ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

আজ শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬।

ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ-

জোহরের সময় শুরু - ১২টা ১০ মিনিট।
আসরের সময় শুরু - ৩টা ৫৩ মিনিট।
মাগরিব- ৫টা ৩৩ মিনিট।

এশার সময় শুরু - ৬টা ৫১ মিনিট।

আগামীকাল ফজর শুরু - ৫টা ২৭ মিনিট।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ২৯ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪৩ মিনিটে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কিয়ামতের দিন যে আমলের ওজন সবচেয়ে বেশি হবে

উম্মে আহমাদ ফারজানা
উম্মে আহমাদ ফারজানা
শেয়ার
কিয়ামতের দিন যে আমলের ওজন সবচেয়ে বেশি হবে

ইসলামে উত্তম চরিত্রের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। মুমিনদের জন্য বিভিন্ন গুণে চরিত্রকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা ঈমানের দাবি। কেননা উত্তম চরিত্র ছাড়া একজন মুমিনের ঈমান পরিপূর্ণ হতে পারে না। ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য উত্তম চরিত্র অর্জন করা অপরিহার্য।

এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ওই মুমিন ঈমানে পরিপূর্ণ, যার চরিত্র সর্বোত্তম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৮২)

আমাদের সমাজে মানুষের সর্বোত্তম হওয়ার বিভিন্ন মাপকাঠি আছে। বিভিন্নজনের কাছে ভিন্ন মাপকাঠিতে ভিন্ন ধরনের মানুষ সর্বোত্তম। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বোত্তম হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হচ্ছে উত্তম চরিত্র।

এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, নবী (সা.) অশ্লীলভাষী ও অসদাচরণের অধিকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যার চরিত্র সর্বোত্তম। (বুখারি, হাদিস : ৩৫৫৯)

রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি কখনো কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করেননি।

চরিত্রবান মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন। তাই রাসুল (সা.)-এর প্রিয় মানুষদের কাতারে শামিল হতে চাইলে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া আবশ্যক। উত্তম চরিত্রের সর্বোত্তম নমুনা ছিলেন রাসুল (সা.)। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) জন্মগতভাবে বা ইচ্ছাপূর্বক অশ্লীলভাষী ছিলেন না। তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।
(বুখারি, হাদিস : ৩৭৫৯)

উত্তম চরিত্রের সওয়াব এত বেশি, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। কিয়ামতের দিন মানুষের সওয়াব ও গুনাহ পরিমাপের জন্য দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা হবে। সেদিন যে আমলের ওজন সবচেয়ে বেশি ভারী হবে তা হলো উত্তম চরিত্র। এ সম্পর্কে আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন মুমিনের দাঁড়িপাল্লায় উত্তম চরিত্রের চেয়ে বেশি ওজনের আর কোনো জিনিস হবে না। কেননা আল্লাহ অশ্লীল ও কটুভাষীকে ঘৃণা করেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০০২)

উত্তম চরিত্রের সওয়াব ওজনে সবচেয়ে বেশি ভারী হওয়ার রহস্য আরেকটি হাদিস থেকে জানা যায়। এক ব্যক্তি সারা দিন সাওম পালন করে এবং সারা রাত নফল সালাত পড়ে যেরূপ সওয়াব পায়, মহান আল্লাহ উত্তম চরিত্রের বদৌলতে সেরূপ সওয়াব দান করেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তি তার ভালো চরিত্রের মাধ্যমে (দিনে) সাওম পালনকারী ও (রাতে) নামাজ আদায়কারীর মর্যাদা লাভ করতে পারে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৯৮)

জান্নাতে মানুষের আমল অনুযায়ী সম্মানজনক জায়গায় অধিষ্ঠিত করা হবে। যার আমল যত ভালো হবে, সে তত বেশি সম্মানিত হবে। রাসুল (সা.) নিজে উত্তম চরিত্রবানদের জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে ঘর বরাদ্দের জিম্মাদারি নিয়েছেন। এ বিষয়ে আবু উমামা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ন্যায়সংগত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার। আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না, আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার এবং যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে, আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮০০)

মন্তব্য

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

আজ রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ—

জোহর সময় শুরু- ১২টা ৩ মিনিট। 

আসরের সময় শুরু - ৪টা ৩০ মিনিট।

মাগরিব- ৬টা ২৩ মিনিট।

এশার সময় শুরু - ৭টা ৩৯ মিনিট।

আগামীকাল ফজর শুরু - ৪টা ২৩ মিনিট।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত - ৬টা ১৯ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়- ৫টা ৪০ মিনিটে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
প্রশ্ন-উত্তর

মৃত ব্যক্তির আকিকা দেওয়া জায়েজ আছে কি?

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
মৃত ব্যক্তির আকিকা দেওয়া জায়েজ আছে কি?

প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির আকিকা দেওয়া জায়েজ আছে কি?

-আতিক, মিরপুর

উত্তর : আকিকা জীবিত ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব। মৃত ব্যক্তির আকিকা করা মুস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই তাতে আকিকার সওয়াব পাওয়া যাবে না। (রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৩৬, ফয়জুল বারি : ৪/৩৩৭)

সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা

মন্তব্য

কোরআনের বর্ণনায় পবিত্র কাবাঘরের গুণাবলি

মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
শেয়ার
কোরআনের বর্ণনায় পবিত্র কাবাঘরের গুণাবলি

আল্লাহর ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে নির্মিত প্রথম ঘর কাবা। কাবাঘর পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানিত স্থান। পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করে। কোরআন ও হাদিসে কাবাঘরের একাধিক নাম, গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।

কাবাঘরের সম্মান ও মর্যাদা

পবিত্র কাবাঘর আল্লাহর অনন্য নিদর্শন এবং তা হাজরে আসওয়াদ, জমজম কূপ ও মাকামে ইবরাহিমের মতো নিদর্শনকে বুকে ধারণ করে আছে। আল্লাহ কাবাঘরকে নিরাপদ ঘোষণা করেছেন এবং এই পবিত্র ঘরের হজ ফরজ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন—মাকামে ইবরাহিম। আর যে সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ।

মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই ঘরের হজ করা তার আবশ্য কর্তব্য। যে প্রত্যাখ্যান করল সে জেনে রাখুক, আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে এই ঘরের হজ করল এবং অশ্লীলতায় লিপ্ত হলো না, আল্লাহর অবাধ্য হলো না, সে সদ্যঃপ্রসূত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে) ফিরল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

কাবাঘরের নামগুলো

কোরআন ও হাদিসে কাবাঘরের সাতটি নাম পাওয়া যায়।

তা হলো—

১. বাইত : পবিত্র কোরআনে ১৫ বার ‘বাইত’ শব্দ দ্বারা কাবাঘরকে ব্যক্ত করা হয়েছে। কখনো শুধু বাইত শব্দটি এসেছে। আবার কখনো এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সর্বনাম ও বিশেষণ। আরবি বাইত শব্দের অর্থ ঘর। যেমন—মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো বাক্কায় (মক্কায়), তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি।

’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা যেন তাওয়াফ করে প্রাচীন ঘরের।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৯)

২. কাদিস : আল্লামা আজরাকি (রহ.) বলেন, প্রাচীনকালে আরবের লোকেরা কাবাঘরকে কাদিস বলত। যার অর্থ পবিত্র। লিসানুল আরবে কাদিসের একটি অর্থ লেখা হয়েছে ‘বাইতুল হারাম’ বা কাবাঘর। (আখবারু মক্কা : ১/২৮০; লিসানুল আরব : ৬/১৭০)

৩. নাজির : শাব্দিক অর্থ মানতকারী, তবে তা মানতের স্থান অর্থে ব্যবহৃত হতো। আল্লামা আজরাকি (রহ.) বলেন, প্রাচীনকালে আরবের লোকেরা কাবাঘরকে নাজির বলত। কেননা কাবাঘরের উদ্দেশ্যে নানা জিনিসের মানত করা হতো। (আখবারু মক্কা : ১/২৮০)

৪. নাদির : নাদির শব্দটি ‘নাদরাতুন’ থেকে এসেছে। নাদরাহ হলো এক প্রকার বিরল ও মূল্যবান রত্ন, যা স্বর্ণের খনিতে পাওয়া যায়। তুলনাহীন ও মূল্যবান অর্থে কাবাঘরকে নাদির বলা হতো। (কামুসুল মুহিত, পৃষ্ঠা-৬১৯)

৫. বানিয়্যাহ : শাব্দিক অর্থ স্থাপত্য বা শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য। আল্লামা ইবনে আসির (রহ.) বলেন, কাবাঘরকে বানিয়্যাতু ইবরাহিম বলা হতো। কেননা তিনি তা নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে অধিক ব্যবহারের কারণে তাতে সংকোচন ঘটে এবং বানিয়্যাহ শব্দে রূপান্তরিত হয়। হাদিসেও কাবাঘর বোঝাতে বানিয়্যাহ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। (আন নিহায়া ফি গারিবিল হাদিস ওয়াল আসার : ১/১৫৮; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৮৩৬)

৬. দাওয়ার : আল্লামা ইবনে মানজুর (রহ.) দাওয়ারকে কাবাঘরের একটি নাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দাওয়ার শব্দটি দাঈর শব্দের বহুবচন। যার অর্থ বৃত্তাকার। যেহেতু কাবাঘরকে ঘিরে মানুষ তাওয়াফ করে। তাই তাকে দাওয়ার বলা হয়। (আসমাউ কাবাতিল মুশাররাফা, পৃষ্ঠা-২৮; লিসানুল আরব : ৪/২৯৮)

৭. কিবলা : পবিত্র কোরআনে কাবাঘরকে কিবলা নামে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি এ যাবৎ যে কিবলা অনুসরণ করছিলে তাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, যাতে জানতে পারি কে রাসুলের অনুসরণ করে এবং কে ফিরে যায়?’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৪৩)

কাবাঘরের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

কোরআন ও হাদিসের আলোকে কাবাঘরের গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো—

১. পথপ্রদর্শক : পবিত্র কাবাকে আল্লাহ মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক বানিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো বাক্কায় (মক্কায়), তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬)

২. বরকতময় : কাবাঘরকে আল্লাহ বরকতময় করেছেন। যেমনটি সুরা আলে ইমরানের ৯৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে।

৩. মিলনমেলা : কাবাঘরকে আল্লাহ মানুষের জন্য নিরাপদ মিলনমেলা বানিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে সময়কে স্মরণ করো, যখন কাবাঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১২৫)

৪. কিবলা : আল্লাহ কাবাঘরকে কিবলা বানিয়েছেন। ফলে মানুষ সেদিকে ফিরে ইবাদত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাকে অবশ্যই এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ করো। অতএব, তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৪৪)

৫. কল্যাণের উৎস : মহান আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র কাবাঘর, পবিত্র মাস, কোরবানির জন্য কাবায় প্রেরিত পশু ও গলায় মালা পরিহিত পশুকে আল্লাহ মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত করেছেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৯৭)

৬. সম্মানিত : ইবরাহিম (আ.) কাবাকে সম্মানিত ঘর আখ্যা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন—‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার সম্মানিত ঘরের কাছে।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৩৭)

৭. পবিত্র : নির্মাণকাল থেকে কাবাঘরকে আল্লাহ পবিত্র করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই ঘরের স্থান, তখন বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কোনো শরিক স্থির কোরো না এবং আমার ঘরকে পবিত্র রেখো তাদের জন্য, যারা তাওয়াফ করে, যারা নামাজে দাঁড়ায়, রুকু করে ও সিজদা করে।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৬)

৮. প্রাচীন : কাবাঘর পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘর। কোরআনে কাবাকে প্রাচীন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে, তাদের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে প্রাচীন ঘরের।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৯)

আল্লাহ সবাইকে পবিত্র কাবাঘরের জিয়ারত নসিব করুন। আমিন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ