ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মামুন সভাপতি, সম্পাদক আ. লীগের বাবুল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মামুন সভাপতি, সম্পাদক আ. লীগের বাবুল
সভাপতি এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন (বাঁয়ে) ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে বিএনপির কেউ জয়ী হতে পারেননি। সভাপতি পদে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করা এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল জয়লাভ করেছেন। অবশ্য সভাপতি পদে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কোনো প্রার্থী দেয়নি।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের।

নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল ১০টি পদে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সাতটি পদেই পরাজিত হয়েছেন তারা। জয়লাভ করেছেন সিনিয়র সহসভাপতি, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ও সদস্য পদে (৪নং)। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে রাতে নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

মোট ১৩টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন
রাস্তায় পড়ে ছিল কিশোরের গলা কাটা মরদেহ

রাস্তায় পড়ে ছিল কিশোরের গলা কাটা মরদেহ

 

এর আগে কল্যাণ ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক এ এইচ এম মনিরুজ্জামান সুমন এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে জেসমিন আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। 

সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী আবদুর রহমানের সঙ্গে একই ফোরামের বহিষ্কৃত সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম কামরুজ্জামান মামুনের মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

এ ছাড়া সভাপতি পদে আরো দুইজন অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনী ফলাফলে এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন ৩৩৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রহমান পেয়েছেন ২৪৬ ভোট। নিজেদের মধ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরেও প্রার্থী হলে কামরুজ্জামান মামুনকে বহিষ্কার করা হয়।

আরো পড়ুন
৯ ডিগ্রির ঘরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা

৯ ডিগ্রির ঘরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা

 

সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল ৩৭৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট।

এ ছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি পদে শামসুল হক লিটন, সহসভাপতি পদে কাজী এখলাছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে আশরাফুল ইসলাম খান (চমন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সম্পাদক পাঠাগার পদে জিল্লুর রহমান, সম্পাদক তথ্য-প্রযুক্তি পদে মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী তারেক, অডিটর পদে রেজুয়ানুর রহমান রনি, সদস্য পদে জহিরুল ইসলাম, শেখ সাজিদুর রহমান সজিব, শাহ সুলতান রকি ও মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী জয়লাভ করেছেন।

মন্তব্য

নিরাপত্তা জোরদারে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি
শেয়ার
নিরাপত্তা জোরদারে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু
ছবি: কালের কণ্ঠ

নিরাপত্তা জোরদার করতে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। সন্দেহ হলে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সদর থানা থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর এই টহল শুরু করা হয়।

জানা যায়, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আজ রাত ৮টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ বাহিনী টহল শুরু করেছে।

এসময় বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাস থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই ও তল্লাশি করা হয়। এ ছাড়াও সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি রোধে আমরা সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন উপজেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ টহল অভিযান শুরু করা হয়েছে।

মানুষ যাতে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, নওগাঁ ধান-চালের জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রাকে করে ধান-চাল বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ সময় কেউ অনিরাপদ মনে করলে, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদেরকে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

মন্তব্য

কেরানীগঞ্জে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, নেপথ্যে কী?

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কেরানীগঞ্জে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, নেপথ্যে কী?
আটক অভিযুক্ত ইমাম হোসেন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সীমা আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আমবাগিচা বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷

অভিযুক্ত ইমাম হাসানকে (২০) এলাকাবাসী পিটিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ইমাম হাসানের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। সীমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর এলাকায়।

ইমাম হাসানের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ইমাম আমবাগিচা বৌ বাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন। আর সীমা আগানগর ছোট মসজিদ এলাকায় ভাড়া থাকেন। পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সীমা ইমামের ভাড়া বাড়িতে দেখা করতে আসেন।

এ সময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমাম হোসেন তার ঘরে থাকা দা দিয়ে সীমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। সীমা চিৎকারে আশপাশের লোকজন ইমামকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ সীমাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী আক্তার হোসেন ঘটনাটি ছিনতাই বলে চালানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী সিমা আমার মেয়েকে নিয়ে কোচিং থেকে আমবাগিচা বাড়িতে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীর কানের দুল ও তার সাথে থাকা নগদ দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

রাজশাহীতে অবরুদ্ধ ৪ সমন্বয়ককে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
রাজশাহীতে অবরুদ্ধ ৪ সমন্বয়ককে উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

রাজশাহীর বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজে অবরুদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ চারজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। 

উদ্ধাররা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জি কে এম মেশকাত চৌধুরী মিশু, সংগঠনের জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক সোহাগ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল বারী ও ছাত্রনেতা আল-সাকিব। মিশু ও সাকিব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

আব্দুল বারী ও সোহাগ পড়াশোনা করেন রাজশাহী কলেজে।

বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক আওয়ামী সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আত্মগোপনের আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বাবা মো. শামসুদ্দিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বেলাল উদ্দীন বলেন, ‘এই চারজন গতকাল এসে আমাদের সচিবের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছিলেন। আজ আমার সঙ্গে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে না বসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কক্ষে যান।

তারা বিভিন্ন কথাবার্তা বলছিলেন। এখন আমাদের কলেজে তো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আছে। তারা এসবের প্রতিবাদ করেন।’

অধ্যক্ষ জানান, তার কলেজে অনুষ্ঠান চলছে। তাই আগে থেকেই পুলিশ ছিল।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। পরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কুইক রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরা আসেন। তারা চারজনকে থানায় নিয়ে যান।

সন্ধ্যায় ওই চার ছাত্রনেতাকে নগরের চন্দ্রিমা থানা থেকে অন্য ছাত্রনেতাদের জিম্মায় দেওয়া হয়। আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাই ছাত্রনেতাদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

মিশু একটি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতে থাকে। সেখানে শাহরিয়ার আলমের বাবার আশ্রয়ে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্মরত রয়েছেন।'

তিনি আরো বলেন, ‘চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে আমরা সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সচিব ভারপ্রাপ্ত তাজুল ইসলাম রনির সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় বসি। আলোচনার একপর্যায়ে সেখানে কর্মরত বেশ কয়েকজন অফিস স্টাফ (যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত) এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ঢুকে পড়েন এবং বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। এরমধ্যে রুম ও প্রতিষ্ঠানটির বাইরে মব তৈরি করে আমাদের আটকে ফেলা হয় এবং ইচ্ছেকৃতভাবে চাঁদাবাজ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।’

মিশু বলেন, ‘এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি। এবং অনতিবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।'

মন্তব্য

ছিনতাই নয়, কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার বলি নারী, প্রেমিক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ছিনতাই নয়, কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার বলি নারী, প্রেমিক আটক
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। পরকীয়া প্রেমিকের বটির কোপে মৃত্যু হয়েছে সীমা বেগম নামের ওই নারীর। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক ইমাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, নিহত নারী সীমা বেগমের সঙ্গে ইমাম হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সীমা বেগমের বাসায় আসেন ইমাম। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বটি দা দিয়ে সীমা বেগমে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ইমাম হোসেন। 

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে সীমা বেগমকে উদ্ধার করে মিডফোর্ট হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইমাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ