<p>ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের কলা হাট বদলে দিয়েছে এ অঞ্চলের কলা চাষিদের ভাগ্য। পাশাপাশি সরকারও পাচ্ছে এই হাট থেকে বছরে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। এ কলা হাটে  প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার কলা বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হাট কর্তৃপক্ষ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/03/1730627275-458bd9ae764954e59ee6eec23b1a421e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/11/03/1442246" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সরেজমিনে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলার গ্রাম অঞ্চলের বাজারের মধ্যে সাবদারপুরে রয়েছে বড় বাজার। বাজারটির গা ঘেষে রেলস্টেশন। ওই রেলস্টেশনের পাশের জমিতেই গড়ে উঠেছে কলা হাট। বাজারটির  সাথেই রেলস্টেশন থাকায় এলাকার কলা বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের সুবিধার্থে সাবদারপুরের মৃত আব্দুর রশিদ খান, মৃত শফিকুর রহমান, হাবিল উদ্দিন বিশ্বাস, মৃত শাহ আলম সহ ৭-৮ জন এই কলা'র হাটটি স্থাপন করেন দীর্ঘ ৪০ বছর আগে। পরবর্তীতে এই কলার হাট প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অনেকে মারা যাওয়াসহ নানাবিধ কারণে এত দিন তেমন প্রসারিত হয়নি কলা হাটটি। গত ১০ বছর আগে এলাকার আবুল কাশেম বাবু, অহেদ মেম্বারসহ ৫-৬ জন হাল ধরেন কলা হাটটির। তারা বিভিন্ন অঞ্চলের কলা ব্যবসায়ী ও কলা চাষিদের সাথে যোগাযোগ করে কলা হাটটির প্রসারিত করেন। বর্তমানে হাটটি জমজমাট কলা হাটে পরিণত হয়েছে। আশপাশের কয়েকটি জেলার মধ্যে এ হাটটি সবচেয়ে বড় কলা'র হাট নামে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এ হাট থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কলা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রেন বা  ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে।</p> <p>স্থানীয় সাফদারপুর গ্রামের কলা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বাবু বলেন, বর্তমানে এ কলা হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার কলা বিক্রি হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘জয় শ্রী রাম বলুন’, সেলেনা গোমেজকে ভক্তের আহ্বান!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/03/1730626150-f9480d7b6fc1f89102973cab634e4858.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘জয় শ্রী রাম বলুন’, সেলেনা গোমেজকে ভক্তের আহ্বান!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/11/03/1442243" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি বলেন, কোটচাঁদপুর উপজেলাসহ আশপাশ উপজেলার কলা চাষিরা এই হাটে কলা নিয়ে এসে বিক্রি করেন। ফলে তাদের কলা বিক্রিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।</p> <p>স্থানীয় অহেদ মেম্বার বলেন, এখানে বিভিন্ন জাতের কলা বিক্রি হয়। তার মধ্যে রয়েছে- কয়েক প্রকার তরকারি জাতীয় কলা, পাকা কলার মধ্যে রয়েছে -সাগর, চাঁপা, সরবি, কাবলি, ঠোঁটে কলাসহ বেশ কয়েক জাতের কলা। </p> <p>তিনি জানান, ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি কলা ব্যবসায়ীরা এই কলা হাটে আসেন কলা কিনতে। এখানে কলা হাট প্রতিদিনই বসে। আর প্রতিদিনই পাইকারি ব্যবসায়ীরা ট্রাক বা ট্রেনে করে সুবিধা অনুযায়ী পরিবহন করে নিয়ে যান নিজ নিজ এলাকায়।</p> <p>উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কলা চাষি এনামুল জানান, এ বছর তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে সরবি কলা কলার চাষ করেছেন। এখন আর তাকে কলা বিক্রয়ের জন্য চিন্তা করতে হয় না। সাবদারপুর কলাবাজারে গেলেই ন্যায্য দামে  নগদ টাকায় অনাসে কলার কাদি ধরে বিক্রি হয়ে যায়।</p> <p>রাজাপুর গ্রামের আনারুল ইসলাম জানান, তিনি সাবদারপুর হাট থেকে পাইকারি দামে কলা ক্রয় করে ট্রেনের মাধ্যমে পরিবহন করে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিয়ে বিক্রি করেন। এখান থেকে কলা কিনে ট্রেনে পরিবহন করলে খরচ অনেক কম হয়। সেই সাথে ঝামেলাও কম।</p> <p>ঢাকার কলা ব্যবসায়ী রিয়ন জানান, এখানে চাহিদা অনুযায়ী কলা পাওয়া যায়। পাইকারি দামে কলা ক্রয় কিনে   ঢাকাতে নিয়ে যায়। তবে তিনি বলেন, সম্প্রতি কৃষি পণ্য স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ট্রেনটি চলছে সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার। এ ট্রেনটি সপ্তাহে  ৫/৬ দিন চললে আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হতো। কাঁচা মাল ট্রাকে অনেক নষ্ট হয় দাগ পড়ে যায়। ট্রেনে তা হয় না। তাছাড়া অনেক কম খরচে ট্রেনে পরিবহন করা যায়।</p> <p>সাফদারপুর রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রসুল জানান, অনেক আগে থেকেই পাশের কলাহাট থেকে ব্যবসায়ীরা কলা ক্রয় করে কুষ্টিয়া, পাকশী, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ ওই অঞ্চলে কলা ট্রেনে করে নিয়ে যান। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে প্রতিদিন ১টি করে কৃষি পণ্য স্পেশাল ট্রেন চলাচল করলে এসব ব্যবসায়ীসহ কৃষি পণ্য চাষিদের উপকারে আসতো। </p> <p>কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান জানান, সাবদারপুরে কলা হাট হওয়ায় এ অঞ্চলের কলা চাষিরা ন্যায্য দামে  কলা বিক্রি করতে পারছেন। ফলে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। সেই সাথে  দিনে দিনে কলার চাষও এ অঞ্চলসহ আশপাশ এলাকাতে বাড়ছে। প্রচলিত জাতের কলার পাশাপাশি নতুন জাতের কলা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি কলা চাষিদের। বর্তমানে কোটচাঁদপুর উপজেলাতেই কলা চাষ হচ্ছে ৩০০ হেক্টর জমিতে।</p>