<p>পাকিস্তান থেকে ৫৫ শতাংশ বেশি পণ্য নিয়ে আসছে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজ। আগামী ২০ ডিসেম্বর ৮২৫ টিইইউএস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনার একক) কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রথমবার জাহাজটি নিয়ে এসেছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার। ওই হিসাবে এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে আসবে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা।</p> <p>চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয় চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। প্রথমবার ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য আনা হয়। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ টিইইউএস, বাকিগুলো ৭৩ টিইইউএস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এবারের জাহাজটিতে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য রয়েছে। এসব কনটেইনার নামিয়ে অন্তত ১২০০ টিইইউএস কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিপিং কম্পানি ফিডার লাইনস ডিএমসিসির। তবে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌঁছানোর পর কী পণ্য রয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যশোরের সীমান্তে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/18/1734531048-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যশোরের সীমান্তে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/18/1458873" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জানা যায়, দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ একটি কনটেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই সেবা চালু করেছে। বাংলাদেশে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নতুন এই কনটেইনার জাহাজের পরিষেবা চালুর সময় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া আরো চারটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকেও পণ্য আনা-নেওয়া করার ঘোষণা দিয়েছিল ফিডার লাইনস ডিএমসিসি। তবে দ্বিতীয়বার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী রয়েছে জাহাজটি।</p> <p>জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার পণ্য বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে ২০ ডিসেম্বর। ওই হিসেবে ২১ কিংবা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পণ্য খালাস করবে। পণ্য খালাস করে ২৩ কিংবা ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করবে পাকিস্তানি এ জাহাজ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাগরে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টির আভাস, বাড়বে শীত" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/18/1734534216-f7d6a906778715c935f920f361fd7398.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাগরে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টির আভাস, বাড়বে শীত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/18/1458888" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, পাকিস্তানী জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ আগামী শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে শিপিং কম্পানি অনলাইনে আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর জানা যাবে এবার কী কী পণ্য রয়েছে সেটা।</p> <p>রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড বাংলাদেশে জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। কম্পানিটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা কালের কন্ঠকে বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার ৫৫ শতাংশ বেশি পণ্য নিয়ে পাকিস্তান থেকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে। জেটি খালি থাকলে ২১ কিংবা ২২ ডিসেম্বর পণ্য খালাস করে এর পরের দিন বন্দর ত্যাগ করবে। এ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার পর ইন্দোনেশিয়া যাবে। সেখান থেকে মালেশিয়া, দুবাই হয়ে পাকিস্তানের করাচি যাবে।</p> <p>তিনি বলেন, এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কনটেইনারের সংখ্যা বাড়লে নতুন এই পথে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।</p>