<p>বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) নোটিশটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন) এ নোটিশ পাঠান।</p> <p>দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করতে অনুরোধ করা হয়েছে নোটিশে।</p> <p>এতে বলা হয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারের নির্বাচন আর ২০২৪ সালে পাতানো নির্বাচন হয়েছিল, যেখানে প্রায় সব সংসদ সদস্য ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পছন্দের বা তার আজ্ঞাবহ লোক ছিলেন। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে পতিত সরকারের গত ১৫ বছরে হওয়া নির্বাচনসহ সব অপকর্ম সংঘটনকারী ও তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি ঘোষণা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730039935-64c1f3e6af6a117cbb2551d488254e3b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি ঘোষণা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/27/1439781" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নোটিশে আরো বলা হয়, বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনগুলোতে বিনা ভোটে বা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগকে সহায়তাকারী দল যেমন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ওই সব নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনাররা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। সেই সম্পদের সিংহভাগ বিদেশে পাচার করেছে বলে দেশবাসীর দৃঢ়বিশ্বাস।</p> <p>নোটিশের বলা হয়, এ অবস্থায় ওই সব সাধারণ নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সব নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে দুদক ও মানি লন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করতে নোটিশ দেওয়া হলো। ব্যর্থতায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।</p>