আওয়ামীপন্থী ৬১ আইনজীবী কারাগারে, জামিন ১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আওয়ামীপন্থী ৬১ আইনজীবী কারাগারে, জামিন ১৯

হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় আওয়ামীপন্থী ৬৪ আইনজীবীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। 

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদের মধ্যে তিনজন পালিয়ে যাওয়ায় ৬১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ মামলায় ১৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

জামিন নামঞ্জুর হওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক, গাজী শাহ আলম, মাহবুবুর রহমান, আসাদুর রহমান রচি, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সাবেক পিপি নজরুল ইসলাম শামীম। জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে আবু সাঈদ সাগর, শারমিন সুলতানা হ্যাপি, সালেহা আক্তার শিল্পী, জেসমিন আক্তার, তাসলিমা ইয়াসমিন নদী, শিখা ইসলাম, মিতা, শায়লা পারভীন পিয়া ও সালমা হাই টুনি রয়েছে।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার এজাহারনামীয় ১১৫ আইনজীবী হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

এ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ আগামীকাল সোমবার শেষ হবে। এ জন্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া ৮৩ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া ৬৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তবে তিনজন আদেশ শুনে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সম্মুখ থেকে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ভুক্তভোগী আইনজীবী মামলা শুনানি শেষে করে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তখন আসামি আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন হেলমেট পরে পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি তাক করেন।

আসামি ওয়াকিল রড দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। 

এ ছাড়া অন্য আসামিরা স্লোগান দিয়ে বাদীসহ অন্য আইনজীবীদের কিল-ঘুষি মারেন এবং  রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারাত্মক আঘাত করেন। আসামিরা বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙচুর ও লাখ লাখ টাকার মূল্যে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান। আসামিরা আশপাশের আইনজীবীদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির চেম্বার ভবন ও ভবনের গুরুত্বপূর্ন আসবাব ভাঙচুর করে এক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেন। এ ঘটনায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামীপন্থী ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী বাবু।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সংগৃহীত ছবি

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগ পত্র আমলে গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদকের করা ৬ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

আরো পড়ুন
বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া অন্য আসামিরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক সদস্য শফি উল হক, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা, পূরবী গোলদার, আনিছুর রহমান, নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন, নায়েব আলী খুরশীদ আলম, শরীফ আহমেদ, শহীদ উল্লা, ওয়াছি উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম দুই মামলায় রয়েছে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এস.এম রাশেদুল হাসান বাদী হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান ও শেখ হাসিনাকে সহযোগী আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় আরো ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।  

আরো পড়ুন
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

 

গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের উপ পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা নিজের মালিকানায় ও তার ছেলে, মেয়ে, বোন এবং বোনের দুই ছেলে-মেয়ের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরেও সেই তথ্য গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।

এতে বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কর্মচারীদের প্রভাবিত করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

মন্তব্য

সাগর-রুনি হত্যা: ১১৭ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৭ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১৭ বার পেছানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ দিন ধার্য করেন। 

আদালত সূত্র বলছে, এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।

তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই'র অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল হক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। 

এ মামলার আসামিরা হলেন-রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের 'বন্ধু' তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে।

বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে। 

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)।

চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাদেরকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

টিকটকার তোহা কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
টিকটকার তোহা কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

সাইবার আইন ও প্রতারণার মামলায় টিকটকার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটের তোহা হোসাইনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। ফেসবুক ও টিকটকে জুয়ার বিজ্ঞাপনে প্রমোশন করার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার একটি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে আজ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
ফরিদপুরে কৃষকের নামে বরাদ্দ সরকারি সার জব্দ

ফরিদপুরে কৃষকের নামে বরাদ্দ সরকারি সার জব্দ

 

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল টিকটকার তোহা হোসাইন (২২) ও হুর-ই জান্নাতের (১৯) নামে মিরপুর থানায় সাইবার সিকিউরিটি আইন ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়।

মামলায় আজ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন
‘তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শহীদ ওয়াসিম আকরামকে উপেক্ষা করে’

‘তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শহীদ ওয়াসিম আকরামকে উপেক্ষা করে’

 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তোহা ইসলামের ফেসবুক পেজ ও টিকটকের আইডি হতে জুয়ার সাইট প্রমোশন করে অল্প টাকায় অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে যুব সমাজকে জুয়া ও অনৈতিক আয়ে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। তার প্রমোশনকৃত আইডির মাধ্যমে প্রলুব্ধ হয়ে যুবসমাজ ও বিভিন্ন বয়সী মানুষ প্রতারিত হয়ে অল্প টাকায় অধিক মুনাফার আশায় সর্বস্ব হারিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আন্দোলনে গুলির নির্দেশ, প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা সাইফুল গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্দোলনে গুলির নির্দেশ, প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা সাইফুল গ্রেপ্তার

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

তিনি জানান, নরসিংদীতে গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত (পরোয়ানাভুক্ত) আসামি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আরো পড়ুন
আমতলীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত

আমতলীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত

 

জানা যায়, ৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।

এর আগে একই মামলায় গতকাল রবিবার দুপুরে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সহকারী পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকেও পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অনির্বান চৌধুরী ৩০তম বিসিএসের (পুলিশ ক্যাডার) মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নরসিংদী জেলা পুলিশে যোগ দেন।

 

গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তিনি নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ