ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ : হাসনাত আব্দুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ : হাসনাত আব্দুল্লাহ
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রহস্যজনক একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ পোস্ট দেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যে পথ দিয়ে আওয়ামী লীগ পালিয়েছে, ঠিক সে পথ দিয়েই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক

বিচার চলাকালীন আ. লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিচার চলাকালীন আ. লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিবাদী দল। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’ 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই।

খুনিদের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।’

আরো পড়ুন

স্বৈরাচার পুনর্বাসিত হওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না : তারেক রহমান

স্বৈরাচার পুনর্বাসিত হওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না : তারেক রহমান

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দল মতাদর্শ ও মার্কার বিরুদ্ধে জনগণ ৩৬ জুলাই রায় জানিয়ে দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ করবে এনসিপি।

’  

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিদ আলম, সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিন জারা প্রমুখ।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

স্বৈরাচার পুনর্বাসিত হওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্বৈরাচার পুনর্বাসিত হওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না : তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাচিত হওয়ার সুযোগ পায়।’

শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা লেডিস ক্লাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। 

মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেইত স্বৈরাচারবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সংশয়-সন্দেহের জন্ম দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাচিত হওয়ার সুযোগ পায়।’

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ, অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ইশরাকের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ, অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ইশরাকের

 

তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লুণ্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচনকে দৃশ্যত যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।

যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, যেটি শেষ হয়ে যায় সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা দেখেছি পলাতক স্বৈরাচারের শাসনকালে সিভিল সোসাইটি এবং পেশাজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের সক্রিয় সহযোগী হয়ে উঠেছিল।

দেশে সে সময় গুম, খুন, নারী ধর্ষণ, অপহরণ, দুর্নীতি ও টাকা পাচার, এমনকি আয়না ঘরের মতো বর্বর বন্দিশালার বিরুদ্ধে তাদেরই একটি বড় অংশ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি কিংবা করেনি। বরং আমরা দেখেছি উল্টো তারা ফ্যাসিবাদের অপকর্মের জাস্টিফাই করে বয়ান তৈরি করতেন।’

তিনি বলেন, ‘বীর জনতার রক্তক্ষয়ী এই অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট মাফিয়া সরকারের পতনের পর দীর্ঘ দেড় দশকের অন্ধকার অতীত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অপার সম্ভাবনার এক দাঁড় উন্মোচিত হয়েছে।’

বিগত সরকার সংবিধান মানেনি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বর্তমান সংবিধান যেটিতে ইচ্ছেমতো কাটাছেড়া করে পলাতক স্বৈরাচার প্রায় তাদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল, সেই সংবিধানের ৬৫ অনুষদের ২য় দফায় বলা হয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। সংবিধানের সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার পরেও পলাতক ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে, সারা বিশ্ব দেখেছে, বারবার জনগণের ভোট ছাড়া সংসদ গঠন করা হয়েছিল।

এজন্য বিএনপি মনে করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কেতাবি কিংবা পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনীতির অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়েই কেবল সংস্কার প্রক্রিয়া টেকসই সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।’

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা এই সরকারের ব্যর্থতা : হানিফ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা এই সরকারের ব্যর্থতা : হানিফ

 

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশকের মাফিয়া শাসনকালে তরুণ প্রজন্মের প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভোটারসহ কেউ ভোট দিতে পারেননি। সুতরাং এইসব ভোটারদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সবার আগে উচিৎ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন না হলে কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না।’

অনুষ্ঠানে পেশাজীবীদের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘এখনো ষড়যন্ত্র আছে দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে। আমাদের মিডিয়া ও ভারতীয় মিডিয়ার মধ্যেও ষড়যন্ত্র আছে। সীমান্তে এখনো রক্ত ঝরছে, এটি কখনো আমরা বরদাস্ত করতে পারি না। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সহায়তা করেছিল এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমরা মাথা বিক্রি করে দেই নাই। ১৮ কোটি মানুষের ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও রক্ত ঝরিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে পথ পেয়েছি সেই পথ দিয়ে অবশ্যই আমরা একটা মুক্তির সোপান অর্জন করব। সেই দৃঢ়তা আমাদের মধ্যে আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যেন সংযমের পরিচয় দেই। আমরা যেন অসহিষ্ণু না হয়ে উঠি। আমরা যেন আরো ত্যাগ স্বীকার করি। ৩৬ জুলাই আমাদের প্রাথমিক বিজয়। সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আছে। অনেক ষড়যন্ত্র আছে আমি উল্লেখ করতে চাই না। গত রাত থেকে আরেকটি ষড়যন্ত্র ঘোট পাকাচ্ছে। আমরা যেন সচেতন থাকি। আমরা যেন দেশ প্রেমের পরিচয় দেই। আমরা যেন জাতীয়তাবাদের পরিচয় দেই। সেই অগ্নি পরীক্ষায় আমরা যেন বিজয় অর্জন করতে পারি।’

ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ। 

পেশাজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, নূরুদ্দিন আহমেদ, চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সংগীত শিল্পী মনির খান, কনক চাপা, বেবী নাজনীন প্রমুখ।

আরো পড়ুন
জুলাই স্পিরিট ছিলো ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে: শিবির সভাপতি

জুলাই স্পিরিট ছিলো ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে: শিবির সভাপতি

 
প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জুলাই স্পিরিট ছিলো ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে: শিবির সভাপতি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
জুলাই স্পিরিট ছিলো ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে: শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ভাই-বোনেরা যে রক্ত দিয়েছেন সেটাকে প্রকৃত সফলতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জুলাই স্পিরিটের আলোচনা জারি রাখতে হবে। জুলাই স্পিরিট ছিল ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে। এজন্য যদি আমাদের জীবন দিতে হয় রক্ত দিতে হয় দিবো। এরপরও আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না, ন্যায়ের পক্ষে থাকবো।

এটা ছিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্পিরিট।’

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্য ও সাথীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকার বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাইয়ের আরেকটা স্পিরিট ছিল আমরা মাজলুম।

কোনো না কোনোভাবে জুলুমের শিকার হচ্ছি। আরেকটা পক্ষ বারবার জুলুমের করেই যাচ্ছে। জালেম এবং মজলুমের মধ্যকার লড়াইয়ে আল্লাহর সাহায্য অবধারিত সেটা জুলাইয়ের আন্দোলন প্রমাণ করে দিয়েছে। জুলাইয়ের বড় কনসেপ্ট ছিল ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
আমাদের মতের ভিন্নতা ছিল চিন্তার ভিন্নতা ছিল কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’ 

শিবির সভাপতি বলেন, ‘জুলাইয়ের স্পিরিট ছিল ভ্রাতৃত্ব ভালোবাসা। সেক্রিপ্রাইজ করার মানসিকতা। যার কারণে আহত অনেককে সাহায্য করা সময় তারা বলেছে আপনারা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

’ 

জুলাইয়ের ক্রেডিট নিয়ে ডিবেটের বিষয় উল্লেখ করে শিবির সভাপতি আরো বলেন, ‘আজকের এই দিনে মনে হচ্ছে আমরা জুলাই স্পিরিটকে ভুলে যাচ্ছি। ওই সময়ে যে মানসিকতা ছিল কেন জানি সেটা থেকে সড়ে যাচ্ছি। দুনিয়ার প্রাপ্তির দিকে নজর চলে যাচ্ছে। ক্রেডিট নিয়ে এক ধরনের ডিবেট শুরু হয়ে গেছে। কে কার চেয়ে কত বেশি করেছি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’ 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ মো. ইসমাইলের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি আবদুল জব্বার।

মন্তব্য

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা এই সরকারের ব্যর্থতা : হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা এই সরকারের ব্যর্থতা : হানিফ
সংগৃহীত ছবি

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম খুন চালিয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে। যার ফলেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এই দেশের মানুষ রাজপথে নেমেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগকে অফিসিয়ালি নিষিদ্ধ করতে না পারা এই সরকারের ব্যর্থতা।

’ 

শুক্রবার (২১ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদ কর্শা কড়িয়াইল ও দানাপাঠুলি ইউনিয়নের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগকে এই দেশের জনগণ ৫ আগস্ট নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগকে এই দেশের মানুষ রাজনীতি করতে দেবে না।

আরো পড়ুন
শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেন : এ্যানি

শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেন : এ্যানি

 

তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৭ মাস পেরিয়ে গেছে। এখনও জুলাই গণহত্যার বিচার করতে পারে নাই। বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, তাঁদের বিরুদ্ধেই আমরা রাস্তায় নামবো।

আবু হানিফ বলেন, ‘আমরা বেঁচে থাকতে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ফিরতে পারবে না। গণহত্যায় জড়িত থাকা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। অফিসিয়ালি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ এই দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে সম্প্রতির রাজনীতি করতে চায়। আমরা সমাজে কোনো বিভেদ চাই না।

সমাজের সকল মতের মানুষকে নিয়ে একসাথে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’

ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়নের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম। সঞ্চালনা করনে সদর উপজেলার সদস্য সচিব মোস্তফা আল মামুন। 

এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমিন উদ্দিন জনি, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, দানাপাটুলী ইউনিয়নের নেতা আনিসুর রহমান আরমান, আকরাম হোসাইন, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মনির হোসেন প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ