ফুল দেওয়া নিয়ে শহীদ বেদিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি

বরিশাল অফিস
বরিশাল অফিস
শেয়ার
ফুল দেওয়া নিয়ে শহীদ বেদিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি
সংগৃহীত ছবি

বরিশালের হিজলা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির ২ গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব অনুসারীদর মধ্যে এই মারামারি ঘটনা ঘটে। এসময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উভয়ের মধ্যে সমঝোতা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হিজলা উপজেলা প্রশাসন, হিজলা থানা, নৌ পুলিশ, আনসার, হিজলা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে উপজেলা বিএনপিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে অনুরোধ করা হয়।

এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনির দেওয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খোকন দপ্তরিসহ তার অনুসারীরা শহীদ বেদিতে ফুল দিতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গাফফার তালুকদার ও তার অনুসারীরা শহীদ বেদীতে উঠে পড়েন। সেসময় গাফফার তালুকদারের অনুসারী যুবদল নেতা বশির জানতে চান আহ্বায়কের আগে সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কেনো ফুল দিবে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মনির ও খোকনের সমর্থকরা শহীদ বেদীতেই গাফফার তালুকদারের অনুসারীদের ওপর চড়াও হন।

এসময় লাঞ্ছিত হন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গাফফার তালুকদারসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। পরে উভয় পক্ষ জড়িয়ে পড়েন মারামারিতে।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গাফফার তালুকদারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।পরবর্তীতে হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেনের মধ্যস্থতায় উপজেলা বিএনপির নেতারা একই সাথে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, আটক ৫

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, আটক ৫
ছবি: কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের পর তা বিক্রির জন্য নেওয়ার সময় গাড়িসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে আটককৃত ৫ জনকে আসামি করে কমলনগর থানায় মামলা করেছে পুলিশ। পরে দুপুরে আসামীদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আসামীরা হলেন- উপজেলার পাটোয়ারীহাট এলাকার শামসুদ্দিন বেপারির ছেলে মো. মান্নান (২৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. আলাউদ্দিন (১৯), চরফলকন এলাকার মাইন উদ্দিনের ছেলে মো. কামরুল (২২), আজাদের ছেলে ইসমাইল (১৯) ও ছগির আহাম্মদের ছেলে মো. শাকিব (২০)।

এর আগে বুধবার(২৬ মার্চ) মধ্য রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার হাজিরহাট মেঘনা সিনেমা হলের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে মাছ ভর্তি একটি পিকআপ গাড়ির চালকসহ চারজন মাছ বেপারিকে আটক করা হয়েছে।  মাছ ক্রয় এবং পরিবহনের অপরাধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মামলার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। জব্দকৃত মাছ নিলামের মাধ্যমে ৬৪ হাজার ৮০০ টাকায়  বিক্রি করা হয়েছে।

টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। পিকআপ গাড়িটি থানা হেফাজতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন মওসুমের (মার্চ-এপ্রিল) এ দুই মাস মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহণ ও বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার পরেও এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করছেন।

মন্তব্য

সুন্দরবন থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
সুন্দরবন থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন এলাকা থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে সুন্দরবনের মায়ের খাল এলাকা থেকে হরিণের মাংসসহ একটি নৌকা ও হরিণ ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এসব জানান। তবে এ সময় মাংস ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় শিকারিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, সকাল ১০টার দিকে নিয়মিত টহল শুরুর এক পর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে নদীর পাশ দিয়ে একটি ডিঙি নৌকা দেখতে পান তারা। নৌকাটি দেখে সন্দেহ হলে থামানোর সংকেত দিতেই নৌকায় থাকা লোকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত নৌকাটি তল্লাশি করে ৫০ কেজি হরিণের মাংস পাওয়া যায়।

উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুমতিক্রমে আদালত চত্বরে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

ভোলায় রকেট ফ্লেয়ার, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫ জলদস্যু আটক

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা প্রতিনিধি
শেয়ার
ভোলায় রকেট ফ্লেয়ার, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫ জলদস্যু আটক

ভোলার তজুমদ্দিনে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।  বুধবার (২৬ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার চর মোজাম্মেল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গোলা এবং ৪টি রকেট ফ্লেয়ার উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিফাত আহমেদ এসব তথ্য জানান।

আটককৃত জলদস্যুরা হলেন চর মোজাম্মেল এলাকার মো. হারুন দফাদার, রুবেল হোসেন, কবির মাঝি, মো. ইউনুস ও ফেরদৌস ওরফে হেজু।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিফাত আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কোস্ট গার্ড বিসিজি বেইস ভোলা কর্তৃক ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেল এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ জলদস্যু সালাউদ্দিন বাহিনীর ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ০৭টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ০৪ রাউন্ড গুলি ও ০৪টি রকেট ফ্লেয়ার উদ্ধার করা হয়।

আটক জলদস্যু ও জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তজুমদ্দিন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য
নরসিংদী

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিকে ধরল র‌্যাব

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী প্রতিনিধি
শেয়ার
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিকে ধরল র‌্যাব
সংগৃহীত ছবি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেনকে (৫০) আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মুড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব-১১-এর (সিপিএসসি) নরসিংদীর কম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আটক দেলোয়ার হোসেন পলাশ উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা।

 

র‌্যাব জানায়, ১০ মার্চ বিকেলে জয়নগর এলাকার হিমেল মিয়া ও তার সহযোগীরা ইজি বাইক ভাড়া নিয়ে ডাঙ্গা বাজারের দিকে যেতে চাইলে চালক যেতে রাজি হননি। পরে একই এলাকার মুকুল মিয়া তার অসুস্থ মাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে অনুরোধ করলে রাজি হন চালক। এ ঘটনায় হিমেল ক্ষিপ্ত হয়ে চালক ও মুকুলের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে মুকুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় হিমেল ও তার সহযোগীরা।

র‌্যাব আরো জানায়, এর জেরে ওই দিন রাত ৮টার দিকে ছুরি, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুকুলের বাড়িতে যায় হিমেল ও তার সহযোগীরা। মুকুল ঘর থেকে বের না হওয়ায় চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘটনা দেখতে আসেন প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রি আলম মিয়া ও তার ছেলে সুমন মিয়া। এ সময় তাদের মুকুলের লোকজন ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় হিমেলরা। পরে বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আলমকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। পরে নিহতের পরিবার বাদী হয়ে পলাশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ