কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ : দুর্গাপুরের সেই স্বাস্থ্য সহকারীর বেতন-ভাতা বন্ধ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ : দুর্গাপুরের সেই স্বাস্থ্য সহকারীর বেতন-ভাতা বন্ধ
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে টিকার সরঞ্জাম গেলেও সেখানে যাননি দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী মো. হযরত আলী। এ নিয়ে কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন। এবার ওই স্বাস্থ্য সহকারীর বেতন-ভাতা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বিষয়টি কালের কণ্ঠের এই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কেন্দ্রে আশপাশের এলাকার শিশুদের টিকা প্রদানের কথা থাকলেও সেখানে যাননি স্বাস্থ্য সহকারী মো. হযরত আলী। এ নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘স্বাস্থ্য সহকারীর অবহেলায় টিকা পেল না শিশুরা’ শিরোনামে কালের কণ্ঠ অনলাইন ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘স্বাস্থ্য সহকারী না যাওয়ায় টিকা পেল না শিশুরা’ শিরোনামে কালের কণ্ঠ প্রিন্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এলে স্বাস্থ্য সহকারী মো. হযরত আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, শনিবার নোটিশের জবাবে শারীরিক অসুস্থতা তুলে ধরেন সেই স্বাস্থ্য সহকারী। তবে তার বেতন-ভাতা সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা তার বেতন বন্ধ রেখেছি। একইসঙ্গে সেই কর্মস্থল থেকে তাকে সরিয়ে ওই স্থলে নতুন স্বাস্থ্য সহকারীকে যোগদান দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব গতকাল দাখিল করেছে সে। আজকে সিভিল সার্জন স্যারের কাছে ফরোয়ার্ড করতে পারিনি, তবে আগামীকাল ফরোয়ার্ড করব। পরবর্তীতে যে ব্যবস্থা নেওয়ার সিভিল সার্জন নেবেন বলে যুক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আখাউড়ায় বেশি দামে মাংস বিক্রির অভিযোগ, চার দোকানিকে জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
আখাউড়ায় বেশি দামে মাংস বিক্রির অভিযোগ, চার দোকানিকে জরিমানা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বেশি দামে মুরগি ও গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে চার দোকানিকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভীন রুহি পৌর এলাকার সড়ক বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি জানান, অভিযান চালানোর সময় মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে গরুর মাংস ও মুরগীর বিক্রি করছিল দোকানিরা। এ জন্য চার দোকানীকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তাহিরপুরে ঈদ উদযাপন

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তাহিরপুরে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন তিনটি গ্রামের মুসল্লিরা। রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আমতৈল জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে উপজেলার আমতৈল, রজনীলাইন, পুরানঘাট তিনটি গ্রামের দেড় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। 

ঈদ উদযাপকারী মুসল্লিরা জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জা কিল দরবার শরীফের অনুসারী তারা।

তাদের পূর্বপুরুষরা ওই দরবার শরীফের মুরিদ। সেখানকার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই রোজা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে।

আমতৈল গ্রামের আব্দুর রশিদ, ইমরান ও রতন মিয়া বলেন, ‌‌‌‘আমাদের পূর্বপুরুষদের মতানুসারে প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। ঈদের নামাজ পড়ে খুব ভালো লাগছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল, নিরাপদেই তারা ঈদ উৎসব পালন করছে।’

মন্তব্য

গাইবান্ধার কয়েক গ্রামে ঈদুল ফিতর পালন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
শেয়ার
গাইবান্ধার কয়েক গ্রামে ঈদুল ফিতর পালন

সৌদি আরবের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে কয়েকটি গ্রামের কিছু মুসল্লি। একদিন আগেই ঈদ পালনের বিষয়টি অনেক বছর ধরেই ওই গ্রামগুলোতে প্রচলিত রয়েছে। 

আজ রবিবার (৩০ মার্চ ) সকালে জেলার সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের মধ্যপাড়ায় নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজে ইমামতি ও খুতবা পাঠ করেন হাফেজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

 

সকাল থেকেই জেলার সদর উপজেলার,পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হেঁটে, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে তালুক ঘোড়াবান্ধা মধ্যপাড়ায় জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছাদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

ঈদের জামাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিশুসহ ৩০-৪০ জন মুসুল্লি ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা যথা নিয়মে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।

নামাজে আসা মুসল্লিরা বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ পড়তেই আজ এখানে এসেছি। সবাই মিলে ঈদুল ফিতর আদায় করলাম। এভাবেই ১০ বছর ধরে ঈদ করে আসছি। 

এদিকে, একদিন আগে ঈদ পালনে অপ্রীতিকর যেকোনো ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মন্তব্য

কুমিল্লায় অ্যাডভোকেট কালাম হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় অ্যাডভোকেট কালাম হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুমিল্লায় আলোচিত অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কুমিল্লা মহানগরীর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. বাচ্চু মিয়াকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

অভিযানে মো. ফাহিম নামে  তার একজন সহযোগিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তদের তল্লাশি চালিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ৫টি মোবাইলের সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। সহযোগি ফাহিমের নামে ডাকাতির মামলা রয়েছে।

তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম

আজ রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয়নগর এলাকায় যৌথ টহল দল একটি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাচ্চু মিয়া জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর কুমিল্লা নগরীতে আনন্দ মিছিল ও সহিংসতা শুরু হয়। আদালতে সহিংসতার খবর শুনে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমূল হক রিংকু, তার দুই ছেলে এবং অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন।

তখন নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে। এ সময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন এবং রিংকু ও তার দুই ছেলেসহ আরো ৬-৭ জন আইনজীবী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আবুল কালামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে এবং পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি মারা যান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আশা করছেন মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আজ রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ