ঢাকা, রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫
২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫
২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৮ রমজান ১৪৪৬

৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে। 

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদেশ যাত্রার বিষয়টি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের ৭ চিকিৎসক, নার্স ও তিন সহকারীসহ ১৬ জন তার সঙ্গে যাবেন।

সবার ভিসা প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

আরো পড়ুন
সুপারিশমালার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে সড়কের শৃঙ্খলা

সুপারিশমালার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে সড়কের শৃঙ্খলা

 

এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে লন্ডনের কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা রয়েছে এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে পাঠানো হবে, সেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আরো পড়ুন
শেষ হলো নিষেধাজ্ঞা, আজ থেকে ধরা যাবে ইলিশ

শেষ হলো নিষেধাজ্ঞা, আজ থেকে ধরা যাবে ইলিশ

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলস্বরূপ গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।

৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে মুক্ত হন আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাত খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন।

অসুস্থ খালেদা জিয়াকে একাধিকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে।

তিনি দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটিয়েছেন। সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, তাই দেশে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
 

মন্তব্য

দুইজনকে পদায়ন করল ছাত্রদল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুইজনকে পদায়ন করল ছাত্রদল
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) হিসেবে দুইজনকে পদায়ন করা হয়েছে।

আজ শনিবার ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক দুই পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

এক পত্রে সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) হিসেবে আরিফুল ইসলাম আরিফকে পদায়ন করা হয়েছে।

আরেক পত্রে মো. নাজমুচ্ছাকিবকে সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) হিসেবে পদায়ন করার কথা জানিয়েছেন রিজভী।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুষ্কৃতকারীদের আধিপত্য থাকলে সরকার কেন, প্রশ্ন রিজভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুষ্কৃতকারীদের আধিপত্য থাকলে সরকার কেন, প্রশ্ন রিজভীর
রুহুল কবীর রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখন কেন সমাজের মধ্যে অস্থিরতা থাকবে। এখন একটি কথা বেরিয়েছে আপনারা জানেন, মব কালচার। এই মব কালচার তৈরি হলো কেন?’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের সমর্থিত সরকার।

এই মব কালচারে সমাজে কত যে নিপীড়ন-নির্যাতন হচ্ছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। কত নারী ও কন্যাশিশু নিপীড়িত হচ্ছে এর পরিসংখ্যান অল্পই আসে।’

আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র‌্যালির আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এই র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

এতে বেগুনি রঙের শাড়ি পরে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

আরো পড়ুন
বৈষম্যবিরোধীদের কথা বলে অনেকে অফিস-আদালতে ভাগ চাইছে : সেলিমা রহমান

বৈষম্যবিরোধীদের কথা বলে অনেকে অফিস-আদালতে ভাগ চাইছে : সেলিমা রহমান

 

মহিলা পরিষদের মাসিক প্রতিবেদনের বরাতে রিজভী বলেন, ‘জানুয়ারি মাসেই কন্যাশিশু নির্যাতিত হয়েছে প্রায় ৮৫ জন, নারী নির্যাতিত হয়েছেন ১২০ জন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭ জন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১৪ জন।

এত ভয়ংকর পরিস্থিতি। এটাই শেষ নয়, সংখ্যা হয়তো আরো বাড়বে। কেন এই পরিস্থিতি চলছে?’

তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রধান দায়িত্ব সমাজের মধ্যে শান্তি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। আর সেখানে যদি নারী ও কন্যারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, আমার-আপনার কন্যাসন্তান স্কুলে গিয়ে যদি নিপীড়িত হয়ে ফিরে আসে, এই লজ্জা এই জাতির ও দেশের। এই লজ্জা যারা একাত্তরে শহীদ হয়েছেন, যারা জুলাই বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ হয়েছেন।

সেই শহীদদের অপমান করা। কেনো দুষ্কৃতকারীরা আধিপত্য বজায় রাখবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে? তাহলে সরকার কিসের জন্য?’

রিজভী বলেন, ‘মায়ের কাছ থেকে আমরা প্রথম নৈতিকতার বাণী শুনি। সুতরাং সেই নারীকে যদি আমরা খোঁয়াড়ের মধ্যে আবদ্ধ রাখি, বন্দিশালায় রাখি, আজকের উন্নতির-অগ্রগতির যুগে, যখন মানব আত্মার বিকাশের পথে, সেখানে এই বন্দি করে রাখার কোনো মানে হয় না। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, লেখাপড়ায় প্রত্যেকটি জায়গায় মেধায়-মননে পুরুষের চাইতে মেয়েরা কম নয়। তাদের যদি আমরা আটকে রাখি, বন্দি রাখি, তাহলে সমাজ কোনো দিন এগোবে না।’

শোভাযাত্রাতে আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।

মন্তব্য

বৈষম্যবিরোধীদের কথা বলে অনেকে অফিস-আদালতে ভাগ চাইছে : সেলিমা রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বৈষম্যবিরোধীদের কথা বলে অনেকে অফিস-আদালতে ভাগ চাইছে : সেলিমা রহমান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘যেখানে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময় ফ্যাসিস্ট (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে, সেখানে কেন এখনো নারী ধর্ষণ হচ্ছে? আমরা ভেবেছিলাম, যারা দেশে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করছে তাদের ওপর বর্তমান সরকার কঠোর হবে।’

আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোভাযাত্রার আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সেলিমা রহমান এসব কথা বলেন। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে বেগুনি রঙের শাড়ি পরে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান বলেন, ‘৫ আগস্টের বিপ্লবে আমাদের যে তরুণ সমাজ, ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত দিয়ে এই যে স্বাধীনতা এনেছেন, যেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে, সেখানে কেন এখনো নারী ধর্ষণ হচ্ছে? বাসে-বাসে হচ্ছে, পথে-ঘাটে নারীকে হেনস্তা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মাগুরার কাহিনি দেখেন, একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশ্ববিখ্যাত নন্দিত নেতা। আমরা তার কাছে আশা করেছিলাম এই সময়ে কঠোর হস্তে, যারা বিভিন্ন অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, দেশকে আজ অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের ওপর কঠিন হবেন এবং শাস্তি দেবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, সমাজে যে অস্থিরতা-অস্থিতিশীলতা, সমাজে যে মব জাস্টিস, সমাজে যে নারী ধর্ষণ, এটা যদি বন্ধ করতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশের জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তোমরা এখন দল করেছে, আমরা স্বাগত জানাই। আজকাল ছাত্র-জনতা বলে, বৈষম্যবিরোধী বলে, যে কেউ দু-তিনজন করে বিভিন্ন জেলার অফিস-আদালতে গিয়ে বসে থাকছে, তারা ভাগ চাইছে। এখন তোমাদের উচিত, তাদের সাথে কথা বলে তাদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।

শোভাযাত্রায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।

মন্তব্য

সরকার নারীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে পারছে না : সারজিস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সরকার নারীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে পারছে না : সারজিস
সংগৃহীত ছবি

নারীদের জন্য যতটা নিরাপত্তা দরকার ছিল, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ততটা নিশ্চিত করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা ও সাইবার সুরক্ষার দাবিতে শনিবার (৮ মার্চ) জাতীয় জাদুঘরের সামনে এনসিপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নারীদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, মা-বোন-নারীর যতটুকু নিরাপদ ফিল করার কথা, ততটুকু নিরাপত্তা এই রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারছে না। শকুনদের চোখ থেকে মা-বোনদের রক্ষা করা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র এক জিনিস, ধর্ম আরেক জিনিস। রাষ্ট্র সবাইকে ধারণ করে। রাষ্ট্রকে ঘর মনে করলে চলবে না। আমি কোন কথাটি কোথায় বলতে পারবো, তা মাথায় রাখতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে এনসিপির এ নেতা বলেন, কেউ যেন কারও ব্যক্তিগত বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপিয়ে না দেয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে। মব কালচার ব্যবহার করে বোনদের হেনস্তা করলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত হবে। আজকের পর থেকে কথা নয়, কাজ দেখতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের বোনদের জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে পেয়েছি, তাদেরকে আমরা দলের ডিসিশন মেকিংয়েও সামনের সারিতে চাই।

কিন্তু, যেসব নারী এনসিপিতে যোগ দিচ্ছে তাদের স্পেসিফিক টার্গেট করে তাদের নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।

এ সময় নবগঠিত এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, দেশে নারীদের সাথে যা হচ্ছে তা নারী দিবসের বিরোধী। নাগরিক হিসেবে নারীরা যে সম্মান পাওয়ার কথা তা ৫৩ বছরেও পায়নি। নতুন করে আইন ঢেলে সাজাতে হবে। যাতে নারীরা সার্বক্ষণিক নিরাপদ বোধ করতে পারে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ