হাসিনাকে রক্ষায় টাকা প্রদানকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান বুলুর

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
হাসিনাকে রক্ষায় টাকা প্রদানকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান বুলুর
মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু। ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে যে নতুন পার্টির আবির্ভাব হয়েছে, তাদের মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে—যারা শেখ হাসিনার সঙ্গে কবরে যেতে চেয়েছেন। তারা কেউ ১৫ কোটি দিয়েছেন, কেউ গাড়ি দিয়েছেন, কেউ হেলিকপ্টার দিয়েছেন—কেউ তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা দিচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কুমিল্লা বিভাগীয় মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
আমাজনের গাছ কেটে জলবায়ু সম্মেলনের রাস্তা বানাচ্ছে ব্রাজিল

আমাজনের গাছ কেটে জলবায়ু সম্মেলনের রাস্তা বানাচ্ছে ব্রাজিল

 

বরকত উল্যা বুলু বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই কারা শেখ হাসিনার সঙ্গে কবরে যেতে চেয়েছেন? কত টাকা শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন? কত টাকা নতুন কিংস পার্টির জন্য দিচ্ছেন? কত টাকা বিএনপিকে প্রতিরোধ করার জন্য খরচ করছেন? আপনারা এগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন।

আপনারা কেন এই কথাগুলো মানুষের সামনে আনছেন না? কাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা? মিডিয়া হাউজগুলো কারা নিয়ন্ত্রণ করে?’

তিনি আরো বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে যারা নতুন পার্টি করেছে, বাংলাদেশের এমন কোনো জেলা নেই যেই জেলার এক্সইএন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সেক্রেটারি থেকে শুরু করে এমন কোনো সরকারের মন্ত্রণালয় নাই যেখানে তারা তদবির করে না। তাদের কথা তো আপনারা লেখেন না! তাদের কথা তো আসছে না। আমাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে তাদের কথাগুলো আসতে হবে। আপনারা ওই ব্যক্তিগুলোর নাম প্রকাশ করেন যারা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য ৭ দিন আগেও হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন।

কারা তার সঙ্গে কবর পর্যন্ত যেতে চাইলেন এই লিস্টটা প্রকাশ করেন।’

আরো পড়ুন
‘নদী বিনাশী কোনো প্রকল্পে প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না’

‘নদী বিনাশী কোনো প্রকল্পে প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না’

 

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইঁয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াছিম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাদুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ কুমিল্লা-চাদঁপুর-নোয়াখালী, ফেনী, বিবাড়িয়া জেলার বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম : হাসনাত আব্দুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম : হাসনাত আব্দুল্লাহ
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমকে গালি দেওয়ার ঘটনায় সংবাদ উপস্থাপিকাসহ তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে গালি দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। 

এবার সেই সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার অহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেই। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস আজ : অস্তিত্ব সংকটে নদী, সব চেয়ে দূষিত বুড়িগঙ্গা

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস আজ : অস্তিত্ব সংকটে নদী, সবচেয়ে দূষিত বুড়িগঙ্গা

 

পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘এখন’ টিভির সাংবাদিকদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। আমরা এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। শুধু মতপ্রকাশ নয়, দ্বিমত প্রকাশও অব্যাহত থাকুক।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় যান হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।

আরো পড়ুন
ট্রেনের অগ্রিম ঈদ টিকিট বিক্রি শুরু, কাটবেন যেভাবে

ট্রেনের অগ্রিম ঈদ টিকিট বিক্রি শুরু, কাটবেন যেভাবে

 

এ সময় টেলিভিশনটির লাইভ প্রচারণায় হাসনাত ও সারজিসকে নিয়ে দুই উপস্থাপকের মধ্যে কথা বলার সময় ওই নারী উপস্থাপিকা গালি দেন। এরই একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে বলে খবর ছড়ায়।

মন্তব্য

আর কেউ যেন ধর্ষণের মতো অপরাধের সাহস না পায় : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আর কেউ যেন ধর্ষণের মতো অপরাধের সাহস না পায় : তারেক রহমান
তারেক রহমান। ফাইল ছবি

মাগুরায় নির্মম যৌন নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একই সঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের।

বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবহিকভাবে একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে।

যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। আধুনিক এই যুগে মানবজাতি এরূপ অমানবিক, পৈশাচিক এবং বর্বরোচিত কাজে লিপ্ত হতে পারে তা কল্পানাতীত। ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র। আমাদের সমাজে যে নিমর্ম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখছি পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না।
দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যূত্থানের পর থেকে নারী হেনস্থা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়াও একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

তারেক রহমান আছিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মন্তব্য

পিলখানা ট্র্যাজেডির বিচারেই শেখ হাসিনার ৫৭ বার ফাঁসি হবে : আমানুল্লাহ আমান

বাসস
বাসস
শেয়ার
পিলখানা ট্র্যাজেডির বিচারেই শেখ হাসিনার ৫৭ বার ফাঁসি হবে : আমানুল্লাহ আমান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলের ১৬ বছরে সংঘটিত সব হত্যা, গুম, নির্যাতনের বিচার হতে হবে’।

তিনি বলেন, ‘শুধু পিলখানা ট্র্যাজেডির ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার বিচার হলে শেখ হাসিনার ৫৭ বার ফাঁসি হবে। পালানোর আগেও যে গণহত্যা চালিয়েছে, তারও বিচার হবে। শেখ হাসিনা আর কখনোই দেশে ফিরতে পারবে না’।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে যশোরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

শহরের হোটেল অরিয়নে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মো. ইয়াহইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমান উল্লাহ আমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি।

ষড়যন্ত্র চলছে, আরো হবে।’

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের মানুষ বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

মন্তব্য

গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তরুণদের নিয়ে আরেকটি দল গঠনের ইঙ্গিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তরুণদের নিয়ে আরেকটি দল গঠনের ইঙ্গিত
ফাইল ছবি

গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী তরুণদের নিয়ে আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক নেতা মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ (আরেফিন)। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

হিযবুল্লাহ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী তরুণদের সাথে আলাপ, পরামর্শ এবং তাদের সম্মিলনে আমরা একটা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের দিকে আগাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ও ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে গঠিত এই ব-দ্বীপের সামাজিক চুক্তিসমূহের পুনর্বহাল হবে আমাদের রাজনীতির ভিত্তি।

এই ব-দ্বীপের তহজিব-তমুদ্দুনকে আঁকড়ে ধরেই আমরা নতুন রাজনীতি বিনির্মাণ করবো ইনশাআল্লাহ।’ 

আরো পড়ুন
ইফতারির সঙ্গে ৫০০ টাকা করে পেলেন শিক্ষার্থীরা

ইফতারির সঙ্গে ৫০০ টাকা করে পেলেন শিক্ষার্থীরা

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে চাঁদাবাজি-দুর্নীতি নির্ভর যেই পলিটিক্যাল ইকোনমি, আমরা তার পরিবর্তন করতে চাই। পেশিশক্তি নির্ভর যেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যেখানে মানুষের গুরুত্ব স্রেফ মিছিলে মাথা গোনা, আমরা এর পরিবর্তে রাজনীতিতে সম্মান ও শরিকানা হাজির করতে চাই। দলের ভিতরে আভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চাকে জারি রাখতে চাই।

’ 

তিনি আরো বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ বিরোধী বলিষ্ঠ রাজনীতি হাজির করতে চাই আমরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা এবং এই ব-দ্বীপের অধিবাসীদের অর্থনৈতিক আজাদির নিশ্চয়তা ও সুরক্ষা বিধান-ই হবে আমাদের অন্যতম রাজনৈতিক লক্ষ্য।’ 

জানাকের সাবেক এ নেতা বলেন, ‘নারীর হক, মর্যাদা আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে আমাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র। বাংলাদেশ হবে নারীদের জন্য আমান ও সুকুনের রাষ্ট্র।

এইটা হবে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সর্বত্র ন্যায়-নীতি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে আমাদের মাকসাদ।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ