করোনায় চাকরি হারিয়ে এখনো বেকার ৭.৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
করোনায় চাকরি হারিয়ে এখনো বেকার ৭.৭%

চাকরি হারানো, বেতন না পাওয়া, কমা কিংবা পরিবারের খরচ জোগাতে না পারায় করোনাকালে ৪৯ শতাংশ মানুষ গ্রামে ফিরে গেছে। যদিও একটা সময় তাদের প্রায় সবাই ঢাকায় ফিরেছে।

গতকাল বুধবার সানেমের কর্মসংস্থান ও অভিবাসনের ওপর মহামারির প্রভাবের জরিপের ফলাফল ওয়েবিনারে তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়েমা হক বিদিশা।

কর্মসংস্থান ও অভিবাসনের ওপর করোনা মহামারির প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পেতে সানেম ২০২১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে খানা পর্যায়ে জরিপটি পরিচালনা করেছে।

জরিপে ২৭৩ জন প্রবাসী শ্রমিক, ২৩০ জন দেশের মধ্যে অন্যত্র কাজের জন্য স্থানান্তরিত শ্রমিক এবং দেশ বা দেশের বাইরে কাজের জন্য স্থানান্তরিত নন, এমন দুই হাজার ৮৪৫ জন কর্মী বা শ্রমিকের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।

ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পওতিয়ানেন। ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে কথা বলেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

ওয়েবিনারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৭০ জন ব্যক্তি অংশ নেন। 

গত বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মজুরিভিত্তিক শ্রমিকের ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে এই জরিপ করা হয়। জরিপে উঠে আসে করোনার প্রকোপে চাকরি হারানোর বা বেতন কমার তথ্য। সানেম ২৩০ জন শ্রমিকের ওপর জরিপ করে, যাঁরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় কাজের জন্য এসেছিলেন।

তাঁদের মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছিলেন, বাকিরা বেতন না পাওয়ার জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

ওয়েবিনারে উঠে আসে, করোনার ১০ মাসে বেতন কমেছিল ৬১ শতাংশ মানুষের। এর পাশাপাশি পেশা পরিবর্তন করেছেন ৩.৭ শতাংশ, সাময়িক চাকরি হারিয়েছেন ১.৫ শতাংশ এবং এখনো পর্যন্ত চাকরিহারা ৭.৭ শতাংশ। অর্থাৎ যাঁরা চাকরি হারিয়েছিলেন, তাঁদের অর্ধেকের বেশি এখনো চাকরি পাননি।

৩১.১ শতাংশ মজুরিভিত্তিক শ্রমিক ও ৪১.৮ শতাংশ আত্মকর্মসংস্থানে জড়িত শ্রমিক এখনো ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেননি।

অন্যদিকে ৫ শতাংশ অভিবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন, যাঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ চাকরি হারিয়েছেন। ২৭৩ জন অভিবাসী কর্মীর ওপর জরিপটি পরিচালিত হয়। ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীর মধ্যে বেশি এসেছেন মালয়েশিয়া ও কুয়েত থেকে। এরপর সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও ওমান থেকে।

ড. বিদিশা বলেন, যেসব খাতের কর্মজীবীরা এখনো অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ধারায় পিছিয়ে আছেন, তাঁদের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ফিরে আসা প্রবাসীদের আবার সে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের শ্রমিক, অভিবাসী ও অন্যান্য খাতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ওপর করোনার কী ধরনের প্রভাব পড়েছে, তা আলাদা করে বিশ্লেষণ করা দরকার। একই ধরনের বিশ্লেষণ ভিন্ন আয়ের মানুষগুলোর ওপর করা জরুরি। সঠিক নীতি প্রণয়ন করা জরুরি।

ড. রায়হান রেমিট্যান্সের প্রবাহ নিয়ে তাঁর আলোচনায় কিছু সুনির্দিষ্ট আঙ্গিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্স আগামী দিনেও অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের জরিপে দেখা গেছে, রেমিট্যান্সগ্রহীতা পরিবারগুলোর ওপরও কভিডের প্রভাব পড়েছে।’ রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রধান ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, করোনার পর অন্তত চার হাজার অভিবাসী ফেরত এসেছেন। ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীর গড়ে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মন্তব্য

ফাঁদে লাখো বিনিয়োগকারী

    শেয়ার কারসাজির বড় হাতিয়ার বেনামে মার্জিন ঋণ
শেয়ার
ফাঁদে লাখো বিনিয়োগকারী

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেয়ারবাজারে ধসের পেছনে অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে বেনামে মার্জিন ঋণ। কয়েক বছর ধরে মার্জিন ঋণ নিয়ে পথে বসেছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। নামে বেনামে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কারসাজি চক্র মার্জিন ঋণের ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বস্বান্ত করেছে। এবার সেসব কারসাজি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মার্জিন ঋণে অনিয়ম বন্ধ করতে বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ ছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার সক্রিয় করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্জিন ঋণ সংস্কার ও মিউচুয়াল ফান্ডসংক্রান্ত সুপারিশ ফাস্ট ট্র্যাক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মিউচুয়াল ফান্ড দেশের সব ক্ষেত্রে সহজলভ্য করতে ব্যাংক, অনলাইন মার্কেট প্লেস, মোবাইল অপারেটর কোম্পানি থেকে কিনতে পারবেন গ্রাহক।

বিএসইসি-সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজার ধসের অন্যতম কারণ হিসেবে মার্জিন ঋণ পদ্ধতিতে বড় ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে নামে বেনামে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার কারসাজি সিন্ডিকেট একাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করে। এসব অ্যাকাউন্টে মার্জিন ঋণ নিয়ে নির্দিষ্ট কোম্পানির শেয়ার বেচাকেনা করে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি করা হয়।

গুজব সৃষ্টি করে ওইসব কোম্পানির শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা হয়। ফলে তারা না বুঝে এসব শেয়ারে ঝুঁকে পড়ে। ওইসব শেয়ার কেনার পর ধসে পড়ে দাম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে এসব অনিয়ম বন্ধ করতে বলা হয়েছে, গৃহিণী, ছাত্র, অবসরে যাওয়া ব্যক্তিসহ যেসব বিনিয়োগকারীর নিয়মিত আয় নেই তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে মার্জিন ঋণ পাবেন না।
এতে বন্ধ হবে বেনামে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে মার্জিন ঋণ নিয়ে কারসাজির সুযোগ। ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে শুধু পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ শ্রেণির কোম্পানি ও বিবিবি প্লাস রেটিংয়ের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ জামানত হিসেবে রাখতে পারবে। এর বাইরের কোনো বিনিয়োগ জামানত হিসেবে রাখতে পারবে না ঋণদাতা কোম্পানি। নগদ টাকা জামানত হিসেবে রাখা যাবে। স্টক এক্সচেঞ্জ ঘোষিত নির্দিষ্ট কোম্পানির বিপরীতে মার্জিন ঋণ দেওয়ার সুযোগ রাখা যাবে। একক কোনো গ্রাহকের বিপরীতে ঋণদাতা কোম্পানি তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ মার্জিন ঋণ দিতে পারবে। শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড সক্রিয় ও গতিশীল করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএসইসি। বাজারে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের দর এখন অভিহিত মূল্যের নিচে। একাধিক ফান্ড ৩ থেকে ৪ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। ফলে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে মিউচুয়াল ফান্ড কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিএসইসি এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে মিউচুয়াল ফান্ড সম্পদ ব্যবস্থাপকদের বিনিয়োগ করা কোম্পানির পরিচালক হওয়ার পথ বন্ধ করছে। বর্তমানে অনেক মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপক বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক কোম্পানির পরিচালক হয়ে আছেন এভাবে। একইসঙ্গে ঋণখেলাপিদের মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনায় অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি করতে পারবে ব্যাংক, ডিজিটাল ব্যাংক, এমএফএস, পোস্ট অফিস, স্টক এক্সচেঞ্জ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক-ব্রোকার, মোবাইল টেলিকম অপারেটর, অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবাপ্রতিষ্ঠান (অনলাইন মার্কেটপ্লেস, থার্ড-পার্টি ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফরম ইত্যাদি। জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শেয়ারবাজারে মার্জিন ঋণসংক্রান্ত বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা কারসাজি করে তারা নানা গুজব ছড়ায়। এ কারণে না বুঝে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনে। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার ফোর্স সেল করে; যাতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন সংস্কার হলে বিনিয়োগকারীদের এ ঝুঁকি কমে যাবে। এ ছাড়া বাজারে অল্প বিনিয়োগ নিয়ে মার্জিন ঋণ গ্রহণ বড় রকমের ঝুঁকি তৈরি করে। এটাও বন্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড গতিশীল হলে বাজার স্থিতিশীল হবে। গ্রাহক সহজে মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট যেন কিনতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক গুরুত্ব দিয়ে অতিদ্রুত বিএসইসি প্রজ্ঞাপন জরি করে এ সংস্কার করা হবে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন। 

মন্তব্য

১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬ হাজার কোটি টাকা
সংগৃহীত ছবি

দেশে বাড়ছে প্রবাস আয়। চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি। গত জুলাই মাসে আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে জুলাই মাসে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্স।

তবে দেশের পটপরিবর্তনের পরপরই চাঙ্গা হয়ে ওঠে প্রবাস আয়ের গতিপথ। এরপর টানা ছয় মাস ২০০ কোটি ডলারের বেশি করে রেমিট্যান্স আসে।

তারই ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে চলতি মাস ফেব্রুয়ারিতেও। মাসটির প্রথম ১৫ দিনে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার ৯ কোটি টাকা।

আরো পড়ুন
নতুন সেল গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

নতুন সেল গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

 

এর আগে নতুন বছরের প্রথম মাসের (জানুয়ারি) পুরো সময়ে ২১৯ কোটি (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর অর্থবছরের হিসাবে গত আগস্ট থেকে টানা ছয় মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এর মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। তবে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১১টি। 

আরো পড়ুন
তাড়াশে আ. লীগের ৮ নেতাকর্মী জেল হাজতে

তাড়াশে আ. লীগের ৮ নেতাকর্মী জেলহাজতে

 

এর আগে ডিসেম্বর মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

আরো পড়ুন
জুম্মান ‘কসাই’ গ্রেপ্তার

জুম্মান ‘কসাই’ গ্রেপ্তার

 


তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।

মন্তব্য

ঈদে নতুন নোট পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে নতুন নোট পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে
সংগৃহীত ছবি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর মাধ‌ম্যে নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ১৯ মার্চ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ২৫ মার্চ পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন নোট বি‌নিময় করতে পারবে সাধারণ মানুষ।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে ৫, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে।

একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না।

যেসব শাখায় মিলবে নতুন নোট

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, সাভার, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, সাভার, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চারকোল সংস্কার পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চারকোল সংস্কার পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার
সংগৃহীত ছবি

দেশে চারকোল প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিসিএমইএ) নির্বাচন আগামী ৮ মার্চ। নির্বাচনে অংশ নিতে গঠিত ‘চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কার পরিষদ’ নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে।

আজ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। এ সময় চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, সভাপতি প্রার্থী আতিকুর রহমান, অ্যাসোসিয়েট সদস্য প্রার্থী সাহাদাত হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সহসভাপতি প্রার্থী মেহেদী হাসান জুলিয়াস ও হাবিব-এ-হাসান।

সভায় চারকোল শিল্পরক্ষা ও সংস্কার পরিষদের প্রার্থী শাহরিয়ার ইবনে ইব্রাহিম, মোফাজ্জল হোসেন খোকন, মোহাম্মদ শামসুল আলম তালুকদার, আলমগীর কবির, সাহাদাত হোসেন উজ্জল, ফারহানা শারমীন কাকন, মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান, হোসাইন আহমেদ চৌধুরী, শামীম-উল-হকসহ সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ