ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরেও কুবিতে কোটা বহাল

কুবি সংবাদদাতা
কুবি সংবাদদাতা
শেয়ার
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরেও কুবিতে কোটা বহাল
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে মোট ছয় ধরনের কোটায় আসন বরাদ্দ রয়েছে মোট ৯১টি । এই কোটা বাতিল চেয়ে কয়েক দফায় আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবুও চলতি ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন
ছাত্রের মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

ছাত্রের মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

 

অ্যাকাডেমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ১ হাজার ৩০টি ও কোটায় ৯১টিসহ মোট আসন ১ হাজার ১২১টি।

এর মধ্যে ছয় ধরনের কোটায় ৯১টি সিট বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি সিট পোষ্য কোটায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৭টি, উপজাতি কোটায় ১২টি, শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় ৬টি, উপজাতি কোটায় ৪টি এবং বিকেএসপি বা পেশাদার খেলোয়াড় কোটায় রয়েছে মোট ৪টি আসন। এসব আসন বাতিল চেয়ে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, কোটা বৈষম্য সৃষ্টি করে।

এই বৈষম্য নিরসনে জুলাই বিপ্লব ঘটেছে। এর পরে আর আমরা কোনোরকম কোটা চাই না। কোটা বাতিল চেয়ে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি। এই কোটা পদ্ধতি বাতিল করা না হলে আমরা ফের আন্দোলনে নামবো।
 প্রশাসনকে অবশ্যই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আরো পড়ুন
নোয়াখালীতে পলিথিন কারখানায় অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা

নোয়াখালীতে পলিথিন কারখানায় অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা

 

 

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রনি আহমেদ বলেন, সরকারি চাকরিতে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে  সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছে। এখন আবার এসব বিষয়ে যদি আন্দোলন করতে হয় তাহলে জাতি হিসেবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সংবিধান অনুসারে শুধু অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্যই কোটা থাকতে পারবে তাও এটা একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা রয়েছে। দেশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা শিক্ষকরা বা মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে মেয়েরা কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই।

তাই সকল ধরনের কোটা বাতিল করা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। কোটার বিষয়টি নিয়ে আগামী মিটিংয়ে আলোচনা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, পোষ্য কোটা বাতিল নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আর অন্যান্যগুলো সংস্কার করে সাধারণ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা এ বিষয়েও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবছরের ভর্তিতে অতিরিক্ত কোটার আসনগুলো থাকছে। আমার একার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। সামনের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চবিতে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে হল নির্মাণ হচ্ছে না

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
চবিতে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে হল নির্মাণ হচ্ছে না
ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পাকিস্তানের সাবেক স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে কোনো হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভায় ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে কোনো হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিত্যক্ত শামসুন্নাহার হলের নাম পরিবর্তন করে তার নামে করার একটি প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। বাতিল হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে হল নির্মাণের প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু সিন্ডিকেটে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে, চবির ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ছয়টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে 'শহীদ ফরহাদ হোসেন হল', আবু ইউসুফ ভবনের নাম 'শহীদ হৃদয় তরুয়া ভবন', জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের নাম 'বিজয় ২৪', বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম ‘নবাব ফয়জুন্নেছা হল', বঙ্গবন্ধু উদ্যানের নাম ‘জুলাই বিপ্লব উদ্যান' এবং শেখ কামাল জিমনেসিয়ামের নাম 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়াম' করা হয়েছে।

চবি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে কোনো হল নির্মাণ বা নামকরণের প্রস্তাব বাতিল হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মাদক সেবনে অভিযুক্ত কুবির ৪ নারী শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ

কুবি সংবাদদাতা
কুবি সংবাদদাতা
শেয়ার
মাদক সেবনে অভিযুক্ত কুবির ৪ নারী শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ
সংগৃহীত ছবি

মাদক সেবনে অভিযুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সুনীতি শান্তি হলের ৪ শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাবিনা ঐশী, লাবিবা ইসলাম, ফার্মাসি বিভাগের আতিফা লিয়া এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা রহমান রোদিতা।

তারা সবাই স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলের বাইরে অবস্থান করছেন।

অফিস আদেশে আরো বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্বদ্যিালয়ের সুনীতি শান্তি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রভোস্ট কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সুপারিশক্রমে হলের পরিস্থিতি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আবাসিক হলের বাইরে অবস্থানের জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

অভিযুক্ত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাবিনা ঐশী বলেন, তদন্ত যতদিন চলবে, আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাইরে থাকার কথা বলেছেন। আপাতত আমি বাইরেই আছি।

অভিযুক্ত আতিফা লিয়া নিয়ে বলেন, উনারা (প্রশাসন) ৩টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মিটিং করে একদিনের জন্য হলের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। পরবর্তীতে মেয়ে মানুষ কোথায় যাবো ভেবে নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানি হলে থাকার কথা বলেন।

হলের মেয়েরা নাকি নিরাপত্তাহীনতা ফিল করবে এবং আমাদেরও ঝুঁকি আছে বলে আমাদের হল থেকে বের করেন।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা রহমান রোদিতা বলেন, তদন্ত যতদিন চলবে, ততদিন আমাদের নিরাপত্তার কথা বলে বাইরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন বাইরেই আছি।

সুনীতি শান্তি হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোসা. শাহীনুর বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি, হল কমিটিসহ মিটিং করে হলের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তদন্ত চলাকালীন তাদের আপাতত হলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৫ ফেব্রুয়ারি হল প্রশাসন ও প্রক্টর বরাবর সুনীতি শান্তি হলের প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষে মূল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বুয়েটের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০ মার্চ থেকে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে। মূল ভর্তি পরীক্ষা ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমান প্রার্থীদের তালিকা বুয়েট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে মেধাতালিকা ও পছন্দক্রম অনুসারে প্রার্থীদের বিভাগ বণ্টনও প্রকাশ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুই কারারক্ষী সাময়িক বরখাস্ত

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুই কারারক্ষী সাময়িক বরখাস্ত

 


 
এবারের চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৭ হাজার ৪৬৭ জন ভর্তিচ্ছু। শতাংশের হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার হার ৯৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম শিফটে এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দ্বিতীয় শিফটে বুয়েট ক্যাম্পাসে এ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।


 

আরো পড়ুন
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট এবং দোকানপাট বন্ধ

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট এবং দোকানপাট বন্ধ

 


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিল। রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী এবার মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
 
এর আগে, বাছাইকৃত সব সঠিক আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২৪ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী গত ২৩ জানুয়ারি তিন শিফটে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
 
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের প্রথম থেকে ২৫০০তম পর্যন্ত তিন শিফটে (মডিউল-এ ও মডিউল-বি) মোট ৭ হাজার ৫৫২ জন শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন।

যার মধ্যে প্রথম শিফটে ২ হাজার ৫২০ জন, দ্বিতীয় শিফটে ২ হাজার ৫১২ ও তৃতীয় শিফটে ২ হাজার ৫২০ জন নির্বাচিত হন।

মন্তব্য

আধুনিক প্রযুক্তি ই-টিকিট

    অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা ই-টিকিট সম্পর্কে জেনেছ। ভ্রমণ ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে—
এস এম তাহমিদ
এস এম তাহমিদ
শেয়ার
আধুনিক প্রযুক্তি ই-টিকিট
স্ক্যানারের মাধ্যমে ই-টিকিটের কিউআর কোড পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

ই-টিকিটের পূর্ণাঙ্গ রূপ ‘ইলেকট্রনিক টিকিট’। বাস, রেল বা আকাশপথে ভ্রমণে ই-টিকিট প্রযুক্তি বহুল ব্যবহৃত। এতে সুবিধা হলো, ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা যায়। আবার কাউন্টারের ভিড় এড়ানোও সম্ভব হয়।

কনসার্ট, সিনেমা হল অথবা পার্কে প্রবেশের জন্যও ই-টিকিট ব্যবহারের প্রচলন বেড়েছে।

এই প্রযুক্তি পুরোপুরি ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। ই-টিকিটের ধারণার জন্ম ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে। যুক্তরাষ্ট্রের সাউথওয়েস্ট ও ভ্যালুজেট নামের দুটি এয়ারলাইন কম্পানি ১৯৯৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ই-টিকিটের ব্যবহার শুরু করে।

২০০৮ সালে বিমানযাত্রায় ই-টিকিটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন [আইএটিএ]।

নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে ই-টিকিট। নাম ও অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটের ফরমে লিখে নির্ধারিত মূল্যও পরিশোধ করতে হয় ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে। এরপর ক্রেতার ই-মেইলে পিডিএফ আকারে পৌঁছে যায় ই-টিকিট।

প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে ক্রেতার তথ্য, পিডিএফ ফাইলে সেই তথ্যের লিংক দেওয়া হয় কিউআর অথবা বারকোড আকারে। পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করার প্রয়োজন নেই, স্মার্টফোনে সেটি ওপেন করে কিউআর কোড টিকিট চেকারকে দেখালেই হয়। স্ক্যানারের মাধ্যমে কিউআর কোড পরীক্ষা করে টিকিট যাচাই করা সম্ভব।

কাগজের টিকিটের বদলে ই-টিকিট ব্যবহারে যেমন কাগজ ও কালির অপচয় কমানো সম্ভব, তেমনি রোধ করা যায় টিকিট জালিয়াতি। একই কোড একাধিকবার ব্যবহার করা সম্ভব নয়, তাই ই-টিকিট কপি করে একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারে না।

প্রতিটি ই-টিকিটের মধ্যে ক্রেতার তথ্য থাকায় কালোবাজারি থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। একজনের টিকিট অন্য কেউ ব্যবহার করলে তা দ্রুত শনাক্ত করাও সম্ভব। ই-টিকিটের আরেকটি বড় সুবিধা, কেনার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই ইন্টারনেটে সহজে কেনা যায় টিকিট, ব্যবহার শেষে উচ্ছিষ্ট কাগজও থাকে না।

ই-টিকিট কেনা ও টিকিট যাচাই—দুই ক্ষেত্রেই প্রয়োজন ইন্টারনেট। অনেকের কাছে এটা সমস্যার মনে হতে পারে। যাদের স্মার্টফোন নেই, তাদের ই-টিকিট প্রিন্ট করাতে হয়, তাই কাগজ ও কালির প্রয়োজন রয়েই যাচ্ছে। অনেক সময় সার্ভার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে সমস্যা তৈরি করে তখন টিকিট যাচাই বিলম্বিত হয়। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী, উচ্চক্ষমতার সার্ভার ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সেবার পরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তাই এখন বেশির ভাগ সমস্যাই কাটিয়ে উঠেছে ই-টিকিট।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ