আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশির ভাগ ঘর সচ্ছলদের দখলে, বাকিরা আছেন ভাড়া

ময়মনসিংহ (আঞ্চলিক) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ (আঞ্চলিক) প্রতিনিধি
শেয়ার
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশির ভাগ ঘর সচ্ছলদের দখলে, বাকিরা আছেন ভাড়া
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর । ছবি : কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের নান্দাইলের চর বেতাগৈর ইউনিয়নে চর ভেলামারী এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষে অগ্রাধিকারভিত্তিক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধিকাংশ ঘর সচ্ছল ব্যক্তিরা পেয়েছেন। তাদের নিজেদের ঘরবাড়ি থাকার কারণে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে থাকার প্রয়োজন হয় না। তাই বেশির ভাগ ঘরে তালা ঝুলছে। কিছু লোক বসবাস করলেও তাদের বিরুদ্ধে ভাড়া থাকার অভিযোগ রয়েছে।

আবু হানিফা (৫৫)। তার বাড়িতে রয়েছে আধাপাকা ও টিনশেড ঘর ও গভীর নলকূপ। আছে প্রায় দুই একর ফসিল জমি। এক ছেলে চাকরি করেন।

এ অবস্থায় ওই হানিফার স্ত্রী ও মেয়ের নামে ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দ সরকারের দেওয়া আশ্রয়ের প্রকল্পে দুটি ঘর নিয়েছেন। আর ওই দুটি ঘরে প্রায় দুই বছর ধরে তালা ঝুলছে। 

বালু ব্যবসায়ী মো. কামাল মিয়ার ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। নিজের কয়েক একর জমি, আধাপাকা টিনশেড ঘরবাড়ি তো আছেই।

তার পরও নিজের মেয়ের নামে বরাদ্দ রয়েছে আশ্রয়ণের ঘর। সেই ঘরেও তালা ঝুলছে। অথচ মেয়ের জামাই মালয়েশিয়াপ্রবাসী হওয়ায় পাশেই একটি বাজারে ভাড়া বাসায় মেয়ে বসবাস করছেন। 

একই গ্রামের আলমগীর, শফিকুল, নুরু ও ফারুক মিয়ারও রয়েছে জমি ও বাড়িঘর। অথচ নিজেদের ভূমিহীন দেখিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিয়েছেন একটি করে ঘর।

সেই ঘরে থাকেন না, তালা ঝুলছে। দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত ৭৩টি ঘরের মধ্যে বর্তমানে ২২টি ঘরে লোকজন অনিয়মিতভাবে বসবাস করলেও বাকি সব ঘরেই ঝুলছে তালা। ওই তালা ঝোলানো ঘরগুলো যারা পেয়েছেন। তাদের সবারই জায়গা-জমি রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ওই আশ্রয়ণে গিয়ে জানা যায়, এখানে বেশ কয়েকটি তালাবদ্ধ ঘরের মধ্যে আবু হানিফা নামের একজনের দখলে রয়েছে দুটি ঘর। পাশের ভাটিপাড়া গ্রামে বিত্তশালী ব্যক্তি, অঢেল সম্পত্তির মালিক তিনি। অন্যদিকে বালু ব্যবসায়ী কামাল মিয়ারও রয়েছে দুটি। এভাবেই বিত্তশালী অনেকের নামে রয়েছে একাধিক ঘর। তাদের বরাদ্দকৃত ঘরে শুরু থেকেই তালা ঝুলছে। 

আবু হানিফার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, তিনি বাড়ির পেছনে ফসলি খেতে তিল ও বাদাম মাড়াই করছেন। ৫ শতাংশ জমিতে তিল ও ৪ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছেন তিনি। 

দুটি ঘরের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘একটা আমার স্ত্রীর নামে আরেকটা মেয়ের নামে।’ এত সহায়-সম্পদ থাকলেও কেনো ভূমিহীনদের দেওয়া ঘর বরাদ্দ নিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তহনের নাইব (মো. আনোয়ার হোসেন) আমার পরিচিত ছিল তাই তিনি কইলে আমি আপত্তি করছি না।’ এর জন্য কোনো টাকা দিতে হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, ‘এইডা তো কিছু আছেই।’

কামালের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন নম্বর সংগ্রহ করে জানতে চাইলে কামাল ঘর বরাদ্দের কথা স্বীকার করে বলেন, তার মেয়ের নামে বরাদ্দ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মেয়ের স্বামী মালয়েশিয়ায় বসবাস করেন। মেয়ে ভাড়া বাসা নিয়ে স্থানীয় মধুপুর বাজারে বসবাস করেন।

জানা যায়, প্রতিটি ঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার টাকা করে। এই ঘরে গৃহহীন, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী ও অসহায় পরিবার বসবাস করার কথা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২১ জুলাই ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে দেশের অন্যান্য আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে এই প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। 

এ উপলক্ষে আবাসন প্রকল্পের পাশের আঙ্গিনায় শামিয়ানা টানিয়ে জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে ৭৩টি ঘরের মালিকানা দলিল ও চাবি নির্ধারিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে প্রকল্পের বাসিন্দারা নানা ধরনের বঞ্চনা ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এসব কারণে অন্যত্র থাকার মত জায়গা না থাকায় কয়েকটি পরিবার এখানে বাধ্য হয়ে বসবাস করলেও বেশির ভাগ পরিবার ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছে। ফলে তৎকালীন সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এ প্রকল্পটি চালু করেছিল সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি শৌচাগার। রয়েছে বিদ্যুৎ আর সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘরেই তালা ঝুলছে। ঝোপঝাড়ে ঘিরে ধরেছে ফাঁকা ঘরগুলো। বারান্দা ও আশপাশে জমে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা ও গোবর। কয়েকটি ঘরের বারান্দায় গবাদিপশু রাখা রয়েছে। কয়েকটি ঘরের মধ্যে পাটখড়ি রাখা রয়েছে। কোনো কোনো ঘরের উঠানে ময়লার স্তূপ। ৭৩টি ঘরের মধ্যে ২২টিতে লোকজন বসবাস করছে। বাকি ঘরগুলোর প্রতিটির দরজায় তালা দেওয়া। যেসব ঘরে লোকজন বসবাস করছে সেসব ঘরের মধ্যে অনেকগুলো আবার বসবাসকারীদের নামে বরাদ্দ নেই। যাদের নামে বরাদ্দ তারা কেউ এখানে বসবাস করে না। 

অভিযোগ রয়েছে কেউ কেউ এসব ঘর অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। আশ্রয়ণের সঙ্গই রয়েছে নরু মিয়ার বাড়ি। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন।

চর বেতাগৈর ইউপি সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন জানান, অনেকেই জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। তাই প্রকৃতরা বরাদ্দ পায়নি বলেই ঘরগুলো তালাবদ্ধ থাকছে। তা ছাড়া এখানকার আশ্রিতদের বেশিরভাগেরই স্থায়ী ঠিকানা এখানে নয়, তাই নিয়মানুযায়ী সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন তারা। 

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজুর রহমান জানান, এসব বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ কিছু জানেন না। তার পরও খোঁজ নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নার্সকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, ক্লিনিক মালিক গ্রেপ্তার

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
নার্সকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, ক্লিনিক মালিক গ্রেপ্তার

মাদারীপুরের শিবচরে নিজ ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চান মিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিতেন। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সেদিন বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান। 

সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ। এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবার। 

আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে। 

আরো পড়ুন
গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

 

শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ (পিপিএম) বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আপেল মাহমুদের নামে এর আগেও শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বীরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত মফিজুলের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৫

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বীরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত মফিজুলের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৫
সংগৃহীত ছবি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত মো. মফিজুল ইসলাম (৪৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ১২টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মফিজুল উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের মুচিবাড়ী গ্রামের মৃত সলিম উদ্দিনের ছেলে।

আরো পড়ুন
পড়তে বসলেই ঘুম? সমাধান জেনে নিন

পড়তে বসলেই ঘুম? সমাধান জেনে নিন

 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে মো. হাসিনুর (৩৫)-এর সঙ্গে মফিজুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে মফিজুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।

পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে ১৩ মার্চ রাত ১২টায় তিনি মারা যান।

আরো পড়ুন
পল্লীকবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পল্লীকবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

মন্তব্য

গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন সে বাসায় ঘটনাটি খুলে বলে। সে জানায়, এর আগেও রিপন তাকে একইভাবে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। তখন এ কথা কাউকে না বলতে তাকে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

আরো পড়ুন
আলু বোঝাই ট্রাকের চাপায় নিহত ১

আলুবোঝাই ট্রাকের চাপায় নিহত ১

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই।

পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আমরা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক শাকিল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

মন্তব্য
ফরিদপুর

আলু বোঝাই ট্রাকের চাপায় নিহত ১

    ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
আলু বোঝাই ট্রাকের চাপায় নিহত ১
সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আলু বোঝাইকৃত ট্রাকের চাপায় বাকিয়ার মল্লিক (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জালাল মিয়া (৬৭) নামের অপর বৃদ্ধ আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়েছে। নিহত ব্যক্তি বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখরদী গ্রামের মৃত হানিফ মল্লিকের ছেলে।

আরো পড়ুন
ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে: শামা ওবায়েদ

ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে: শামা ওবায়েদ

 

থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখরদী গ্রামের বৃদ্ধ বাকিয়ার মল্লিক (৬৫) ও জালাল মিয়া। তারা দুইজন কানখরদী বাসস্ট্যান্ড মসজিদ থেকে নামাজ শেষে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। 

এ সময় বোয়ালমারীগামী আলু বোঝাই ট্রাক মাঝকান্দী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে কানখরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাকিয়ার মল্লিক ও জালাল মিয়াকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই বাকিয়ার মল্লিক মারা যায়।

দূর্ঘটনায় আহত জালাল মিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। 

তবে ঘাতক ট্রাকটি বোয়ালমারী বাজারে কাঁচাবাজারের আড়তে ট্রাকটি রেখে চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ আড়ত ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন
নাজনীন লাকীর চিকিৎসায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আর্থিক সহায়তা

নাজনীন লাকীর চিকিৎসায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আর্থিক সহায়তা

 

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, মাঝকান্দী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কানখরদীতে আলু বোঝাইকৃত ট্রাকের চাপায় একজন নিহত এবং অপরজন আহত হয়েছে।

 

ট্রাকটিকে বোয়ালমারী বাজারের আলুর আড়ত থেকে জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ