবদলের সাবেক সহ-আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ ও যুবদল নেতা এম এ হক সবুজকে খালাস দিয়েছেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ১০-এর বিচারক লুতফুল মজিদ নয়ন। ২০১০ সালে বিএনপির ডাকা হরতালে পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর অ্যাডভোকেট সোহাগসহ বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রাদন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারাহ দিবা ছন্দা।</p> <p>মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে বলা হয়, তারা ২০১০ সালের ২৭ জুন বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালীন সূত্রাপুরের কাপ্তানবাজার এলাকায় জোর করে দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। তাদের এ কাজে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। </p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="kaler kantho" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/10/02/my168/431052636_1231380918194658_4918668586359800678_n - 2024-10-02T145054.954.jpg" width="800" /> <figcaption>যুবদলের সাবেক সহ-আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ</figcaption> </figure> </div> <p>মামলার এজাহারে ঘটনার বৃত্তান্তে বলা হয়, সূত্রাপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন মোল্লা জানতে পারেন, সূত্রাপুরের কাপ্তান বাজারে যুবদল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকীসহ ৮০ থেকে ৯০ জন জোর করে দোকানপাট বন্ধ ও রাস্তায় যানবাহন আটকে দিচ্ছেন। খবর পেয়ে মনির হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। তখন নূরে আলমসহ অন্যরা পুলিশের কাজে বাধা দেন বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।</p> <p>এতে আরও বলা হয়, বিষয়টি মনির হোসেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তখন আরও পুলিশ পাঠানো হয়। তারা কাপ্তানবাজারে এলে নূরে আলমসহ অন্যরা পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আহত হন পুলিশ কনস্টেবল বশির আহমেদ, মিজানুর রহমান ও রফিক।</p> <p>পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় নূরে আলমসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ১৫ মে যুবদল নেতা নূরে আলমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।</p> <p>সেই মামলায় ১৩ বছর পর রায় দেন সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা। ওই আপিলের শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মামুন চৌধরী, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট নিহার হোসেন ফারুক, তানভীর সোহেল, অ্যাডভোকেট জুয়েল, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।  </p>