এবারের ঈদ যাত্রায় স্বস্তি নিয়েই বাড়ি পৌঁছেছিল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। যাত্রাপথে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বড় ভোগান্তি পেতে হয়নি লাখ লাখ মানুষের। ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় কর্মস্থলে ফিরছে তারা। তবে ফেরার সময় ভিন্ন চিত্র ঘাটে।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ রুট
৫ ফেরি দিয়েই ২৪ ঘণ্টা সেবা!
মাদারীপুর সংবাদদাতা

বৃহস্পতিবার থেকেই ঘাটে ভিড় বাড়তে থাকে কর্মজীবী মানুষের।
এদিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়াগামী ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ রুটে পাঁচটি ফেরি দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন। অন্যদিকে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নৌ রুটে ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে।
সরেজমিন বাংলাবাজার লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চ ও স্পিডবোট ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী নিজাম মাতব্বর বলেন, ‘আমার বাইকের ভাড়া অন্য সময় ৭০ টাকা নেওয়া হয়, অথচ এখন নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। কিন্তু রিসিটে ৭০ টাকাই লেখা হচ্ছে। যাই হোক, টাকা বেশি নিলেও সমস্যা নেই। তাও যদি ফেরি পাই।’
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর থেকে আসা যাত্রী রুনা খান বলেন, ‘ঘাটে অনেক গরম আর জ্যাম। তার পরও এভাবেই যেতে হবে। কাল থেকে অফিস শুরু।’
বিআইডাব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘প্রতিবারই ঈদ শেষে ফেরার পথে যাত্রীদের চাপ একটু বেশি থাকে। এবারও যাত্রী চাপ রয়েছে। আজ শনিবার ভোর থেকেই লঞ্চে যাত্রীদেরে উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক সময় যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে লঞ্চে ওঠেন, তখন আর তেমন কিছু করার থাকে না। তাও চেষ্টা করছি নিয়ম মেনেই যাত্রীরা পারাপার করার।’
বিআইডাব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ রুটে পাঁচটি ফেরি দিয়ে যাত্রী, জরুরি গাড়ি পার করা হচ্ছে। কিছু গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই ব্যাপক চাপ। আমরা সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি পার করছি। বাইকের জন্য পৃথক ঘাট করা হয়েছে।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বাংলাবাজার ঘাটে মাত্র পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। তাই যাত্রীদের সামাল দিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘাটে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এখনো ঘটেনি।
ভাড়া বেশি আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঘাটে বেশি ভাড়া কেউ নিলে পুলিশকে জানান। আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সম্পর্কিত খবর

বৃষ্টিতে ভিজে ধান কাটছিলেন বাবা, কাগজ নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রাঘাতে মেয়ের মৃত্যু
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বজ্রাঘাতে মোছা. হাসনা বেগম (২০) নামের এক নারী মারা গেছেন। তিনি উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মাদারিনগর গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে। গত প্রায় ১০ মাস আগে তার বিয়ে হয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বাড়ির সামনে ফসলি ক্ষেতে বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটা অবস্থায় বাবাকে প্লাস্টিকের কাগজ দিতে গিয়ে বজ্রাঘাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর ২ টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি ছাড়াও বজ্রপাত হচ্ছিল। এ সময় বাড়ির সামনে একটি ধান ক্ষেতে ধান কাটছিলেন বাবা নুরুল হক। এ সময় বাবা বৃষ্টিতে ভিজছেন দেখে মেয়ে হাসনা একটি প্লাস্টিকের কাগজ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থাতে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে একজন উপপরিদর্শককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তিনি লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তেরি করছেন।

জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে কৃষকের মৃত্যু
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীগরে বজ্রাঘাতে আব্দুল আউয়াল (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কৃষক কুড়িঘর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে।
নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গ্রামের পার্শ্ববর্তী বিলের ফসলি জমিতে ধান কাটতে যান আব্দুল আউয়াল। ধান কাটা শেষ করে বিলে গোসল করার সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বজ্রাঘাতে একজন কৃষক মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষে থেকে আবেদন করা হলে কৃষকের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।

দিনাজপুরে ২৪ ঘণ্টায় সংসদ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৭৫
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যসহ শাহ সারোয়ার কবীরসহ ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ এপ্রিল) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে-গ্রেফতারী পরোয়ানা, সাজা পরোয়ানা, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিরা। দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জেলায় যে কোন ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ডেভিল গ্রেপ্তারের জন্য ‘অপারেশন ডেভিলহান্ট’ চলমান রয়েছে। এই অভিযানে আমরা আত্মগোপন থাকা গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি । এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কোতয়ালী থানায় ১৬ জন, বিরল ৯ জন, চিরিরবন্দর ৪জন, পার্বতীপুরে ৭জন, বীরগঞ্জে ৯ জন, কাহরোলে ১জন, বোচাগঞ্জে ২জন, ফুলবাড়ীতে ৯ জন, বিরামপুরে ৫ জন, নবাবগঞ্জে ৪জন, হাকিমপুরে ৪ জন ও ঘোড়াঘাটে ৫ জন।

চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়নে মেয়রের পদক্ষেপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নগরীর সি আর বি’তে অবস্থিত রেলওয়ে হাসপাতালে এই ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে চসিক মেয়র সম্মত হন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভায় ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়নের সম্ভাব্য স্থান এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে রেলওয়ে হাসপাতালে ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়নে মেয়র সম্মতি দেন।
মেয়র বলেন, রোগীর অভাবে এবং পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে নগরীর সি আর বিতে অবস্থিত রেলওয়ে হাসপাতালটি ধুঁকছে। এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়ন করলে একদিকে বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর স্বাস্থ্যসেবার পরিসর বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি হাসপাতালটিতে পর্যায়ক্রমে মেডিসিন, সার্জারি, ইএনটি, কার্ডিয়াক,নিউরোলজিসহ বিভিন্ন বিভাগ এবং আইসিইউ চালুর মাধ্যমে নগরীতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবার আওতা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপর রোগীর চাপ হ্রাস পাবে এবং ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময় প্রতিনিধি দলটিকে পরবর্তী করণীয়ের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন তিনি।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুর রব, ডা. মনোজ কুমার বড়ুয়া, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ডা. মো. কামাল উদ্দিন, ডা. মো. আবুল হোসেন, ডা. রাহাত খান।
এর আগে সভায় পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়নে প্রতিনিধি দলটি জানায়, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দরকার। এই লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি চট্টগ্রাম শহরের ভিতর কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করে। উক্ত কমিটির প্রস্তাবনায় চট্টগ্রাম ডেন্টাল কলেজের জায়গা বরাদ্দের জন্য রেলওয়ে হাসপাতাল, মোহরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এলাকা, হামিদচর ও আমিন জুট মিলস এলাকা প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করা হয়।