<p>ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাবলুর রহমান নামে এক ছাত্রদল নেতা প্রতারকের খপ্পরে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নিয়ে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।</p> <p>জানা গেছে, গত বুধবার (৯ অক্টোবর) উপজেলার ভাটই বাজারে বাবলুর গোডাউনে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসেন নারায়ণ ঘোষ নামের এক ব্যক্তি। সেখানে পেঁয়াজ ওজন করে দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি টোকেন নিয়ে চলে আসেন তিনি। এরপর ব্যাপারি জাহিদুল ইসলামের কাছে টোকেন দিয়ে টাকা নিতে যান নারায়ণ। সেসময় একাধিক টোকেন দিয়ে টাকা দাবি করেন তিনি। তখন বিষয়টি ব্যাপারি জাহিদুলের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। তখন তিনি যাচাই করে দেখেন, একটি টোকেন সঠিক আর দুইটা টোকেন নকল করে এনেছেন পেঁয়াজ বিক্রেতা নারায়ণ। পরে জানতে পারেন, নারায়ণ এর আগেও একাধিক জায়গায় এমন প্রতারণা করেছেন। সেসময় জাহিদুল স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবলুর রহমানকে ডেকে আনেন। সেসময় বাবলু নারায়ণকে বকাবাজি করেন এবং তার পরিবারকে খবর দেন। খবর পেয়ে নারায়ণের পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানান। তারপর সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বাবলুকে আটক করে মামলা দিয়ে থানায় প্রেরণ করেন। পরদিন সকালে পুলিশ বাবলুকে আদালতে নিয়ে আসেন। আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।</p> <p>পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিনব কৌশলে আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে নারায়ণ। ঘটনাটি আমি বাবলু ভাইকে জানাই। বাবলু ভাই গোডাউনে আসার পর আতঙ্কিত হয়ে নারায়ণ তার পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে।’</p> <p>জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জানার পর বিভিন্ন ভাবে তদন্ত করেছি। ওই পেঁয়াজ বিক্রেতা এর আগেও অনেক জায়গায় এ ধরনের প্রতারণা করেছে। একটা মহলের প্ররোচনায় স্বচ্ছ ইমেজের ছাত্রনেতা বাবলুরকে ফাঁসানো হয়েছে। এ নিয়ে আমরা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p> <p>শৈলকূপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সব জায়গাতেই তড়িঘড়ি করার কারণে আসল ঘটনাটি জানার সময় ছিল না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি নারায়ণ ঘোষ এরকম কাজ একাধিকবার করেছেন।’</p>