প্রথম আলো, ডেইলি স্টার হলো দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী। যারা সবসময় দেশে বিরাজনীতিকরণের পক্ষে। যখনই তারা সুযোগ পায় তখনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডেইলি স্টারের ভূমিকা তার প্রমাণ।
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার হলো দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী। যারা সবসময় দেশে বিরাজনীতিকরণের পক্ষে। যখনই তারা সুযোগ পায় তখনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডেইলি স্টারের ভূমিকা তার প্রমাণ।
ট্রাম্পের কাছে ভারতীয় ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন যে, বাইডেন প্রশাসনের সময় বাংলাদেশে রেজিম চেঞ্জ (হাসিনার পতন) ইস্যুতে আমেরিকার ডিপ স্টেটের ভূমিকা ছিল।
প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের বিকৃত মিথ্যাচার এটিই প্রথম না। তারা সবসময় বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণ এবং মিথ্যাচারের রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। বিভিন্ন সময় তারা বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে নানা রকম অসত্য ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান স্বনামে একটি সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, ‘দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে’ শিরোনামে সম্পাদকীয়টি প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে মতিউর রহমান লেখেন- ‘২০০১ সালে পুনরায় বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে।
তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাই, পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে যেকোনো উপায়ে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি কেমন মরিয়া হয়ে উঠেছিল। নির্বাচন কমিশনে নিজেদের লোক বসিয়ে এবং ভুলে ভরা ভোটার তালিকা করে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে চেয়েছিল। একদিকে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চারদলীয় জোটের নানা রকম চক্রান্তমূলক পদক্ষেপ, অন্যদিকে তা প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর সর্বাত্মক প্রতিরোধ ক্রমেই সহিংস রূপ নিতে থাকে। ঢাকার রাজপথে রক্তাক্ত সংঘর্ষ হয়। (আওয়ামী লীগ দাবি করে ৬৭ জনের প্রাণের বিনিময়ে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসেছে)। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, মানুষের জীবনযাত্রা পর্যন্ত অচল হয়ে পড়ে। দুই নেত্রীর অনমনীয় মনোভাব ও প্রতিহিংসাপরায়ণতা দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত হতে থাকে। এ রকম অনিশ্চিত প্রেক্ষাপটে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে...।’
অর্থাৎ প্রথম আলো, ডেইলি স্টার যে কখনোই গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয় এবং বাংলাদেশের পক্ষে নয় সেটা তারা বারবার প্রমাণ করেছে। এখন তারা (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার) জুলাই বিপ্লবের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বিএনপির প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তাদের মিত্র সাজলেও সুযোগ পেলে তারা আবার তাদের আসল চেহারা দেখাবে।
সম্পর্কিত খবর
ঈদের বাকি আর মাত্র দুই দিন। এখনো তারা বেতন-বোনাস পাননি। ঈদে কিভাবে সন্তানের মুখে হাসি ফোটাবেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শ্রম ভবনের সামনে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা।
গত ২৩ মার্চ থেকে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকরা বলছেন, ‘আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবিদাওয়া মেনে না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন।
শ্রম ভবনের সামনে বর্তমানে ৩০০ শতাধিক শ্রমিক অবস্থান করছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী। অনেকেই কান্না করছেন। তারা বলেন, তিন মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না।
শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে গতকাল বাসন হাতে ভুখা মিছিল করেছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, বেতন-বোনাস না নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যাবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, বাড়িতে ছেলে-মেয়েরা না খেয়ে আছে। বেতন ছাড়া বাড়ি গেলে ওদের সামনে মুখ দেখাব কেমন করে!
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনে চার দিনের সরকারি সফর শেষে বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
শনিবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার হং লেই।
এদিন সকালে বেইজিংয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়, তার পর তিনি সেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। শির সঙ্গে বৈঠকের পর মুহাম্মদ ইউনূস প্রেসিডেনশিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশ নেন।
ইউনূসের এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
জলবিদ্যুৎ, বন্যা মোকাবেলা ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন এবং পানিসম্পদ উন্নয়নের মতো বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারেও ‘একমত হয়েছে' বাংলাদেশ ও চীন।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেছেন, দুই দেশ ব্যাপক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেছে, যা অনেক ইতিবাচক ফলাফল এনেছে। চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি বাড়ছে।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইউনূস দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিপূরকতা এবং তাদের বিশাল সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। তিনি আশা করেন, আরো চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে একটি ‘বৃহত্তর বাজার উন্মুক্ত’ করবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত এসব যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা। পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ৯ এপ্রিল এক দিনে টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। সে বছর ১৪ জুন আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। ১৫ জুন আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকা থেকে নিজ গন্তব্যে ছুটতে শুরু করেছে মানুষ। এ কারণে গতকাল শুক্রবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূরপাল্লার যানবাহনের চাপ ছিল। তবে আজ শনিবার (২৯ মার্চ) ভোর থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমে এসেছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ২৬ হাজার ৫৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১৩ হাজার ৫৮০টি গাড়ি। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, গতকাল সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল।
সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সব লঞ্চে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও পলিথিন বহন না করতে এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট ও আবর্জনা নদীতে না ফেলে লঞ্চের নির্ধারিত বিনে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট। যাত্রীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে সুপারভাইজার ও স্টাফসহ লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
নৌ পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিটি লঞ্চে বিন রয়েছে কি না, তা পরিদর্শন করা হয়।
অভিযানের সময় নৌ পুলিশ হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতন করে।
এ ছাড়া গত রাতে কোনাবাড়ীর ভাগাড় রোড এলাকায় অবৈধভাবে পুরাতন ব্যাটারির সিসা গলানোর একটি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেটি সিলগালা করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।