<p style="text-align:justify">ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ‘মক্কা সম্মেলনে ঘোষণার মধ্য দিয়ে আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষার নতুন ধারা সৃষ্টির অন্যতম একটি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠিত হলেও সৃষ্টিগতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক চরিত্র ধারণ করে আছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য- আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা হবে।’</p> <p style="text-align:justify">আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছাত্রলীগের সেই নেত্রীরা কে কোথায়?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729863270-f3ec384b39da1d0ab93816f7a2e0875c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছাত্রলীগের সেই নেত্রীরা কে কোথায়?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/25/1439080" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকে সহজ করতে অ্যালামনাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘নানা চড়াই-উৎরায় পেরিয়ে বিভিন্ন শাসন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান পর্যায়ে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে শাসকগোষ্ঠী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পারেনি। আজ বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ এসেছে, পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগানোর। তাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং অগ্রসর করার জন্য আমি কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘দেশের সনামধন্য নাগরিক তৈরীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অন্যন্য। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সারা বিশ্বে  ছড়িয়ে আছে। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু একটি সাধারণ সভা নয়, এটি আনন্দ মেলা, মিলন মেলা। আপনারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল মূল্যবোধ। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো এগিয়ে নিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি অ্যালামনাইদের অনেক দায়িত্ব আছে।’</p> <p style="text-align:justify">‘ইউনাইটেড ইন ব্রাদারহুড’ শ্লোগানে আয়োজিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যালামনাইয়ের আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদী। স্বাগত বক্তব্য দেন- সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাই। ড. মো. জিল্লুর রহমান ও ড. আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় এতে অ্যালাইমনাইদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন-ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান, আব্দুল হাই মো. সাইফুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান (রাবি), অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. শহীদ মো. রেজওয়ান, অধ্যাপক ড. মো. আবু সিনা, মাওলানা তারেক মনোয়ার, অধ্যঅপক ড. মো. ইকবাল হোসাইন, অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি প্রমুখ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে চব্বিশের গণবিপ্লব: ডা. শফিকুর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729864271-6a2a7385c3b402930eaa610e58719e63.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে চব্বিশের গণবিপ্লব: ডা. শফিকুর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/25/1439081" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সভাপতির বক্তব্যে নাজমুল হক সাঈদী বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও নানা বাধা ও ষড়যন্ত্রের কারণে হয়নি। বিশেষ করে গত সাড়ে ১৫ বছরে ইবিকে প্রায় ধ্বংস করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল রূপ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। সব বাধা পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদালয় এবার নতুন রূপে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’</p> <p style="text-align:justify">বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে অ্যালামনাইয়ের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা এবং গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক হিসেবে নাজমুল হক সাঈদী এবং সদস্য সচিব হিসেবে মুহাম্মদ আবদুল হাই নির্বাচিত হন। তারা একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। </p> <p style="text-align:justify">পরে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার নিবন্ধিত অ্যালামনাই ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।<br />  </p>