এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পেলেন ১৯ শিক্ষার্থী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পেলেন ১৯ শিক্ষার্থী
সংগৃহীত ছবি

গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ৭ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম গ্রাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন।

সমাবর্তনে ১৯ কৃতি শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক লাভ করেন। এদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, বিবিএ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী কাজী শাহরুখ ওমী ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল, মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল লাভ করেন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ফ্রান্সিস টি ডেভিস। তিনি তার বক্তব্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি'র গ্র্যাজুয়েটদের সারা বিশ্বে বিচরণ করে নিজেদেরকে যোগ্যতা প্রমাণের কথা বলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান, সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক আমার দেশ। তিনি বলেন, আজকে প্রাপ্ত ডিগ্রী দেশ ও জাতি গঠনের কাজে লাগাতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবার কথা বলেন।

সমাবর্তনে শুভেচ্ছা পাঠান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তুরস্কের আংকারা ইলদ্রিন বেইজিদ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইয়াসিন আকটে; এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ২৯ বছর আগে দেশ ও জাতির জন্য দক্ষ যোগ্য ও নৈতিক মানে উন্নত গ্র্যাজুয়েট তৈরীর লক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ জাফার সাদেক; আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পড়াই না, তাদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে খেলাধুলার পাশাপাশি কো কারিকুলার এক্টিভিটিজে গুরুত্ব দেই।

ভাইস চ্যান্সেলর ইমিরেটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান তার বক্তব্যের শুরুতে জুলাই বিপস্নবের সকল শহীদকে স্মরণ করেন ও তাদের জন্য দোয়া করেন এবং এইউবির গ্র্যাজুয়েটদের জুলাই বিপস্নবের আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যেতে বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এইউবি সিন্ডিকেট সদস্য এস এম ইয়াছিন আলী ও এইউবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুল ইসলাম সহ এইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সিন্ডিকেট সদস্য, আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও গ্রাজুয়েটরা সমাবর্তনে অংশ নেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হাইড্রেশন ও গ্লোয়িং স্কিনের নতুন ইনোভেশন ভ্যাসলিন ‘গ্লুটা হায়া’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
হাইড্রেশন ও গ্লোয়িং স্কিনের নতুন ইনোভেশন ভ্যাসলিন ‘গ্লুটা হায়া’
সংগৃহীত ছবি

ইউনিলিভার বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে স্কিন কেয়ারে নতুন যুগান্তকারী ইনোভেশন—ভ্যাসলিন ‘গ্লুটা হায় ‘ সিরাম-ইন-লোশন। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া চ্যালেঞ্জিং। রুক্ষ, শুষ্ক কিংবা অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবের সমাধানে ভ্যাসলিন গ্লুটা হায়া সারা বছর ত্বককে আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখবে।

এই সিরাম-ইন-লোশন লাইটওয়েট ও নন-স্টিকি ফর্মুলায় তৈরি, যা ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়েশ্চার লক করে দেয় ইনস্ট্যান্ট গ্লো ।

এতে আছে স্কিন ব্রাইটেনিং ও হাইড্রেটিংয়ের অনন্য উপাদান গ্লুটাথিয়ন, হায়ালুরোনিক এসিড,  নায়াসিনামাইড ও প্রো-রেটিনল, যা ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, দাগ হালকা ও ময়েশ্চার লক করে ত্বককে করবে গ্লোয়িং। যা প্রথম ব্যবহারেই গ্লো করবে চোখে পড়ার মতো।

ভ্যাসলিন গ্লুটা হায়ার দুটি ভ্যারিয়েন্ট ‘ডিউই রেডিয়েন্স’ ও ‘ফ্ললেস গ্লো’, যা ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিশ্চিত করবে। বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড ভ্যাসলিনের এই অত্যাধুনিক ফর্মুলা এখন দেশব্যাপী সুপারশপ, কসমেটিকস স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফরমে পাওয়া যাচ্ছে।

নিয়মিত ব্যবহারে এটি হয়ে উঠতে পারে আপনার স্কিন কেয়ারের প্রধান হাতিয়ার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন যুগের সূচনা

টঙ্গীতে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’র উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
টঙ্গীতে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’র উদ্বোধন

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশন্স (GDHS) এবং তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) যৌথভাবে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টায় টঙ্গীর তনিমা মেডিসিন হাউসে TIKA এর সহায়তায় প্রথম ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত বর্তমানে নানান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বর্তমানে প্রতি ৬,৫৭৯ জন রোগীর জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক এবং ২৩,০০০ জন রোগীর জন্য একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রয়েছেন।

দেশের ৬১% জনগোষ্ঠী গ্রামে বসবাস করলেও, মাত্র ২৫% স্বাস্থ্যকর্মী গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত। পাশাপাশি, অসংক্রামক রোগে (NCDs) মৃত্যুর হার ৬০% বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট মৃত্যুর ৭০% পৌঁছেছে। এছাড়া, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়ও ক্রমাগত বাড়ছে। ২০০০ সালে যেখানে পরিবারের মাত্র ১৫% আয়ের ১০% স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করত, ২০১৬ সালে তা বেড়ে ২৪%-এ দাঁড়িয়েছে।

এই সংকট মোকাবিলায় GDHS অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্ম ‘সুখী চালু করা হয়েছে। “স্বাস্থ্যসেবার সব সমাধান” স্লোগানকে সামনে রেখে সুখী সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ চালু করা হয়েছে।

এই কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে রোগীরা পাবেন ২০ টাকায় ইনস্ট্যান্ট ডাক্তার পরামর্শ, বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ সেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা, ডায়াগনস্টিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ, নিকটস্থ সার্জারি রেফারেল এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ ও সহায়তা। প্রাথমিকভাবে ৫,০০০ ফার্মেসির সঙ্গে সুখী সেবা কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ৫০,০০০ ফার্মেসিতে সম্প্রসারণ করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি টঙ্গীতে প্রথম ‘সুখী সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশন্স-এর পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) ড. আহমেদ আরমান সিদ্দিকী, প্রধান টেকনোলজি অফিসার (CTO) মোহাম্মদ সোলায়মান রাসেল, পার্টনারশিপ লিড, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ডা. ফাহরীন হান্নান। তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA)-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সেভকি মারথ বারিস, মুহাম্মদ আলী আর্মগান, সহকারী সমন্বয়ক এবং পরিচালকের সহকারী মনজুর এলাহী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

সুখী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে আধুনিক ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার যাত্রা শুরু হলো। আগামী দিনে এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তারা।

মন্তব্য

শুরু হতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শুরু হতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’!

চাঁদের আলোয় মখমলি হাওয়া আর সুস্বাদু খাবারের মেলবন্ধন—এবার ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’! এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিশেষ এই আয়োজন হবে এক অবিস্মরণীয় রাত, যেখানে খাবার আর বিনোদন মিলবে এক অনন্য মোড়ে।

ভোজন রসিকরা উপভোগ করতে পারবেন প্রচলিত সব খাবারের পাশাপাশি সিজলিং বারবিকিউ–ধোঁয়া ওঠা গরম কাবাব আর গ্রিল, ভিন্ন স্বাদের বাহারি সব স্ট্রিট ফুড, রঙিন সব মিষ্টির ভেলকি, গরম ও ঠাণ্ডা পানীয় স্টেশন এবং ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন–রমজানের আনন্দকে বাড়িয়ে করবে দ্বিগুণ! যেখানে একই ছাদের নিচে থাকবে ৪০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি সব রেস্টুরেন্ট ও ফুড ব্র্যান্ড।

এটা শুধুমাত্র একটি ফুড ফেস্টিভ্যাল নয় এখানে খাবারের পাশাপাশি থাকবে বিনামূল্যে আকর্ষণীয় সব বিনোদনের ব্যবস্থা। একই ছাদের নিচে অতিথিরা খাবার গ্রহণের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান মেহেদি তরু এবং তাহসিন এম খানের সরাসরি পারফরম্যান্স ও ফায়ার স্পিনিং শো।

এ ছাড়াও ছোট্ট সোনামণিদের জন্য থাকবে আনলিমিটেড খেলাধুলার ব্যবস্থা।

শহরের প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁওয়ের আলোকিতে এই জমজমাট উৎসবটি ১৮ ও ১৯ মার্চ বিকাল ৪টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলবে। বিকেল থেকে জমতে শুরু করবে উৎসবের আমেজ, আর চলবে গভীর রাত পর্যন্ত! পুরো প্রাঙ্গণ জুড়ে থাকবে হাজারো স্বাদের সমারোহ আর দারুণ সব আয়োজন! মুনলাইট ফেস্টিভ্যালে খাবারের পাশাপাশি থাকবে চমকপ্রদ সব আয়োজন—মেহেদি কর্নার, ক্লে স্টেশন সেইসঙ্গে আরো থাকবে জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের আনাগোনা।

মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১ এর সম্পূর্ণ ইভেন্টটি লাইভ করবেন জনপ্রিয় ফ্যাশন মডেল বুশরা কবির।

আরো উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় সব ফুড ব্লগার ফাবিহা নওশীন প্রভা, ইফরীত তাহিয়া সহ অনেকেই।

পুরো ইভেন্টটির স্পনসর হিসেবে থাকছেন ফুডেলা, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, আশিয়ান সিটি এবং বেভারেজ স্পনসর হিসেবে থাকছেন পার্টেক্স স্টার গ্রুপের মাম। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ২০২৫ সালের এখন পর্যন্ত সব চাইতে বড় ফুড ফেস্টিভ্যাল। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল’ এর প্রচারণায়! জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা এই উৎসব নিয়ে রীতিমতো মাতিয়ে তুলছেন সবাইকে।

মন্তব্য

প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের হেলিও ১০০ বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের হেলিও ১০০ বাজারে

এডিসন গ্রুপের প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড হেলিও তাদের স্মার্টফোন লাইনআপে আজ উদ্বোধন করল নতুন স্মার্টফোন হেলিও ১০০। ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকার এই স্মার্টফোনটি তে রয়েছে বর্তমান বাজারে দাম অনুযায়ী সবচেয়ে অত্যাধুনিক ফিচার।

হেলিও ১০০ সম্পর্কে এডিসন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব জাকারিয়া শাহিদ বলেন, ‘স্মার্টফোন শুধু একটি ডিভাইস নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। হেলিও ১০০ সেই অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যেখানে শক্তি, গতি ও প্রিমিয়াম ডিজাইনের মিশ্রণ ঘটেছে।

হেলিও ১০০ তে আছে অ্যান্ড্রোয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেম যার কারণে ব্যবহারকারীরা পাবেন গুগলের অত্যাধুনিক সব ফিচার এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেইস। এ ছাড়াও অ্যান্ড্রোয়েড ১৪ এ গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন হাই পারফরম্যান্স, অ্যাপ ওপেনিং এবং অত্যাধুনিক কাস্টমাইজেশন অপশন।

হ্যালিও ১০০ স্মার্টফোনটিতে আছে ৬.৬৭ ইঞ্চ ১২০ হার্জের ফুল এইচডি প্লাস থ্রিডি কার্ভড এমোলেড ডিসপ্লে, এর সাথে আছে ১০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এবং ডিসপ্লে প্রোটেকশন হিসেবে আছে আয়রন গার্ড গ্লাস, যার কারণে হাত থেকে পরে গিয়ে ডিসপ্লে ভেঙে যাওয়া, ফাটল ধরা থেকে পাওয়া যাবে সুরক্ষা। কন্টেন্ট স্ট্রিমিং, গেমিং বা দৈনন্দিন কাজে এই ডিসপ্লেটি আপনাকে দেবে অসাধারণ ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স।

এ ছাড়াও আছে ইন-ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডিসপ্লে।

চিপসেট হিসেবে এই হ্যান্ডসেটটিতে আছে মিডিয়াটেকের গেমিং চিপসেট ৬ ন্যানোমিটার মিডিয়াটেকের প্রিমিয়াম চিপসেট হেলিও জি১০০ এবং প্রসেসরে আছে বিদ্যুৎ গতির ২.২ গিগাহার্জ অক্টাকোর প্রসেসর। এই ডায়নামিক ডুও আপনাকে দিবে মাল্টিটাস্কিং, স্মুথ অ্যাপ ট্রানজিশন এবং ভারী গেমস খেলার সুপার ফাস্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। এতে আছে ৮ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি UMCP টাইপ ইন্টার্নাল স্টোরেজ যা দিয়ে আপনি স্টোর করতে পারবেন অনেক অনেক অ্যাপ্লিকেশন, ছবি বা ভিডিও।

UMCP মেমরি প্রযুক্তি থাকার কারণে ডেটা ট্রান্সফার হবে অনেক দ্রুত।

ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য, হেলিও ১০০ নিয়ে এসেছে ৬৪ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স ৬৮২ সেন্সর যার অ্যাপারচার f/1.9, যার মাধ্যমে স্বল্প আলোতেও উজ্জ্বল এবং ভালো মানের ছবি তোলা যাবে। এ ছাড়াও সাথে রয়েছে একটি ২MP ম্যাক্রো লেন্স, যা ব্যবহারকারীদের তোলা ছবির সূক্ষ্ম ডিটেইলস সহজেই ক্যাপচার করতে সক্ষম। ৩২MP ফ্রন্ট ক্যামেরাসহ ফেস ফোকাস ফিচারটি ব্যবহার করে তোলা যাবে নিখুঁত সব সেলফি এবং ভিডিও কল হবে অত্যন্ত মসৃণ।

এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫০০০mAh লি-পলিমার ব্যাটারি, যা সারাদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার করা যাবে।

ব্যবহারকারী যাই করুক না কেন, এই ব্যাটারি ব্যবহারকারীর লাইফস্টাইলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম। এ ছাড়া দ্রুত চার্জ করার জন্য হ্যান্ডসেটটির সঙ্গে থাকছে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট যুক্ত চার্জার যার মাধ্যমে মাত্র ৫০ মিনিটে পাওয়া যাবে ৮০% চার্জ। বৃষ্টি বা ধুলো বালি থেকে রক্ষা পেতে এই স্মার্টফোনটিতে আছে আইপি ৬৪ এর রেটিং।

হেলিও ১০০ ফোনটিতে রয়েছে ৪G/৩G/২G, Wi-Fi, GPS-AGPS, GLONASS, Galileo, Beidou এবং OTG ব্যবহার করার সুবিধা। নিরাপত্তার কথা আসলে এই ফোনটিতে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক ফিচার যা দ্রুত এবং নিরাপদে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে। এছাড়াও জি সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, লাইট সেন্সরের পাশাপাশি জাইরোস্কোপ সেন্সর এবং ম্যাগনেটিক সেন্সরও আছে এই হ্যান্ডসেটটিতে। তাছাড়াও, এই হ্যান্ডসেটতিতে আরো কিছু স্পেশাল ফিচার আছে যেমন, ডুয়াল ক্যামেরা মোড, এন্টি থেফট অ্যালার্ম, এজ লাইটিং মোড, নয়েজ ক্যানসেলেশন ইত্যাদি।

অবিশ্বাস্য ফিচার এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের সঙ্গে দুটি চমৎকার কালার অপশন –কসমিক গোল্ড এবং সুপার নোভা ব্লু সহ হেলিও ১০০ ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনে এনে দিবে সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা। স্লিম ডিজাইন এবং উজ্জ্বল রঙ সহ, এই স্মার্টফোনটি কেবল অসাধারণ পারফরম্যান্সই দিবে না, এটি দেখতে এবং হাত দিয়ে ধরতেও প্রিমিয়াম অনুভূতি দিবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ