সুন্দরবন থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
সুন্দরবন থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন এলাকা থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে সুন্দরবনের মায়ের খাল এলাকা থেকে হরিণের মাংসসহ একটি নৌকা ও হরিণ ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এসব জানান। তবে এ সময় মাংস ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় শিকারিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, সকাল ১০টার দিকে নিয়মিত টহল শুরুর এক পর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে নদীর পাশ দিয়ে একটি ডিঙি নৌকা দেখতে পান তারা। নৌকাটি দেখে সন্দেহ হলে থামানোর সংকেত দিতেই নৌকায় থাকা লোকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত নৌকাটি তল্লাশি করে ৫০ কেজি হরিণের মাংস পাওয়া যায়।

উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুমতিক্রমে আদালত চত্বরে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি : সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি : সারজিস
ছবি: কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। রবিবার (৩০ মার্চ) চেম্বার ভবনে জাতীয় নাগরিক পার্টি পঞ্চগড়ের আয়োজনে ইফতার মাহফিল শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, এবার ঈদ হবে অন্যরকম একটি ঈদ। এর আগের ঈদগুলোতে আওয়ামী লীগ থেকে একটি ন্যারিটিভ সেট করে দেওয়া হতো।

ঈদের যে আলাদা একটা ঐতিহ্য আছে সেই ঐতিহ্য নিয়ে ঈদ পালিত হতো না। আওয়ামী লীগের দেশে ও দেশের বাইরের কিছু এজেন্সি ও কিছু মানুষ একটা ন্যারিটিভ সেট করে দিত। ঈদের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ মোডিফাই করা হতো। 

এবারের ঈদের সবচেয়ে বড় স্পেশাল জায়গাটি হচ্ছে কেউ আপনাকে কোনো ন্যারিটিভ সেট করে দেবে না।

আপনি আপনার মতো করে ঈদটা পালন করতে পারবেন। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ শুধু তাদের মতো করে ঈদটা করতে পারত। অন্য সকল রাজনৈতিক দল মামলা হামলা এসবের ভয়ে কখনো পরিবারের সঙ্গে শান্তি মতো ঈদ করতে পারত না। নতুন এই বাংলাদেশ এবার এমন একটি স্বস্তির ঈদ উদযাপিত হবে যেখানে অনেকে এমন আছেন যারা ১৬ বছরে এই প্রথমবারের মতো পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন।
তাই এবার ঈদের অভিজ্ঞতা হবে নতুন নতুন। 

আমরা এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির স্বপ্ন মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। প্রত্যেকটি সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমরা মনে করি জনগণ রায়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে। 

অনলাইনে নির্বাচনের প্রচার ছিল সময়ের দাবি।

তবে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে কেউ সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যে তথ্য দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ায় মানুষের বিরুদ্ধে এমন কোনো তথ্য ছড়ায় যা তার সম্মানহানি করে বা বিভ্রান্তিকর তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত বিধি বিধান থাকতে হবে। এটা না থাকলে যে কেউ যেকোনো সময় মানুষকে হেনস্থা করতে পারবে। আমরা মনে করি একটি সুস্থ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারণা চলবে। কেউ আমার দলের নয় বলেই তার বিরোধীতা করতে হবে এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যদি সমালোচনার প্রয়োজন হয় তবে যেন আমরা যৌক্তিক সমালোচনা করি। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের নেতারা একজন আরেকজনের মুখ দর্শন করে না এমনও আছে। এই ট্যাবু ভাঙতে হবে। পারস্পরিক সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধ যত জোরদার হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার তত ভালো হবে।

পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থীতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা যে যেখানে আছি। দল গোছানোর কাজ করছি। আমি সংগঠক হিসেবে আমার এলাকায় কাজ করছি। কে কোন আসনে প্রার্থী হবে তা আমার দল নির্বাচনের আগে দলীয় ফোরাম ঠিক করবে। সেই ফোরাম যদি আমাকে পঞ্চগড়-১ আসনের জন্য নির্ধারণ করে সেটি বা যদি অন্য আসনের জন্য নির্ধারণ করে তবে সেটি। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য কে কোথায় নির্বাচন করবে সেটি নয় আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নকে জাতীয় নাগরিক পার্টির ব্যানারে সংগঠিত করা যাতে নতুন বাংলাদেশের জনগণের রায় নিয়ে আমরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। 

মন্তব্য

খুলনায় ঈদের রাতে চার স্থানে সন্ত্রাসী হামলা, তিনজন গুলিবিদ্ধ

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় ঈদের রাতে চার স্থানে সন্ত্রাসী হামলা, তিনজন গুলিবিদ্ধ
সংগৃহীত ছবি

রাতভর পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, ১০ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের রেশ কাটতে না কাটতেই খুলনায় ঈদের রাতে আবারো চার স্থানে সন্ত্রাসী হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটল।

রবিবার (৩০ মার্চ) রাতে এ চারটি ঘটনার মধ্যে দু’টি ঘটেছে নগরীর সদর থানাধীন রূপসা বেড়িবাঁধ ও কাস্টমঘাট এলাকায় এবং অপর দু’টি জেলার রূপসা উপজেলা এলাকায়। চারটি ঘটনায় মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন- নগরীর রূপসা নতুন বাজার এলাকার শাওন চৌধুরী (২৯), এক নম্বর কাস্টমঘাট এলাকার বাসিন্দা ও ট্রলি চালক শেখ ফরিদ (৩২) এবং রূপসা উপজেলার রামনগর বরফ কলের সামনের মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম (৩২)।

গুলিবিদ্ধ তিনজনকেই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সনোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে রূপসা বেড়িবাঁধ সড়কের বরফ কলের সামনে শাওন নামের এক যুবক বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শাওনের ডান হাতে লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

গুলির কারণ জানা যায়নি। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ শাওন কেএমপির সদর থানাধীন নতুন বাজার লঞ্চ ঘাটের পার্শ্ববর্তী তরিক গলির বাসিন্দা মো. শুকুর আলীর ছেলে।

এদিকে, রাতে নগরীর এক নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় মৃত শেখ আব্দুল মান্নানের ছেলে ট্রলিচালক শেখ ফরিদ (৩২) রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত স্থান থেকে তার পিঠের ডান দিকে গুলি লাগে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে, নগরীতে দু’জনের গুলিবিদ্ধের ঘটনা ছাড়াও জেলার রূপসা থানা এলাকার পৃথক দু’টি স্থানে একই রাতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান বলেন, পূর্ব রূপসার বাগমারা এলাকার বাসিন্দা রুবেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাগমারা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যাংকের মোড়ে আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। মাগরিবের নামাজের সময় হওয়ায় রুবেল ঘটনাক্রমে সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে বেঁচে যান। ওই সময় মুসল্লিদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় অস্ত্রধারীরা পিস্তল বের করলেও তাকে গুলি করতে পারেনি।

উপস্থিত জনতা বেশি থাকায় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলেও ওসি জানান।

অপরদিকে ওই মিশনে ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রধারীরা রূপসা উপজেলার রামনগর এলাকার কথিত মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রবিউল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশে গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার ঘাড়ে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ দু’টি ঘটনায় থানায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও ওসি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ ও নৌবাহিনী। এসময় প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। পরে সেখান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ ছাড়াও সেখান থেকে পুলিশ তিনটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি শটগান, শটগানের ২৩ রাউন্ড গুলি, দু’টি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, একটি হাসুয়া, দু’টি চাকু, চাটি মোবাইল ফোন এবং সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো খুলনার তিনটি স্থানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের রাতে এমন ঘটনা আরো উদ্বেগজনক বলেও অনেকে মনে করছেন।

মন্তব্য

যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো

বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো
ছবি: কালের কণ্ঠ

টিকিট কেটে উঠলেও ট্রেনে দায়িত্বরত ব্যক্তি ২০০ টাকা দাবি করেন। এতে অনীহা প্রকাশ করেন বৃদ্ধ যাত্রী ফুল মিয়া। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন ট্রেন কর্মচারী মো. কাউছার। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

শুরু হয় প্রতিবাদ। কর্মচারীর গ্রেপ্তার দাবি করা হয়। ঘোষণা দেওয়া হয় ট্রেন আটকে দেওয়ার। দল বেঁধে লোকজন জমা হতে থাকেন একটি স্টেশনে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। আসতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও)। শেষ পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি রেল কর্মচারী কাউছারকে বরখাস্ত করা হয়।

এভাবেই একটি সম্মিলিত প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে রবিবার। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটে এমন ঘটনা। মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের এ ঘটনা রেল অঙ্গন জুড়েও আলোচনার জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ এলাকার ফুল মিয়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আসছিলেন।

এ সময় ট্রেনে দায়িত্বরত কাউছার নামে এক ব্যক্তি তার কাছে ২০০ টাকা দাবি করেন। আসনবিহীন টিকিট থাকার পরও কেন টাকা দিতে হবে- এমন কথায় ক্ষেপে যান কাউছার। একপর্যায়ে বৃদ্ধকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ফুল মিয়ার কাছ থেকে একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে কসবা রেলওয়ে স্টেশনে লোকজন জড়ো হতে থাকে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে জোরালো দাবি জানানো হয়। অন্যথায় ট্রেন আটকে প্রতিবাদ করার কথা বলা হয়। 

এরই মধ্যে রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে আটক করেন। ফেসবুকে তাকে আটক করে রাখার ছবিও পোস্ট করা হয়। এরই মধ্য সেনাবাহিনী কসবা স্টেশনে ছুটে এসে কসবা স্টেশনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। ইউএনও এসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে বিকেল পৌনে ৪টা থেকে কসবার আগের স্টেশন মন্দবাগে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেনটিকে কসবায় প্রবেশ করানো হয়।

কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানার পর লোকজন স্টেশনে জড়ো হতে থাকে। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিত স্বাভাবিক করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ট্রেনটিকে মন্দবাগ স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।’

ইউএনও মো. সামিউল ইসলাম জানান, মহানগর এক্সপ্রেসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ওই রেল কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। পাশাপাশি তাকে আটক করা হয়েছে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মনিরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নতুন ইসলামপুর গ্রামের ফুরসাদ আলীর ছেলে।

পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৩০ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বনলতা আন্তঃনগর ট্রেনটি যাত্রী নামিয়ে ঈদের ছুটিতে রাজশাহী স্টেশনে ফেরৎ যাওয়ার জন্য প্লাটফর্ম ছাড়ার সময় ট্রেনের বগির নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল। ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর ১নং প্লাটফর্মের লাইনের ওপর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্টেশন মাস্টার-২ মো. আমানত উল্লাহ জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে ৭৯১ আপ বনলতা ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছে। এরপর ইঞ্জিন সান্টিং করে খালি ট্রেনটি (এম্পটি র‌্যাক) ফেরৎ যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। এর আগে নিহত ব্যক্তিকে স্টেশন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, মনিরুল একসময় প্রবাসে ছিলেন।

সেখানে কাজে সুবিধা করতে না পেরে দেশে এসে দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসাতেও লোকসান হলে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জিআরপি ফাঁড়ি ইনচার্জ আশিষ কুমার দাস বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি কিভাবে ঘটল বা এটি আত্মহত্যা কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ