<p>যৌতুকের ৩০ লাখ টাকা না পেয়ে জান্নাতুল ফারহানা হাসি নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (৩ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এই হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন তার মা রোজিনা আক্তার। নিপীড়নবিরোধী ছাত্র সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মা হত্যার বিচার চেয়ে ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে অংশ নেয় ছয় বছরের শিশু আরাবি।</p> <p>হাসি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ও সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ছিলেন। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করলে আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয় নিপীড়নবিরোধী ছাত্র সমাজ।</p> <p>হাসির মাসহ পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় সাত বছর আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে হুমায়ুনের সঙ্গে হাসির বিয়ে হয়। হুমায়ুন লক্ষ্মীপুর জজকোর্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার কাছ থেকে যৌতুক দাবি করছে। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হাসিকে হত্যা করে।</p> <p>এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে হাসির মা বলেন, বাড়িতে আসতে বললে হাসি ভয়ে আসত না। সে বলেছে, মা ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে তারা আমাকে মেরে ফেলবে। ওই টাকা না পাওয়ায় ২৯ অক্টোবর শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতন করে হাসিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি জড়িত।</p> <p>মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র প্রতিনিধি সরোয়ার হোসেন, পিংকি পাটওয়ারী, রাহিমা ইসলাম সেতু ও রেদওয়ান হোসেন বলেন, হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হুমায়ুন পুলিশ সদস্য। এ জন্য এখন পর্যন্ত মামলা নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো তদন্তও করছে না।</p> <p>বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিটন দেওয়ানকে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।</p>