ঢাকা, সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬

বিপ্লবীদের ঘায়েল করতে নিশানা ঠিক করছে : সাদিক কায়েম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিপ্লবীদের ঘায়েল করতে নিশানা ঠিক করছে : সাদিক কায়েম
সাদিক কায়েম। সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের ঘায়েল করতে নিশানা ঠিক করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।

বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাদিক কায়েম তার পোস্টে বলেন, ‘রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় মিনহাজুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের মধ্যে দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়েছে।

চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা আসছে বিভন্ন মাধ্যমে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়, আইন প্রয়োগের জায়গায় হচ্ছে ঢিলেমি।’

আরো পড়ুন
দাফনের ৬ মাস পর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত সবুজের লাশ উত্তোলন

দাফনের ৬ মাস পর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত সবুজের লাশ উত্তোলন

 

তিনি বলেন, ‘চিহ্নিত অপরাধীরা নিজেদের বন্দোবস্ত করতে পারলে বিপ্লবীদের পরিণতি কী? ঠিক কতদিন গড়ালে সন্ত্রাসী, গণহত্যাকারী সংগঠন লীগের বিচার হবে? ঠিক কোন সাহসে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে? না কি তাদের পুনর্বাসন করার আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে!’

ঢাবি শিবিরের আলোচিত সাবেক এ সভাপতি আরো বলেন, ‘চারদিকে যখন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতা হচ্ছে, বিপ্লবীদের ঘায়েল করতে নিশানা ঠিক করছে; ঠিক তখন আমরা জাতীয় বিভাজনে ব্যস্ত। পতিত ইস্যু নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছি!’

‘এতো বিসর্জনে কি প্রাপ্তি খাতাটি শূন্য থেকে যাবে? এই রক্ত, ঘাম সবই কি অর্থহীন? জুলাইকে ঘিরে আমাদের ইউনিটির যে বিন্দু ফিরে এসেছিল সেখানে ফিরে যেতে হবে।

ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের সংগ্রাম নিরন্তর...।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘সরকারের কিছু ব্যক্তির কথাবার্তায় মনে হয় তারা লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘সরকারের কিছু ব্যক্তির কথাবার্তায় মনে হয় তারা লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন’
সংগৃহীত ছবি

‘সরকারের কিছু ব্যক্তির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে তারা মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন স্টেটমেন্ট থেকে কনফিউশন তৈরি হচ্ছে, মানুষ কনফিউজড হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বার আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত ৩১ দফা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, বিগত ১৫-১৬ বছরে প্রত্যেকটি সেক্টরে কী অরাজকতা হয়েছে, কী অন্যায় হয়েছে, তা আপনাদের স্মৃতিতে রয়ে গেছে।

আপনারা বিভিন্ন নির্যাতন-অত্যাচারের কাহিনি শুনেছেন। বর্তমানে আলোচিত শব্দ ‘বৈষম্যের’ শিকার হয়েছেন। বিএনপিসহ যেসব দল মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিল, তাদের নেতাকর্মীদের কী অবস্থা হয়েছে, আপনারা চাক্ষুষ দেখেছেন। সব ক্ষেত্রে একটা ভঙ্গুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যে সময় কেউ সাহস করেনি, তখন বিএনপি ৩১ দফা উপস্থাপন করেছে। আজ যারা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তাদের অনেকেই তখন সংস্কারের ধারে-কাছেও ছিলেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না এলে কোনো সংস্কার প্রস্তাবই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সরকারের কিছু ব্যক্তির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে তারা তাদের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন।

’ দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের তাগিদ দেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘কোন নির্বাচন আগে হবে, কোন নির্বাচন পরে হবে—এমন দাবি থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে। আমরা বাইরে তাকালে বিভিন্ন অস্থিরতা দেখতে পাই। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে, দেশের মানুষ যে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করা এবং দেশের মানুষকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করা।

আমরা লক্ষ করছি, সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তা দেখে মনে হচ্ছে তারা সম্ভবত তাদের লক্ষ্য থেকে কিছুটা বিচ্যুত হচ্ছেন। বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন স্টেটমেন্ট থেকে কনফিউশন তৈরি হচ্ছে, মানুষ কনফিউজড হচ্ছে।’

‘রাজনীতিতে যখন কনফিউশন থাকবে, তখন অস্থিরতা তৈরি হবে। অস্থিরতা যদি থাকে, আমরা যে যতই সংস্কারের কথা বলি না কেন, কোনোটাই সফল হবে না। রাজনীতি অস্থির হলে, এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে, আর অর্থনীতির প্রভাব পড়বে সব কিছুতে। তার অন্তর্বর্তী সরকারসহ সব মানুষের এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশকে যত দ্রুত সম্ভব একটি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসা,’ বলেন তিনি।

মন্তব্য

আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে : বিএনপি নেত্রী শিরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে : বিএনপি নেত্রী শিরিন
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপির নেত্রী অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেছেন, ‘আমি সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি চিহ্নিত মহল আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। যেখানে তারা মিডিয়াকে ব্যবহার করছে।’

রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বিএনপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু গত ১১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় শিরিনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর তার পদ স্থগিত রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন
পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, চতুর্থ স্ত্রী গ্রেপ্তার

পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, চতুর্থ স্ত্রী গ্রেপ্তার

 

সংবাদ সম্মেলনে বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৪০ বছরের অধিক সময় সততার সঙ্গে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদের (বাকসু) ১৯৯০ সালের এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলাম।

৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। পরবর্তীতে বিএনপির কর্মী হিসেবে বরিশালের রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে নেত্বত্ব দিয়ে, দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ১/১১ সরকারের সময়ে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের একজন বিশ্বস্ত কর্মী হিসাবে কাজ করছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, পুলিশি নির্যাতন উপেক্ষা করেছি।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বরিশাল বিভাগের সব নেতাকর্মীকে নিয়ে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে রাজপথে থেকেছি।’ 

তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আন্দোলনে সবার সঙ্গে সমন্বয় করেছি। বিগত ৫ আগস্টের পরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে কাজ করে যাচ্ছিলাম। ঠিক এমন সময় ১১ আগস্ট তারিখে একটি পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে ‘পুকুর দখলের’ একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচার করা হয়। যা উদ্দেশ্যেমূলকভাবে প্রচার হয়।

ওই সংবাদ আমাকে ভীষণভাবে বিস্মিত ও হতবাক করেছে।” 

তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘পুকুর দখল কথাটি মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক। গত ৭০ বছর আগে ক্রয়সূত্রে আমার দাদা এই জমির রেকর্ডীয় মালিকানায় ভোগ দখল করে আসছে। ওই জমিতে আরো ২০-২৫ জন ওয়ারিশ রয়েছেন। খাজনাসহ সরকারি অন্যান্য ফি তারাই পরিশোধ করে আসছেন। ইতিমধ্যে অনেক ওয়ারিশ তাদের অংশ বিক্রি করেছেন এবং সেখানে জলাশয় ভরাট করে স্থাপনাও নির্মিত হয়েছে। ওয়ারিশ হিসেবে আমার বাবা ৩ শতকের মালিক। যেখানে বাবার ওয়ারিশ হিসাবে আমি আধা-শতাংশেরও কম জমির মালিক। অথচ উদ্দেশ্যেমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে ১০ কোটি টাকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আমাকে, আমার পরিবার ও আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। ওই জলাশয়টি ২০-২৫ বছর আগেই অধিকাংশ ভরাট করা হয়েছিল। তা ছাড়া জলাশয় ভরাটের ক্ষেত্রে আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তারা কেউ আমার অধীন, তারা সকলেই ওয়ারিশ সূত্রে মালিক।’

শিরিন বলেন, ‘ওই পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি আগেও আমার বিরুদ্ধে একাধিকবার ষড়যন্ত্রমূলক, অসত্য, বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছেন। সাংগঠনিকভাবে আমার ও আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই অসত্য সংবাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বরিশাল বিভাগ থেকে বিএনপির প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে শতাধিক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আমি তৃণমূল থেকে উঠে এসে আজকের বিলকিস জাহান শিরিন। কিন্তু যেখানে আমাকে সকলে মিলে সহযোগিতা করার কথা, পাশে থাকার কথা, সেখানে কিছু নষ্ট-ভ্রষ্টরা আমার ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। রাজপথে টিকতে না পেরে, অন্ধকার দিয়ে আমার পথরোধ করার চেষ্টা করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে, ক্রয়সূত্রে জমির মালিকানার দলিল, ওয়ারিশদের তালিকা, খাজনা আদায় রসিদ, এলাকাবাসীর প্রতিবাদলিপি উপস্থাপন করা হয়।

মন্তব্য

সুরমা-কুশিয়ারায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে বিএসএফের বাধা, জামায়াতের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সুরমা-কুশিয়ারায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে বিএসএফের বাধা, জামায়াতের প্রতিবাদ
সংগৃহীত ছবি

বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সিলেট জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে বাংলাদেশের বেড়িবাঁধ নির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

আজ রবিবার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সিলেটের দুটি বড় নদী সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে বাংলাদেশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করলে ভারতীয় বিএসএফ বারবার বাধা দিচ্ছে। এমনকি বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ না করলে সরাসরি গুলি ছোড়ার হুমকি দিচ্ছে।

বিএসএফের হুমকিতে গত ৪ মাস যাবৎ ৩০টি স্থানে বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে।’

বিবৃতিতে জামায়াত বলেছে, ‘এ বাঁধ নির্মাণ না করতে পারলে আগামী বর্ষা মৌসুমে সিলেট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, সুনামগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ ও ওসমানী নগর অঞ্চলের ১৪/১৫ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত বাংলাদেশকে কিছুতেই বাধা দিতে পারে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাংলাদেশকে বাধা দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বাংলাদেশকে বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাধা প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই ভারতের বাধা উপেক্ষা করে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে ৮০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’

মন্তব্য

‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে বিএনপি আবারও মাঠে নামবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
শেয়ার
‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে বিএনপি আবারও মাঠে নামবে’
ছবি : কালের কণ্ঠ

জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে বিএনপি আবারও মাঠে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বান্দরবান জেলা বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় রাজার মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী গুম, খুন, মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি হয়েছে।

অথচ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বুঝিয়ে দিয়েছে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে যারা স্থানীয় নির্বাচন করতে চান, তাদের আমি বলতে চাই, বাবার আগে কি সন্তান হয়?’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুত। ইউনূস সাহেব একজন ভালো লোক। তিনি পরিচ্ছন্ন একটি নির্বাচন উপহার দেবেন।

যদি জঙ্গি-ভূতের খপ্পরে পড়ে কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তবে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে বিএনপি আবারও আন্দোলনে নামবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ