মাদক সেবনে অভিযুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সুনীতি শান্তি হলের ৪ শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাবিনা ঐশী, লাবিবা ইসলাম, ফার্মাসি বিভাগের আতিফা লিয়া এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা রহমান রোদিতা।
তারা সবাই স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলের বাইরে অবস্থান করছেন।
অফিস আদেশে আরো বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্বদ্যিালয়ের সুনীতি শান্তি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রভোস্ট কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সুপারিশক্রমে হলের পরিস্থিতি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আবাসিক হলের বাইরে অবস্থানের জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
অভিযুক্ত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাবিনা ঐশী বলেন, তদন্ত যতদিন চলবে, আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাইরে থাকার কথা বলেছেন। আপাতত আমি বাইরেই আছি।
অভিযুক্ত আতিফা লিয়া নিয়ে বলেন, উনারা (প্রশাসন) ৩টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মিটিং করে একদিনের জন্য হলের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। পরবর্তীতে মেয়ে মানুষ কোথায় যাবো ভেবে নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানি হলে থাকার কথা বলেন।
হলের মেয়েরা নাকি নিরাপত্তাহীনতা ফিল করবে এবং আমাদেরও ঝুঁকি আছে বলে আমাদের হল থেকে বের করেন।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা রহমান রোদিতা বলেন, তদন্ত যতদিন চলবে, ততদিন আমাদের নিরাপত্তার কথা বলে বাইরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন বাইরেই আছি।
সুনীতি শান্তি হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোসা. শাহীনুর বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি, হল কমিটিসহ মিটিং করে হলের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তদন্ত চলাকালীন তাদের আপাতত হলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ ফেব্রুয়ারি হল প্রশাসন ও প্রক্টর বরাবর সুনীতি শান্তি হলের প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।