ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

কুমিল্লায় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মাদরাসা শিক্ষক মো. ইব্রাহিম

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সাধুর কলমিয়ায় এক মাদরাসা ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের নানা বাদি হয়ে মাদরাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিমকে (২২) আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃত মো. ইব্রাহিম লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের সাধুর কলমিয়া গ্রামস্থ তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষক ও ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার নুরপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রদের বিশ্রামের সময় মাদরাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম তাঁর শয়নকক্ষে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। তিনি এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই শিশুকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। গত মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়ে আত্মীয়স্বজনদের বলাৎকারের বিষয়ে অবগত করে। পরিবারের পক্ষ থেকে মাদরাসার প্রধান ক্বারী সাইফুল ইসলামকে জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওইদিন রাতে স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় শিশুটির নানা মীর হোসেন বাদি হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩-এর ৯ (১) ধারায় লালমাই থানায় মামলা রুজু করেন। বাবার মৃত্যুর পর মা দ্বিতীয় বিবাহ করায় শিশুটিকে তার নানা লালন-পালন করছেন।

বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লেয়াকত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, মাদরাসার নাজেরানা বিভাগের একজন এতিম শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে স্থানীয়রা একজন শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

আমি অভিযুক্ত শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের মামলায় একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আটপাড়ায় ১২ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
শেয়ার
আটপাড়ায় ১২ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনার আটপাড়ায় ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ শিশুটি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম অন্তর মিয়া (২১)।

তিনি নারাচাল গ্রামের রোকন মিয়ার ছেলে। 

আরো পড়ুন
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

 

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত অন্তর মিয়া গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ ওই শিশুটির ঘরে ঢোকেন। খালি ঘর পেয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান অন্তর।

পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শিশুটিকে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

আটপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতালে যাই। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।’

মন্তব্য
বিজয়নগর

সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ
নিহত মুরাদুর রহমান মুন্না। সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তে মুরাদুর রহমান মুন্না নামে এক যুবক বিএসএফ-এর নির্যাতনে মারা গেছে বলে অভিযেগ পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ, মুন্নাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে রাখা হয়। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্না ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে তার লাশ রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন
২ বছরে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ শতাংশ

২ বছরে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ শতাংশ

 

নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেলের দিকে মুন্না তার ধানি জমি দেখতে সেজামুড়া সীমান্তের কাছে যান। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

এসময় বিজিবি সদস্যরা টহলে গেলে তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্নার স্ত্রী রত্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, 'সীমান্তের কাছে আমাদের জমিতে সবজি চাষ করা হয়। বিকেলে আমার স্বামী সেই সবজি ক্ষেত দেখতে যায়।

অনেক সময় পার হলেও না আসায় আমি খোজাখুজি শুরু করি। পরে একজন ফোন দিয়ে জানায় বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় আমি ঘটনাটি জানাই, তারপরও তার সন্ধ্যান পাচ্ছিলাম না। অনেক পর আমার স্বামীকে আহত অবস্থায় পাই। বিএসএফ তাকে মারধর করেছে বলে জানায়।
'

বড় বোন আমেনা খাতুন বলেন, 'সন্ধ্যায় বিজিবি খবর দিলে ধানক্ষেত থেকে আমার ভাইকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়।'

তিনি বলেন, 'আমার ভাইয়ের এক সন্তান প্রতিবন্ধী। এখন এই পরিবারের দেখাশোনা কে করবে? বিএসএফ আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।'

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: আরাফাত বলেন, 'হাসপাতাল আনার পর আমরা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করি। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।'

আরো পড়ুন
অপহরণের পর ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, উদ্ধার করল যৌথবাহিনী

অপহরণের পর ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, উদ্ধার করল যৌথবাহিনী

 

বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ সাংবাদিকদের জানান, 'ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ওই যুবক কী কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন বা বিএসএফ তাকে ধরেছিল কি না, না অন্য কেও মেরেছে তা জানা যায় নি।'

মন্তব্য
নবীনগর

অপহরণের পর ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, উদ্ধার করল যৌথবাহিনী

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
অপহরণের পর ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি, উদ্ধার করল যৌথবাহিনী
রিফাত মিয়া। সংগৃহীত ছবি

ডিজিএফআই পরিচয়ে স্থানীয় সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মালু মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৯) অপহরণ করার ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক কালের কণ্ঠেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
২ বছরে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ শতাংশ

২ বছরে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ শতাংশ

 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল)  বিকেল ৫ টার দিকে জেলার কসবা থেকে রিফাতকে উদ্ধারসহ এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গভীর রাতে রিফাতকে কসবা থেকে নবীনগরে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানা গেছে।

উদ্ধার হওয়া রিফাতের বাবা ব্যবসায়ী মালু মিয়ার অভিযোগ, খোদ পুলিশের উপস্থিতিতেই আগের দিন সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে সন্ত্রাসীরা নিজেদেরকে ডিজিএফআই পরিচয় দিয়ে তার ছেলে রিফাতকে নির্বিঘ্নে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের চার ঘণ্টা পর রাত ৩ টার দিকে মুঠোফোনে ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে নগদ ৩ কোটি টাকা দাবি করা হয় বলেও রিফাতের বাবা সৌদী প্রবাসি শহীদুল ইসলাম মালু কালের কণ্ঠের কাছে অভিযোগ করেন।

আরো পড়ুন
ইলেকট্রনিক মেইল

ইলেকট্রনিক মেইল

 

এ বিষয়ে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি (মালু) পরদিন মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নবীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও (এজাহার) দাখিল করেছেন।

তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সোমবার রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে ১৭/১৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ সশস্ত্র দল আমার লাউর ফতেপুরের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় তারা আমার দ্বিতল ভবনের তিনটি গেইট ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে। এসময় আমি দুর্বৃত্তদের আগমণ টের পেয়ে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে সামান্য দূরে লুকিয়ে থাকি।

অন্ধকারে লুকিয়ে থেকেও আমি প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে আমার বাড়িতে যে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা, তা প্রত্যক্ষ করি।'

শহীদুল ইসলাম মালু বলেন, 'সংঘবদ্ধ ওই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তখন নিজেদেরকে 'ডিজিএফআই' পরিচয় দিয়ে বাড়িতে আমাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। এসময় তারা আমার ভবনের ভেতর তছনছ করে স্ত্রীর কাছ থেকে আলমারীর চাবি নিয়ে ঘরে থাকা ২৭ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ টাকা ও আমার ছোট ছেলে রিফাতকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়।

তবে এই ফাঁকে আমি জমিতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক স্যারকে ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাই। ওসি স্যার তখন আমাকে বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন।

তবে তিনি পুলিশ পাঠাচ্ছেন।

এর আধ ঘণ্টার মধ্যেই থানা থেকে দুই দারোগা আবদুল মন্নাফ ও রাম কানাই সরকারের নেতৃত্বে ৭/৮ জন পুলিশ আমার বাড়িতে আসেন। কিন্তু দু:খজনক হল, আমি দেখলাম, পুলিশ এসে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের বদলে সেসময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশ শলা পরামর্শ করল।

আরো পড়ুন
আজ ৯ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

আজ ৯ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

 

এ সময়  দারোগা মন্নাফ সাহেবকে কমপক্ষে ২০ বার ফোন করি। কিন্তু তিনি আমার ফোন না ধরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলাপ চারিতা করেই যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে এতগুলো পুলিশের উপস্থিতিতেই নগদ ২ লাখ টাকা, ২৭ ভরি স্বর্ণ ও আমার ছেলেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে আমার বাড়ি থেকে চলে যায়। এদের সঙ্গে পুলিশও আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।'

ব্যবসায়ী মালু আরো বলেন, 'এ ঘটনার ঠিক চার ঘণ্টা পর অপহরণকারীরা ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে আমার কাছে ফোন করে নগদ ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। পরদিন মঙ্গলবার আমি নবীনগর থানায় গিয়ে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ (এজাহার) দাখিল করি। ওই এজাহারে সন্ত্রাসীদের যে তিনজনকে আমি চিনেছি, তাদের (তিনজন) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনকে আসামি করি।

ওই তিন আসামি হলেন আমার লাউর ফতেপুর গ্রামের কামাল মিয়া ও কামাল খন্দকার এবং বাড়িখলা গ্রামের আবু কালাম আজাদ।'

তিনি দু:খ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ আমার বাড়িতে আসার পরপরই যদি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বৈঠক না করে এদেরকে গ্রেপ্তার করত। তাহলে আমার ২৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২ লাখ টাকা রাতেই ফেরত পেতাম। কিন্তু কেন পুলিশ উপস্থিত থেকেও আমার ছেলেকে অপহরণ করার সুযোগ করে দিল, আমি সেটিই বুঝতে পারলাম না। তবে ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনী যেভাবে অভিযান চালিয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধারসহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, সেজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।'

এ বিষয়ে কথা বলতে নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক ও দারোগা আবদুল মন্নাফের মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়া হলেও, তাঁরা কল রিসিভ করেননি।

পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক বলেন, 'অপহরণ হওয়া যুবক রিফাতকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। আপনারা দ্রুতই সব জানতে পারবেন।'

মন্তব্য

জামিনের পর সিরাজগঞ্জে সাবেক এমপি আজিজকে মারধর করে থানায় সোপর্দ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
জামিনের পর সিরাজগঞ্জে সাবেক এমপি আজিজকে মারধর করে থানায় সোপর্দ
ছবি : ভিডিও থেকে সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজকে কারাগারের সামনের রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মারধরের পর পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাঁকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

তবে কোন মামলায় তাঁকে আটক করা হলো বা আবারও কারাগারে পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে রাত পৌনে ৮টার দিকে জেলা কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ।

অন্যদিকে ডা. আজিজ জেল গেট থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে জোরপূর্বক ধরে নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ