গণহত্যার রিপোর্ট তৈরির শুরু থেকে যুক্ত থাকার সুযোগ হয়েছিল : সাদিক কায়েম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গণহত্যার রিপোর্ট তৈরির শুরু থেকে যুক্ত থাকার সুযোগ হয়েছিল : সাদিক কায়েম
ফাইল ছবি

ওএইচসিএইচআর কর্তৃক জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে শুরু থেকে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাদিক কায়েম বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও আওয়ামী গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তার পোষা বাহিনীর বর্বর গণহত্যা এখন শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কনসার্ন নয়, আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে এটি একটি কালো অধ্যায়।

’ 

আরো পড়ুন
সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

 

তিনি বলেন, ‘ওএইচসিএইচআর থেকে যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশ্বের দরবারে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নৃশংসতার দলিল তৈরি হয়েছে। এই রিপোর্টকে দল-মত-নির্বেশেষে ফ্যাসিবিরোধী সব শক্তিকে বহির্বিশ্বে প্রচার করা দরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওই প্রতিবেদন প্রণয়নে সব স্টেকহোল্ডারই কোনো না কোনোভাবে যথাসম্ভব সহযোগিতা করেছে।

রিপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে শুরু থেকে যুক্ত থাকার সুযোগ হয়েছিল আমার। এ কাজের অভিজ্ঞতার মধ্যে জুলাইয়ের কলেবর যে কত বিস্তৃত, কত মানুষের শাহাদাত আর আত্মত্যাগ ছিল, সেটাও উপলব্ধির সুযোগ হয়েছে।’

সাদিক কায়েম বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রণয়নে প্রতিটি কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও নিরেপক্ষতার সঙ্গে করা হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডারদের কেউই অসহযোগিতা করেননি বরং যাবতীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ধাপে ধাপে।

দিবালোকের মতো স্পষ্ট সত্য জেনে, বুঝেও শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থে একটি তথ্যকে মনগড়া অপব্যাখ্যায় উপস্থাপন না করে আসুন সম্মিলিতভাবে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে সরব হই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : নজরুল ইসলাম খান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এক দফা দাবি ছিল ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। একটা অর্জন হয়েছে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।

এ ব্যাপারে যেকোনো ষড়যন্ত্র, প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলের সামনে খোলা মাঠে আয়োজিত ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা একটা পরিবর্তন অর্জন করেছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা নিয়ে একটি বিশেষ দলের অপচেষ্টা ছিল।

যা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আজকেও একটা অপচেষ্টা দেখছি আমরা। বছরের পর বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে করতে, একটা পর্যায়ে এসে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটা পরিবর্তন অর্জন করেছি। লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে এসে এদেশের ছাত্র-জনতা যে অবদান রেখেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমরা স্মরণ করি।
এই অর্জন সারা দেশের মানুষের। এই অর্জন সারা দেশের ছাত্র, জনতা, শ্রমিক সবার।

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমরা ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছি গণতন্ত্রের জন্য। যে দেশে ভোটাধিকার নাই, সে দেশে গণতন্ত্র আছে তা বলা যায় না। আমাদের মূল লড়াই ছিল ভোটাধিকারের লড়াই।

আমরা গত ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। এখন আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। আমাদের আন্দোলনের ফসল আপনারা (সরকার)। যদি আপনারা মানুষের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার হরণ করতে চান, বাংলাদেশের মানুষ ঘরে বসে থাকবে না। স্বাধীনতার পরের সরকারকে এদেশের মানুষ সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিয়েছিল, কিন্তু আবার ইন্নালিল্লাহিও পড়েনি। সেই শিক্ষাটা আপনারা গ্রহণ করবেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারসহ ড্যাবের নেতা ও সারা দেশ থেকে আসা সংগঠনের সদস্যরা।

মন্তব্য

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফেরানোর আহ্বান সেলিমা রহমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফেরানোর আহ্বান সেলিমা রহমানের
সংগৃহীত ছবি

জনগণের আস্থা ফেরাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘আপনি শান্তির প্রতীক হয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন।’

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে সারা দেশে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়।

আরো পড়ুন
আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ইফতার করলেন ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ইফতার করলেন ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজে বসবাস করছি, যে সমাজে নারীরা নিরাপদ নন, যে দেশে কথায় কথায় ধর্ষণ হয়।

ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেলেও নারী, শিশুরা কেন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে? ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ধর্ষকদের কোনো বিচার হতো না। যারা গুম-খুন হত্যা করছিল তারাই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছিল। গত চার বছরে ৭ হাজার শিশুসহ ৪৩ হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছে।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, ‘আলোচনাও চলছে’

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, ‘আলোচনাও চলছে’

 

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহানা আক্তার সানু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের আহ্বায়ক রুমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব রুনা লায়লা প্রমুখ।

মন্তব্য

এক-এগারোর মতো বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে : তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এক-এগারোর মতো বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে : তারেক রহমান

এক-এগারোর মতো আবারও বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপি বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের সমর্থন পাবে এ বিষয়টি যত স্পষ্ট হচ্ছে, তত বেশি দলটিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ধীরে ধীরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বিএনপির বিরুদ্ধে একটি বিশাল ষড়যন্ত্র গড়ে উঠেছে।

সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের সহযোগিতা এখন বেশি করে প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

যুক্তি-তর্ক দিয়ে নতুন ভোটারদের বিএনপির প্রতি অনুপ্রাণিত করতে আহ্বান জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের জন্য একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মতপার্থক্য ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দিনের সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য

সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই : দুলু

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই : দুলু

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগেই নির্বাচন দিন। সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই। দেশ চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেউ কারো কথা শুনছে না, মানছে না।

’ 

সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে নাটোরের খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত খাজুরা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা মাঠে এক আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘দেশকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে সবার আগে দরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের মানুষকে বোকা ভাবলে চলবে না। দেশের মানুষ সব বোঝে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যেই রাষ্ট্রের সব সংস্কারের উল্লেখ রয়েছে। আলাদা করে আর কোনো সংস্কার প্রয়োজন নেই।’

অনুষ্ঠানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দুলু বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়ন না হলে স্থিতিশীলতা আসবে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনোভাবেই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।

দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি কমবে কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে, দেশের মানুষের জীবনমান রক্ষার জন্য দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে।

গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তাদের দোসররা যে জুলুম-দুঃশাসন চালিয়েছে তা ভুলে গেলে চলবে না।’

এ সময় অন্যান্যের মাঝে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী ওরফে বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ