ঢাকা, রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫
২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫
২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৮ রমজান ১৪৪৬

ভারত যা করছে এর মাসুল তাদেরই দিতে হবে : অনিন্দ্য অমিত

যশোর অফিস
যশোর অফিস
শেয়ার
ভারত যা করছে এর মাসুল তাদেরই দিতে হবে : অনিন্দ্য অমিত
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ‘অহেতুক উত্তেজনার কোনো কারণ নেই। ভারত যা করছে এর মূল্য (মাসুল) ভারতকেই দিতে হবে। কারণ এই বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান-খ্রিস্টান সবার। আমি বিশ্বাস করি, এই দেশের মানুষ কোনো ধর্মের মানুষের ওপরে আঘাত আনতে দেবে না।

’ 

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের পর এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘যখন ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয় তখন দেশের নাগরিকের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। এ কারণেই আজকের এই বিক্ষোভ। আমাদের একটি পরিচয়, আমরা বাংলাদেশি।

’ 

অনিন্দ্য অমিত বলেন, ‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ভারতের সমর্থনের কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ঋণ শোধ করতে এই ৫৩ বছরে প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে এ দেশের মানুষ চেষ্টা করেছে। আমরা জানি না, সীমান্তে আর কত লাশ পড়লে এ ঋণ শোধ হবে।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবিরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোনো দল হুমকি দিলে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে না : টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কোনো দল হুমকি দিলে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে না : টুকু
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা

ছাত্রদের গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘নতুন দল করেছ ভালো কথা। কিন্তু দল করে যদি হুমকি-ধমকি দাও, যে এটা না হলে ওটা হবে না, ওটা না হলে এটা হবে না। তাহলে আমরা যে এত দিন দল করে, এত বড় একটা দল তৈরি করছি, তাহলে কি আমরা চুপ করে বসে থাকব? বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে না।’

শনিবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।

আরো পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘ভারতের ইতিহাস জানেন কিনা? আসামে একবার উন্নয়ন হচ্ছিল না। তখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তখন আসামের ছাত্ররা আন্দোলন করে সেখানকার কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়েছিল।

পরে অসম অধিকার পরিষদ নামে একটি ছাত্র পরিষদ করেছিল। তারা নির্বাচন করে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা সরকার বেশিদিন চালাতে পারেনি। ৯ মাস কি এক বছর বয়স হয়েছিল, তারপরে সেই সরকারেরও পতন হয়েছিল।
সুতরাং এটা নয় যে পৃথিবীর ইতিহাসে ছাত্ররা সরকার গঠন করেননি। কিন্তু ছাত্ররা চালাতে পারেননি। আপনারা (ছাত্ররা) রাজনৈতিক দল করেছেন। কিংস পার্টি বললে, আপনারা বলেন জিয়াউর রহমান কিংস পার্টি করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের ম্যান্ডেট লাগেনি, এই কথা বললে ভুল হবে।
তিনি জনগণের কাছে গেছেন। হ্যাঁ-না ভোট করেছেন। তারপর তিনি এই দেশে রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেছেন। যা আজকে দেশের সবচেয়ে বড় দল। যে দলের একটি কর্মীও নির্যাতনের মুখে ভয় পায় না, দল ছেড়ে অন্য কোথাও যায় না। এটা একদিনে হয়নি। তাই জিয়াউর রহমানের সঙ্গে এই দলের তুলনা করলে আপনারা (এনসিপি) ভুল করবেন। এতে আপনারাও নতুন করে চিন্তা করা শিখবেন না। আপনারা জিয়া হয়ে যাননি। যাদের কথা ছিল দেশের মানুষকে আলো দেখাবে, যাদের দেশের মানুষ ভোট দিয়েছিল, ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন তারা কেউ নাই। আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস তা ওই রাতেই শুরু হয়েছে। ৭১ সালে তারা পালিয়ে ভারতে চলে গেল। তখন বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষকে রক্ষা করার কোনো লোক ছিল না। সেই সময় এক মেজর স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অন্ধকারের মধ্যে জিয়াউর রহমান আলো দেখিয়েছিলেন।’

পহেলা বৈশাখের সঙ্গে ধর্মের কোনো দ্বন্দ্ব নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আমি খুব আতঙ্কিত হই। যে এ দেশে মানুষ আমরা, আমাদের যে মাটি সংস্কৃতি আছে, সেটার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি আমরা। জিয়াউর রহমান সাহেব যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, পহেলা বৈশাখের মধ্যরাতে রমনা বটমূলে গেছেন, উদযাপন করেছেন। কেননা এটা আমাদের মাটি থেকে অনুষ্ঠানটি উঠে এসেছে। গ্রাম-গঞ্জেও এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। আমাদের কৃষকও এই অনুষ্ঠান পালন করে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। প্রত্যেকটি দেশের নাগরিক তাদের নৃতাত্ত্বিক সংস্কৃতি আছে। সুতরাং এ জিনিসগুলোকে বন্ধ করার যে অপচেষ্টা চলছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা, ঘোলা পানি তৈরি করা, যাতে আবার পতিত সরকার ঘোলা পানিতে প্রবেশ করতে পারে।

আরো পড়ুন
নারী ও শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মশাল মিছিল

নারী ও শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মশাল মিছিল

 

আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য অনেক কঠিন হবে জানিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন হবে। আমিও বলছি, সবচেয়ে কঠিন হবে। আমাদের নানা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কেউ ধর্মের ট্যাবলেট বেচছে, কেউ খেলাফতের ট্যাবলেট বেচছে, নানাজন নানা ট্যাবলেট দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মন নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশে মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেওয়া জাতীয়তাবাদকে বিশ্বাস করে। যাকে বলে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে থাকা।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, উপদেষ্টা মো. আবুল কাশেম, সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।

মন্তব্য

আ. লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছেন মেয়েরা : সামান্তা শারমিন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছেন মেয়েরা : সামান্তা শারমিন
সংগৃহীত ছবি

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত বছর ১৪ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা ‘আওয়ামী লীগের রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং সেই রাতেই ‘বাংলাদেশের সব কিছু বদলে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

সামান্তা শারমীন বলেন, ‘১৪ জুলাই পুরা বাংলাদেশের সব কিছু বদলে গেছে, শুধু ১৪ জুলাই রাতের জন্য—এটা আমাদের বলতেই হবে। ১৪ জুলাই প্রতিটি হলের মেয়েরা আওয়ামী লীগের একমাত্র ন্যারেটিভ রাজাকার.. একমাত্র ন্যারেটিভকে ভেঙে দিয়েছেন মেয়েরা।

আমাদের আপ্রাইজিংয়ের বাঁকে বাঁকে অনেক ধরনের টার্নিং মোমেন্ট ছিল, যেখানে আসলে আমরা হয়তো হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম, আবার আমরা আপলিফট হয়েছি। কিন্তু আপ্রাইজিংয়ের পুরো ন্যারেটিভটা বদলে দিয়েছেন...এটার পুরোটার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন মেয়েরা—এটা আমাদের বলতে পারতেই হবে এবং সেটা ঘটেছে ১৪ জুলাই।’

আরো পড়ুন
জাহাঙ্গীরনগরে ‘নারীর চোখে পৃথিবী’ প্রদর্শনী

জাহাঙ্গীরনগরে ‘নারীর চোখে পৃথিবী’ প্রদর্শনী

 

এনসিপি নেতা সামান্তা বলেন, ‘আমি একেবারেই চাই না যে ফর সেক অব উইমেন পার্টিসিপেশন, কেউ হচ্ছে যোগ্যতা না থাকলেও কোথাও যাক— এটা আমি চাই না। এটা ক্লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার—এটা আমি চাই না।

তার মানে হচ্ছে আমাদের কাজ হচ্ছে মেয়েদের যোগ্য করে তোলা... যত রকমের প্রসেস নেওয়া যায় এবং একদম ব্যক্তিগত পার্টিসিপেশন থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে শুরু করে যতভাবে মেয়েদের এখানে পলিটিক্যালি গ্রুমিং করা যায়, পলিটিক্যালি এস্টাবলিশ করা যায় তাদের।’

নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে সামান্তা বলেন, ‘এটা আমাদের দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। এটা স্টেটের কাজ, এটা আমাদের করার কথা না। কিন্তু তার পরও যখন করতে হচ্ছে আমরা করব।

কারণ এটা যদি না করি তাহলে আবার দেখা যাবে আমরা পুরনো গ্যাড়াকলে পড়ে যাচ্ছি। তো এই গ্যাড়াকলে আমরা আর পড়তে চাই না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই যোগ্যতার ভিত্তিতে নারী নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। যোগ্য নয়, কিন্তু তার পরও বসিয়ে দিলে এটা আমাদের জন্য খুবই খুবই...এটা লং টার্মে আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, যোগ্য করে তুলতে হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে বসাতে হবে।

সামান্তা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচকানাচে নারীদের কথা বলার জন্য এবং তাদের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য নানা ধরনের আয়োজন দেখতে পাচ্ছি। এসব আয়োজন আমাদের নানা মাত্রায় নিতে হবে। আলোচনা-সমালোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এর সঙ্গে রাজনীতিও গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুজনকে পদায়ন করল ছাত্রদল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুজনকে পদায়ন করল ছাত্রদল
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) হিসেবে দুজনকে পদায়ন করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক দুই পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

এক পত্রে সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) হিসেবে আরিফুল ইসলাম আরিফকে পদায়ন করা হয়েছে।

আরেক পত্রে মো. নাজমুচ্ছাকিবকে সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) হিসেবে পদায়ন করার কথা জানিয়েছেন রিজভী।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুষ্কৃতকারীদের আধিপত্য থাকলে সরকার কেন, প্রশ্ন রিজভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুষ্কৃতকারীদের আধিপত্য থাকলে সরকার কেন, প্রশ্ন রিজভীর
রুহুল কবীর রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখন কেন সমাজের মধ্যে অস্থিরতা থাকবে। এখন একটি কথা বেরিয়েছে আপনারা জানেন, মব কালচার। এই মব কালচার তৈরি হলো কেন?’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের সমর্থিত সরকার।

এই মব কালচারে সমাজে কত যে নিপীড়ন-নির্যাতন হচ্ছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। কত নারী ও কন্যাশিশু নিপীড়িত হচ্ছে এর পরিসংখ্যান অল্পই আসে।’

আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র‌্যালির আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এই র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

এতে বেগুনি রঙের শাড়ি পরে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

আরো পড়ুন
বৈষম্যবিরোধীদের কথা বলে অনেকে অফিস-আদালতে ভাগ চাইছে : সেলিমা রহমান

বৈষম্যবিরোধীদের কথা বলে অনেকে অফিস-আদালতে ভাগ চাইছে : সেলিমা রহমান

 

মহিলা পরিষদের মাসিক প্রতিবেদনের বরাতে রিজভী বলেন, ‘জানুয়ারি মাসেই কন্যাশিশু নির্যাতিত হয়েছে প্রায় ৮৫ জন, নারী নির্যাতিত হয়েছেন ১২০ জন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭ জন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১৪ জন।

এত ভয়ংকর পরিস্থিতি। এটাই শেষ নয়, সংখ্যা হয়তো আরো বাড়বে। কেন এই পরিস্থিতি চলছে?’

তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রধান দায়িত্ব সমাজের মধ্যে শান্তি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। আর সেখানে যদি নারী ও কন্যারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, আমার-আপনার কন্যাসন্তান স্কুলে গিয়ে যদি নিপীড়িত হয়ে ফিরে আসে, এই লজ্জা এই জাতির ও দেশের। এই লজ্জা যারা একাত্তরে শহীদ হয়েছেন, যারা জুলাই বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ হয়েছেন।

সেই শহীদদের অপমান করা। কেনো দুষ্কৃতকারীরা আধিপত্য বজায় রাখবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে? তাহলে সরকার কিসের জন্য?’

রিজভী বলেন, ‘মায়ের কাছ থেকে আমরা প্রথম নৈতিকতার বাণী শুনি। সুতরাং সেই নারীকে যদি আমরা খোঁয়াড়ের মধ্যে আবদ্ধ রাখি, বন্দিশালায় রাখি, আজকের উন্নতির-অগ্রগতির যুগে, যখন মানব আত্মার বিকাশের পথে, সেখানে এই বন্দি করে রাখার কোনো মানে হয় না। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, লেখাপড়ায় প্রত্যেকটি জায়গায় মেধায়-মননে পুরুষের চাইতে মেয়েরা কম নয়। তাদের যদি আমরা আটকে রাখি, বন্দি রাখি, তাহলে সমাজ কোনো দিন এগোবে না।’

শোভাযাত্রাতে আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ