ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা পরিষদে থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নবনিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শুক্রবার সকালে বাগেরহাট শহরের দশানী ঐতিহাসিক পচা দিঘির পাশে খানজাহান আলী আলিম মাদরাসা মাঠে বাগেরহাট জেলা শাখার রোকন সম্মেলন হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন
হিলিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘মাদকবিরোধী সভা’
তিনি বলেন, যারা দেশের আলেম-উলামাদের বিষয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখেছেন, যারা প্রকাশ্যে ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল, আমলা হিসেবে ব্যুরোক্রেসিতে, জুডিশিয়ালিতে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর থেকে পারপাস সার্ভ করেছে এমন প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওইসব ব্যক্তিদের উপদেষ্টা হিসেবে পদে থাকার নৈতিক অধিকার থাকতে পারে না।
মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে গত ১১ থেকে ১২ মাসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশের জনগণের সার্ভ করেছে, তাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল। কয়েক দিন আগে এমন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় লালিত গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময়ে সত্য তথ্য গ্রহণ করুন।
আরো পড়ুন
অভিযানের সময় সটকে পড়েন মজুদদাররা, বিক্রি বন্ধ রাখেন আলু
তিনি বলেন, শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। এ জন্য জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কমপক্ষে পুলিশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ারি, কনস্টিটিউশন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচন হলে ১৪, ১৮ এবং ২৪-এর মতো নির্বাচন হবে। সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ হটানোর আহ্বান জানান জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল।
প্রায় ১৮ বছর পর প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত বাগেরহাটের জেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যক্ষ মশিউর রহমান, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ইউসুফ আলী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইকবাল হোসেন। জামায়াত নেতা মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যাপক আব্দুল আলীম, মনজুরুল হক প্রমুখ।