দক্ষিণ-পূর্বে তেঁতুলিয়া। উত্তর-পশ্চিমে বুড়াগৌরাঙ্গ নদী। এর মাঝে জেগে ওঠা ভূমিটির নাম চরনজির। এ চরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ।
বিচ্ছিন্ন চরনজিরে সংগ্রামী জীবন
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল শতাব্দির সত্তরের দশকে চরটি জেগে ওঠে। জনবসতি গড়ে ওঠে নব্বইয়ের দশকে। বর্তমানে চরটিতে প্রায় এক হাজারের মতো মানুষের বসবাস।
জনবসতি থাকলেও চরের বাসিন্দারা নাগরিক সুবিধা থেকে অনেকাংশেই বঞ্চিত। নেই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উপকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত হলেও সেখানে নেই আশ্রয় কেন্দ্র। জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য নেই বেড়িবাঁধ।
এমনকি, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রও নেই। তবে আছে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার। নেই পর্যাপ্ত গভীর নলকূপ। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা অপ্রতুল।
তবে এর মাছেও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছেন।
চরনজিরে দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। তাদের অধিকাংশই কৃষি ও মৎস্য পেশার ওপর নির্ভরশীল। বাসিন্দারা বলছেন, চরটি ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাদের নাগরিক নানা সুযোগ-সুবিধা থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন।
ঘরের পাশের যে পুকুরে নারীরা থালা-বাসন ধোঁয়ার কাজ করেন, তার পাশেই খোলা টয়লেট। তা জেনেও গৃহস্থালির কাজে এই পুকুরের পানি ব্যবহার করতে হয়। কারণ নদী ঘেরা এই চরের চারপাশে পানি থৈ থৈ করলেও তা লবণাক্ত। বিশুদ্ধ পানির বড়ই অভাব। হাতে গোনা ৬-৭টি গভীর নলকূপ আছে। কিন্তু জনসংখ্যা অনুপাতে তা পর্যাপ্ত নয়।
চরের বাসিন্দাদের মতে, নেই স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এ কারণে ডায়রিয়া ও সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ-বালাইয়ে সারা বছরই ভুগছেন তারা।
উন্নয়নকর্মী জুয়েল মাহমুদ বলেন, ‘প্রদৃপ্ত প্রকল্পের আওতায় চরে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা, ঘাট, পুকুর খনন ও সাঁকো নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু শিশুদের লেখাপড়া করার জন্য নেই কোনো স্কুল-মাদরাসা। এ কারণে পরিবারের সঙ্গে শিশুরা কৃষিকাজ, মাছ শিকারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।’
চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ২০২২ সাল থেকে চরনজিরে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ ও জাগো নারীর প্রদৃপ্ত প্রকল্প। এটির উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘চরের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ জীবনমান উন্নয়নে আরো কাজ প্রয়োজন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান বলেন, ‘ইতোমধ্যে চরনজিরবাসীর প্রাথমিক শিক্ষা, স্যানিটেশন, সুপেয় পানি সংকট সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করেছে। বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রয়োজনীয় নলকূপ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় টয়লেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চরটির শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।’
সম্পর্কিত খবর

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহেরীর সদস্য গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার ও.আর নিজাম রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহেরীর একজন সদস্য গ্রেপ্তার করেছ পুলিশ। এ সময় ৯টি বিভিন্ন সাইজের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল ফাইয়াজ (২৪) মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহেরীর উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ সদস্যরা রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মানসে জন সাধারণের ক্ষতি করার লক্ষ্যে নাশকতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার নিয়া ও.আর নিজাম রোড থেকে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়া মিছিল করে জিইসি মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহেরীর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহেরীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র বিপ্লবের ব্যানারে সমন্বিত আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসররা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে এবং পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখন তারা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে।
দেশে থাকা সাধারণ নেতাকর্মীদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা যারা দেশে আছেন ও বাড়িতে শান্তিতে আছেন তারা ভুলেও উস্কানিতে পা দেবেন না।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার একলিমিয়া দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রামপাশা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
রামপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ইসলাম উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আলমের যৌথ পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মোনায়েম খান, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা জামাল আহমদ, আব্দুল বাছিত বকুল, উপজেলা বিএনপি নেতা কাওছার আহমদ তুলাই।
বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সত্তার, সেচ্ছাসেবক দল নেতা রাজন খান, যুবদল নেতা সুমন আহমদ, সেবুল সরকার, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন। সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন ও শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীকে ফেরত পেতে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

খুলনায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া
খুলনা অফিস

রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল। ঈদের কেনাকাটা তখনো চলছে। বরাবরের ন্যায় নগরীর সাত রাস্তার মোড়ে আছে মানুষের জটলাও। এমন এক ব্যস্ততম নগরীতে রাত পৌনে ১১টার দিকে ঘটে গেল সন্ত্রাসীদের মহড়া।
এ ছাড়া একটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। আচমকা এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঘটনাটি শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতের।
ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রধারীরা তাৎক্ষণিক কয়েকটি গুলির খোসা কুড়িয়ে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু এ ঘটনা কেন বা কারা ঘটিয়েছে সেটি জানাতে পারেনি পুলিশ।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এমনিতেই নগরীর প্রতিটি মোড়ে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে ফাঁকা গুলি ও ককটেল হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু
সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় কুমিল্লার চার সাংবাদিককে মারধর, ফাঁকা গুলি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু’র সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় মেডিক্যালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা চার সাংবাদিককে মারধর ও একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর কুমিল্লায় কর্মরত সব সাংবাদিকরা কুমেকের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও পূবালী চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কুমিল্লায় কর্মরর্ত সাংবাদিকরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭ম তলায় এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
আহত সাংবাদিকরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, চ্যানেল ২৪ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুর রহমান, যমুনা টিভি ক্যামেরাপার্সন জিহাদুল ইসলাম সাকিব ও ইরফান।
ভুল চিকিৎসায় নিহত পারুলের স্বজন সাইফুল মাহিন জানান, আমার খালা ৭ম তলার একটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। পরে ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনের অন্য আরেকজনের ইনজেকশন আমার খালাকে পুশ করে পরে দুই মিনিটের মধ্যে আমার খালা মারা যায়। এই খবর পেয়ে সাংবাদিক এলে ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও বাহির থেকে আসা মেডিক্যালের ছাত্র ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের মারধর করে একটি রুমে আটকে রাখে। তাদের হাতে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপ ছিল।
আহত যুমনা সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের স্ত্রী ওয়ার্ডে ভুল ইনজেকশন ব্যবহার করার কারণে কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর এলাকার পারুল নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। ‘ভুল চিকিৎসায় ‘ ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে যমুনা টেলিভিশন ও চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিকরা যান। এ সময় ভবনের চারতলায় উঠলেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা দেন।
একপর্যায়ে তারা বহিরাগত আরো ছাত্র ও চিকিৎসককে খবর দেন। তারা এসে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং দুটি ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ট্রাইপড ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে এবং আমাদেরকে একটি রুমে আটকে রাখে।
যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন জিহাদুল ইসলাম সাকিব জানান, আমরা ‘ভুল চিকিৎসা’য় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। যাওয়ার পথেই আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। তাদের সবার হাতে স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপ ছিল। তারা থেমে থেমে কয়েক দফায় হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মাসুদুর রহমান একাধিক কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।