টেস্ট না করিয়েও যেভাবে বুঝবেন বেড়েছে কোলেস্টেরল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
টেস্ট না করিয়েও যেভাবে বুঝবেন বেড়েছে কোলেস্টেরল
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো হার্ট। আর এই হার্টের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে কোলেস্টেরলের ওপর। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবেশি হলে হার্টে সমস্যা দেখা দেয়।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির মতো কোলেস্টেরলের জেরেও হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে।

উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এখান থেকে পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ে।

কোলেস্টেরল হলো একটি আঠাল পদার্থ, যা রক্তে উৎপাদিত হয়। ভালো ও খারাপ- দু-ধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

ভালো কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি যেমন হার্টের জন্য ভালো, তেমনি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে।

আরো পড়ুন
মাইগ্রেনের সমস্যা কি নারীদেরই বেশি হয়? কী বলছে গবেষণা

মাইগ্রেনের সমস্যা কি নারীদেরই বেশি হয়? কী বলছে গবেষণা

 

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হাতের টেন্ডন লিগামেন্টের ওপর প্রভাব পড়ে। তখন অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো করার সময়ও হাতে ব্যথা হতে থাকে।

হাতের জোর কমে যায়। একই সমস্যা দেখা দেয় ঘাড় ও হাতের সংযোগস্থলে।

উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ পায়ে দেখা যায়। পায়ের পাতায় ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষত হাঁটার সময় পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে।

আবার অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলেও পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে।

আরো পড়ুন
চলে এলো গুগলের জেমিনি ২.০, নতুন কী আছে এই চ্যাটবটে

চলে এলো গুগলের জেমিনি ২.০, নতুন কী আছে এই চ্যাটবটে

 

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময় নিতম্বেও ব্যথা হতে থাকে। একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে পড়েন। সিঁড়ি ভাঙতে গেলে কষ্ট হয়। এগুলো উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।

উচ্চ কোলেস্টেরলে ওষুধের সাহায্য নিতেই হবে। তার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। বাইরের ভাজাভুজি, ফাস্টফুড সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে। উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

খাবার পাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। তাজা শাক-সবজি, ফল, গোটাশস্য বেশি করে খান। তার সঙ্গে শরীরচর্চাও জরুরি। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আরো পড়ুন
অ্যান্টিবায়োটিক নয়, ঘরোয়া উপায়ে কমবে টনসিলের ব্যথা

অ্যান্টিবায়োটিক নয়, ঘরোয়া উপায়ে কমবে টনসিলের ব্যথা

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ওজন কমানো ছাড়াও আর যেসব উপকার করে অ্যাপল সিডার ভিনেগার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ওজন কমানো ছাড়াও আর যেসব উপকার করে অ্যাপল সিডার ভিনেগার
সংগৃহীত ছবি

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের গুণাবলীর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ওজন কমাতে ও চুলের যত্নে অ্যাপল সিডার ভিনেগার উপকারী। তবে এটির আরো অনেক গুণ রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

সর্দি এবং সাইনাসের সমস্যা কমায়
যাদের নাক বন্ধ বা সর্দির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।

এতে সাইনাসের সমস্যা কমে যায় এবং অ্যাসেটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।

ডায়রিয়া নিরাময়
যদি ডায়রিয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে, তবে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেলে দ্রুত আরাম পেতে পারেন।

দাঁতের দাগ দূর করে
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস পানিতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে কুলকুচি করলে জীবাণু দূর হয়।

এতে দাঁত পরিষ্কার হবে।

পায়ের ব্যথা উপশমে সহায়ক
যাদের পায়ের ব্যথা বা লেগ ক্র্যাম্প রয়েছে, তারা ১ গ্লাস গরম পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূর্ণ হয় ও ব্যথা কমে।

খুশকি ও ব্রণ দূর করতে
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুশকি কমাতে ও মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সহায়ক।

১/৪ টেবিল চামচ ভিনেগার আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে মাথার ত্বকে স্প্রে করলে খুশকি দূর হবে।

পেশির শক্তি বাড়ায়
কঠোর শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের পর পেশির শক্তি ফিরিয়ে আনতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ এতে পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ রয়েছে।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

ডাবের পায়েস খেয়েছেন কখনো? যেভাবে বানাবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডাবের পায়েস খেয়েছেন কখনো? যেভাবে বানাবেন
সংগৃহীত ছবি

ঈদ কিংবা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে পায়েস খেতে আমরা অনেকেই ভালোবাসি। চালের পায়েস, সুজির পায়েস, ছানার পায়েস আপনি খেয়ে থাকলেও ডাবের পায়েস খেয়েছেন কি? চলুন জেনে নিই ডাবের পায়েস তৈরির রেসিপি।

উপকরণ

দুধ ১ লিটার
ডাবের শাঁস ১ কাপ
ছানা ১০০ গ্রাম
চিনি স্বাদ অনুযায়ী
কনডেন্সড মিল্ক ৫০ গ্রাম
পেস্তা বাদাম ৫টি
কাজুবাদাম ৫০ গ্রাম
গোলাপজল আধা চা চামচ

যেভাবে প্রস্তুত করবেন

প্রথমে একটি বড় ডাব থেকে এর পানি বের করে রাখুন। ডাবের শাঁস ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।

এবার একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এরপর সেই দুধে গোলাপজল, চিনি ও কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে তাতে ছানা যোগ করুন এবং অল্প আঁচে নাড়ুন।
তারপর ডাবের শাঁস মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
পায়েস ঠাণ্ডা  হলে পেস্তা ও কাজু ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

স্বাদে ও উপকারিতায় অনন্য যে ফল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাদে ও উপকারিতায় অনন্য যে ফল
সংগৃহীত ছবি

তেঁতুল ফলটি মিষ্টি ও টক স্বাদের কারণে সবার পছন্দের একটি ফল। তেঁতুলের স্বাদ ছাড়াও এর উপকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

এটি বদহজম, হার্ট, লিভার ও কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

তাছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও তেঁতুল কাজ করে। তাই মাঝে মধ্যে তেঁতুল খেলে এটি অনেক বড় বড় সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।

হার্টের জন্য উপকারী :
তেঁতুল হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এতে থাকা ভিটামিন সি ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেল শোষণ করে। যা অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সহায়ক। এ ছাড়াও তেঁতুলে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হজমে সাহায্য :
হজমের সমস্যা দূর করতে তেঁতুল খুবই কার্যকর।

প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদে তেঁতুল ব্যবহার করা হচ্ছে হজমের সমস্যা নিরাময়ের জন্য। এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

পুষ্টিতে ভরপুর :
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। ১০০ গ্রাম তেঁতুল খেলে আপনি পাবেন ৩৬% থায়ামিন, ৩৫% আয়রন, ২৩% ম্যাগনেসিয়াম এবং ১৬% ফসফরাস। এ ছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, কপার, পাইরিডক্সিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ওজন কমাতে সাহায্য :
তেঁতুলে থাকা হাইড্রক্সি সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে চর্বি জমা হতে বাধা দেয় ও ক্ষুধা কমায়। যা ওজন কমানোর জন্য উপকারী।

স্নায়ুর জন্য উপকারী :
তেঁতুলে থাকা ভিটামিন বি ও থায়ামিন থাকে। যা স্নায়ু ও পেশীর সঠিক কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রদাহ কমায় :
তেঁতুলে থাকা টারটারিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অগ্ন্যাশয়ের টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়াও তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

শাড়ির যত্নে সহজ কিছু টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শাড়ির যত্নে সহজ কিছু টিপস
সংগৃহীত ছবি

বাঙালি নারীর প্রিয় পোশাক শাড়ি। যারা প্রায়ই শাড়ি পরেন তারা সাধারণত সুতি, হাফসিল্ক বা তসরের শাড়ি পরেন। বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া বেনারসি, কাতান, জামদানির মতো ভারী শাড়িগুলো পরা হয় না। দামি শাড়িগুলো যত্নের অভাবে আলমারিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

 

শাড়ির সঠিক যত্ন কিভাবে নেবেন বা আলমারিতে কিভাবে সাজিয়ে রাখবেন, তার জন্য রইল কিছু সহজ টিপস :

১. ভারী ও দামি শাড়িগুলো আলাদা ওয়ার্ডরোবে রাখুন। নকশা করা শাড়িগুলো খবরের কাগজ বা পাতলা কাপড়ে প্যাক করে রাখতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি আলমারির একটি আলাদা অংশে শাড়িগুলো ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে হ্যাঙ্গার ব্যবহার করতে পারেন।

২. শাড়ির ওপর দাগ পড়লে দ্রুত তা তুলে ফেলুন। দাগ তুলে ফেলতে ঠাণ্ডা পানিতে শাড়ি ধুয়ে ফেলুন। দাগ অনেক বেশি হলে হোয়াইট ভিনেগার, লেবুর রস বা অল্প সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।

৩. শাড়ি আয়রন করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

শাড়ির ধরন অনুযায়ী আয়রন সেটিং ঠিক করুন। 

৪. সব শাড়ি ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায় না। সুতির শাড়ি মেশিনে ধুয়ে নিতে পারেন। কিন্তু ভারী বা দামি শাড়ি হাতে ধুলে ভালো হয়। রং উঠে যাওয়ার ভয় থাকলে আগে একটি টেস্ট করে দেখুন বা ড্রাই ক্লিনিং করান।

৫. শাড়ি ভাঁজ করে আলমারিতে রাখলে তা অনেক সময় একই অবস্থায় পড়ে থাকে। সিল্ক বা জরি দেওয়া শাড়ি বছরের পর বছর একইভাবে ভাঁজ করে রাখলে তা কেটে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে শাড়িগুলো উল্টেপাল্টে দিন। শাড়ি অন্ধকার, ঠাণ্ডা জায়গায় রাখলে ভালো হয়।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ