<p>একটি দেয়ালে যদি পাথর ছুঁড়ে মারা হয়— তা সরাসরি দেয়ালে গিয়ে লাগবে। মাঝপথে পাথরের আর কোনো কাজ নেই। কিন্তু যদি ইলেকট্রন ছুঁড়ে মারা হয়! এক্ষেত্রে সেই ইলেক্ট্রনকে বাতাসের এক সমুদ্র ইলেকট্রন পেরিয়ে যেতে হবে। মাঝে অনেক কাণ্ডই ঘটতে পারে। যেমন ছোঁড়া ইলেকট্রনটি একটি ফোটন ত্যাগ করতে পারে। বা আরেকটি ফোটনের সাথে যুক্ত হয়ে পজিট্রন তৈরি করতে পারে।</p> <p>এই সকল ঘটনা গ্রাফিক আকারে প্রকাশ করার পদ্ধতিই হচ্ছে ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম। ১৯৪০ সালে মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান এই ডায়াগ্রাম তৈরি করেন। একটি কণা অপর একটি করার সাথে কী আচরণ করে— তা বোঝাই ছিল এই চিত্রের উদ্দেশ্য। কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানের সকল ঘটনা ফাইনম্যান-ডায়াগ্রামের মাধ্যমে চিত্রাকারে ফুটিয়ে তোলা যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিম স্প্লিটার আসলে কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730190493-a3105bc5bfbf1ce294c2f5d6435f5068.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিম স্প্লিটার আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/29/1440413" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশ বেশ জটিল। ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম সেই জটিল হিসাবগুলো চিত্র আকারে সহজে প্রকাশ করে। কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্বে, কণা মূলত কম্পন। ইলেকট্রন-কম্পন, প্রোটন-কম্পনের সাথে কী আচরণ করে, তা জানা যায় কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানে। ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম সেই আচরণই দ্বিমাত্রিক নকশায় প্রকাশ করে। এই ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে ইলেকট্রন-ইলেকট্রন বিকর্ষণ কিংবা ইলেকট্রন-প্রোটন আকর্ষণ সহজে বোঝা যায়।</p> <p>একটি ইলেকট্রন অপর ইলেকট্রনের কাছাকাছি এলে 'ভার্চুয়াল ফোটন' বিনিময় করে। এতে বিপরীতমুখী ভরবেগ কার্যকর হয়। যাকে বলা হয় বিকর্ষণ। আকর্ষণ বলও একই। তবে তাতে ঋণাত্মক ভরবেগ কাজ করে। ভার্চুয়াল ফোটন বিশেষ এক ধরনের কণা। যা বস্তু জগতের নিয়ম-কানুন মেনে চলে না। এরা আলোর থেকেও বেশি বেগে চলতে পারে। আবার যেতে পারে অতীতেও। ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম থেকেই এই কণার ধারণা পাওয়া যায়।</p> <figure class="image"><img alt="কোয়ান্টাম কণার গতিবিধি বোঝার জন্যও ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম একটা চমৎকার কৌশল।" height="759" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/10/30/my1182/1.jpg" width="600" /> <figcaption>কোয়ান্টাম কণার গতিবিধি বোঝার জন্যও ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম একটা চমৎকার কৌশল</figcaption> </figure> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পারমাণবিক বোমার আঁতুড়ঘর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730189413-99aeefc709447f5d8c34de594457e4e2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পারমাণবিক বোমার আঁতুড়ঘর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/29/1440407" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> <br /> কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের ঘটনাগুলোকে ফাইনম্যানের ডায়াগ্রাম একক চিত্রের মধ্যে তুলে ধরে। এতে কণার আচরণ খুব সহজেই উপলব্ধি করা যায়।</p> <p>ফাইনম্যান ডায়াগ্রামের সফলতা দুটো। ভার্চুয়াল কণার ধারণা এবং বিগ ব্যাংয়ের পর পদার্থ ও প্রতিপদার্থের অসমতার রহস্য উন্মোচন। শূন্যস্থানে প্রতিমুহূর্ত ভার্চুয়াল কণা জন্ম নিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই আবার ধ্বংস হয়ে শক্তি বিকিরণ করছে। তাছাড়া বিগ ব্যাংয়ের সময় সমপরিমাণ পদার্থ এবং প্রতিপদার্থ তৈরি হওয়ার কথা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ডিকোরেহেন্স" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730095537-3fb2db6cccf4a23383383394b28b2b31.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ডিকোরেহেন্স</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440015" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কিন্তু আমরা শুধু পদার্থই দেখতে পাই। ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম জানায়, প্রতিপদার্থ সময়ের উলটো দিকে চলে। হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের সময় আরও একটি মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল, যেখানে সময়ের দিক উলটো। হতে পারে প্রতিপদার্থ সেই মহাবিশ্বেই রয়েছে।</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> কোয়ন্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব<br /> কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞান<br /> সরলীকরণ<br /> কোয়ান্টাম বর্ণ বলবিদ্যা</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>রিচার্ড ফাইনম্যান</strong><br /> ১৯১৮-১৯৮৮<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষক, ফাইনম্যান-ডায়াগ্রামের আবিষ্কারক।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> লিওন ক্লিফর্ড</p>