বরিশালে ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার (৮ মার্চ) রাতে স্থানীয় নিয়ামতি বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে ফেলে রাখেন। হামলাকারীরা ছাত্রদল নেতার হাত-পায়ের রগ কর্তন করেছে বলে তার অনুসারীরা দাবি করেছেন। তবে আহত ছাত্রদল নেতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কারণে চিকিৎসকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আহত ছাত্রদল নেতার নাম আসাদুল্লাহ খান। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদল সভাপতি। হামলাকারী নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন ফরাজী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদশীরা বলছেন, দুই নেতার মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের।
প্রতিপক্ষের মামলায় ছাত্রদল নেতা ইতিপূর্বে কারান্তরীণও ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হলে স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আরো প্রকট আকার ধারণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রাত ১০টার দিকে আসাদুল্লাহ বাজারে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সালাম মৃধা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন ফরাজীর নেতৃত্বে একদল যুবক এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ শুরু করে।
তখন জীবন রক্ষার্থে ছাত্রদল নেতা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে তাকে রাস্তার ওপর ফেলেও কোপানো হয়। একপার্যায়ে তিনি লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনা বাজারের অসংখ্য মানুষ প্রত্যক্ষ করলেও ভয়ে তাকে উদ্ধার করতে কেউ সামনে অগ্রসর হয়নি।
ছাত্রদল নেতার স্বজনরা জানান, সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি কোপে আসাদুল্লাহর হাত এবং পায়ের রগ কেটে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
থানা পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের টিম নিয়ে গিয়ে ছাত্রদল নেতাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সালাম মৃধা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন ফরাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাকেরগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক আতাউর রহমান রোমান বলেন, নিয়ামতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুল্লাহকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী শাহিন ফরাজিসহ কয়েকজন। পূর্ব শক্রতার জের ধরে এই ঘটনা তারা ঘটিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও করেছে এই যুবদল নেতা।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধীয় জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ প্রস্তুতির পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।