বরিশালে গ্রাম আদালতের ৯২ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শেয়ার
বরিশালে গ্রাম আদালতের ৯২ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি
ছবি: কালের কণ্ঠ

বরিশাল বিভাগের ২৩৯টি গ্রাম আদালতে দায়ের হওয়া পাঁচ হাজার ১৩৯ মামলার মধ্যে চার হাজার ৬৮৯টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সে হিসাবে নিষ্পত্তির হার প্রায় ৯২ শতাংশ। একই সঙ্গে তিন হাজার ৩২০টি মামলার আদেশে সাত কোটি ৮১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জেলার একটি হোটেলে ‘গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক একটি সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সেখানে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল আলম, বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। এর আগে গ্রাম আদালত সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারতেন। গত বছরের মার্চ থেকে এই নতুন আইন কার্যকরের পর গ্রাম আদালতে ঝুঁকছেন দরিদ্র মানুষ।

গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের ফলে দিন দিন মামলা দায়েরের পাশাপাশি নিষ্পত্তির সংখ্যাও বাড়ছে। একই সঙ্গে গ্রাম আদালতের ওপর আস্থা বাড়ছে মানুষের।

আরো পড়ুন
‘শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে’

‘শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে’

 

গ্রাম আদালতে মামলা করে গত ২২ জুলাই টাকা ফেরত পেয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের সেতারা বেগম। তিনি গত বছরের শুরুতে ২৫ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন একই গ্রামের মনির হোসেনকে।

কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন মনির। এ নিয়ে সেতারা বেগম ওই বছরের ১৫ জুলাই মনিরের বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতে মামলা করেন। আদালতের রায়ে তিনি টাকা ফিরে পেয়েছেন।

আরো পড়ুন
ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

 

আইন অনুযায়ী, ছোটখাটো ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধ স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। এই আদালত সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা মূল্যমানের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেন।

চুরি, ঝগড়া, প্রতারণা, ভয়ভীতি দেখানো, নারীকে অমর্যাদা করা, পাওনা টাকা আদায়, গবাদি পশুর ক্ষতির মতো বিরোধের নিষ্পত্তি গ্রাম আদালত করতে পারেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত
ছবি: কালের কণ্ঠ

মুসলিম বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ উল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জেলার সবচেয়ে বড় ও প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন ঠাকুরগাঁও বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. খলিলুর রহমান।

এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে ছোট বড় সবার মাঝে কুশল বিনিময় করেন।

আরো পড়ুন
মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত

মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত

 

এ ছাড়াও জেলা আনসার ও ভিডিপি মাঠ, পুলিশ লাইন মাঠ, বিজিবি ক্যাম্প মাঠসহ সদর উপজেলায় ১০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার অন্যান্য ৪ উপজেলায় উৎসব মুখর পরিবেশে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে।

মন্তব্য

মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত

    ৬২৮ ইদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা প্রতিনিধি
শেয়ার
মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত
ছবি: কালের কণ্ঠ

মাগুরায় যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে জেলার ৪ উপজেলার ৩৬ ইউনিয়নের ৬২৮টি স্থানে ঈদ-উল-ফিতরের পবিত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় শহরের নোমানী ময়দান মাঠে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা হাবিবুর রহমান সেখানে ঈদের নামাজ  পড়ান। এ সময় দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।

আরো পড়ুন
ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার

ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার

 

প্রধান এ জামাতে জেলা প্রশাসক মোহম্মদ অহিদুল ইসলাম, পৌর প্রশাসক ও মাগুরার অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদিরসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

এ ছাড়া শহরের হাজি আব্দুল হামিদ মাদরাসার মাঠ, শহরের পি টি আই, পারনান্দুয়ালী, নিজনান্দুয়ালী, মোল্লা পাড়া, পৌর কবরস্থান মাঠ, স্টেডিয়াম পাড়া, সদর উপজেলার ইছাখাদা দরগাহ মাঠসহ অন্য ৩ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি কামনা এবং ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত সোমবার(৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ঈদের জামাত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম ব্যাপক সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে কেন্দ্রীয় মাঠে ঈদ জামাত আয়োজন করা হয়।

জামাত শেষে দোয়ার পূর্বে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান এবং ঈদ জামাত উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান।

জামাতে ইমামতি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আব্দুল কুদ্দুস।

খুতবা শেষে দেশ, জাতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি কামনা এবং ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য জামাতে অংশ নেওয়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মুসল্লিদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।

ঈদের জামাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র, পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী এবং দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিগণ অংশগ্রহণ করেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি/যানবাহন পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি মুসল্লিদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হল ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রবেশদ্বার খোলা রাখা হয়।

ফলে ব্যাপক সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

ঐতিহ্যবাহী ময়দান গোর-এ-শহীদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঐতিহ্যবাহী ময়দান গোর-এ-শহীদ
ফাইল ছবি

দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় সাড়ে ২২ একর জমির এই ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়তে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মুসল্লি এসেছেন। 

ঈদ জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান। সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে, ২০১৫ সালে মিনারটি নির্মাণ করা হয় মোগল স্থাপত্য শৈলীতে। মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট, ৫২টি গম্বুজ এবং ৩২টি খিলান রয়েছে।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ