<p>কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী ও সরকারবিরোধী বিএনপির দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ব্রিটিশ সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছে যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপিটি দেওয়া হয়। </p> <p>স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাধারন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে পূঁজি করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ইসলামী জঙ্গিগোষ্টী ও সরকারবিরোধী বিএনপি দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃস্টি করে।</p> <p>কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় অচল হয়ে পড়ে সমগ্র দেশ। শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দেশে জারিকরা হয় কারফিউ। সাধারন শিক্ষার্থীসহ বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।</p> <p>সংগঠনের ছয় সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায়। সেখানে এক কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।</p> <p>স্মারকলিপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সহ-সভাপতি বাতিরুল হক সরদার, সাধারন সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাছির, সদস্য আতিয়ার রসুল কিটন।</p> <p>স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারের মত পার্থক্য না থাকলেও স্বাধীনতাবিরোধীরা শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রবেশ করে জেল ভেঙে বেশ কয়েকজন জঙ্গিসহ কয়েক হাজার অপরাধীকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা সম্পুর্ণ ধ্বংস করেন তারা।</p> <p>স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এতে সকারের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। যা একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। সরকার এর সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারী স্বাধীনতাবিরোধীরা কোনদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বেভৌমত্ব এবং উন্নয়নে বিশ্বাসী নন। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট করতে চাচ্ছেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে এমন করেছিল এই গোষ্টী। এরা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পারদর্শী। এই গোষ্টী ব্রিটেনসহ বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বিষয়টিকে অন্যখাতে প্রবাহিত করতে চাইছে।</p>