ঘাটাইলে জনমনে ডাকাত আতঙ্ক

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঘাটাইলে জনমনে ডাকাত আতঙ্ক
জেলার মানচিত্র

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ডাকাত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত চার মাসে উপজেলার এলাকার সাতটি ইউনিয়নের ১০টি স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

কখনো বসতবাড়িতে ঢুকে দেশি অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে, আবার কখনো সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রাক বা বাস আটকিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল।

বাধা দিলে ডাকাতের মারধরের শিকার হচ্ছে অনেকেই। প্রতিনিয়ত এসব ঘটনার কারণে ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে এসব এলাকার সাধারণ মানুষ।

আরো পড়ুন
‘৫ আগস্ট কিছু না ঘটলে আমাকে আয়নাঘরেই মরতে হতো’

‘৫ আগস্ট কিছু না ঘটলে আমাকে আয়নাঘরেই মরতে হতো’

 

সর্বশেষ গত সোমবার উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদিঘী আঞ্চলিক সড়কের মালিরচালা এলাকায় তিনটি বনভোজনের বাসে ডাকাতি হয়। সড়কের পাশের গজারি বনের গাছ কেটে রাস্তা আটকিয়ে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ওই বাসে করে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা শিক্ষা সফরে নাটোর যাচ্ছিলেন।

ওই স্কুলের শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম রুবেল বলেন, ‘সোমবার শেষ রাতের দিকে আমরা ফুলবাড়িয়ার সোয়াইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ নাটোরের উদ্দেশে রওনা দিই। রাত ৩টার দিকে সাগরদিঘী বাজার পার মালিরচালা এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল আমাদের বনভোজনের তিনটি গাড়ির গতিরোধ করে। মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সব নিয়ে যায়।

’ 

আরো পড়ুন
জাতীয় নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য সংস্কার হতে হবে : জামায়াত আমির

জাতীয় নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য সংস্কার হতে হবে : জামায়াত আমির

 

এ ছাড়া গত ২১ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে মালবাহী একটি ট্রাকে, ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সাগরদীঘি-ঘাটাইল আঞ্চলিক সড়কে সন্ধানপুর ইউনিয়নে ফকিরচালা এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ১০টি যানবাহনে, ১০ ফেব্রুয়ারি ধলাপাড়া ইউনিয়নের শহরগোপীনপুর এলাকার মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে এবং গত ২৪ নভেম্বর লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বেইলা গ্রামে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ রকম আরো কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। 

ভুক্তভোগীরা জানান, নিরাপত্তাহীনতায় আছেন তাঁরা। ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটছে তাঁদের। সন্ধ্যা নামলেই ডাকাতির ভয়টা বেড়ে যায়।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, যেসব ঘটনা পুলিশের নজরে এসেছে, সেগুলোসহ সব ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আইনজীবী খুন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
শেয়ার
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আইনজীবী খুন
সংগৃহীত ছবি

মৌলভীবাজার জেলা বারের আইনজীবী শহরের হিলালপুর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন।

রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার কোট রোডস্থ পৌরসভার সামনে ফুসকার পাশে তাকে ছুরিকাহত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান।

তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সঠিক কারণ জানা যায়নি। তিনি আরো বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য

নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নতুন কমিটিতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব নজির আহমেদ ভূঁইয়াকে পুনরায় আহ্বায়ক করা হয়।

রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন ও সদস্য সচিব ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম নজির আহমেদ ভূঁইয়ার হাতে উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি হস্তান্তর করেন। উপজেলা কমিটিতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আফসার নয়নকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নাঙ্গলকোট পৌরসভা বিএনপি নতুন কমিটিতে আনোয়ার হোসেন মুকুলকে পুনরায় আহ্বায়ক ও  আব্দুল কাদের জিলানীকে পুনরায় সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মন্তব্য

খুলনায় আনন্দ মেলায় একজন ছুরিকাহত

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় আনন্দ মেলায় একজন ছুরিকাহত

খুলনা মহানগরীর জাতিসংঘ পার্কে চলমান ঈদ আনন্দ মেলাস্থলে পলাশ (১৮) নামের একজন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। তবে হামলার কারণ জানা যায়নি।

কেএমপির খুলনা থানার ওসি হাওলাদার হুসাইন মাসুম বলেন, রাত ৯টার দিকে জাতিসংঘ পার্কের মেলার রেলগাড়িরস্থলে সন্ত্রাসীরা পলাশের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার পেটের নাড়িভূড়ি বের হয়ে যায়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত পলাশ নগরীর সদর থানাধীন মতলেবের মোড়ের বাসিন্দা মো. আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত পয়লা এপ্রিল থেকে জাতিসংঘ পার্কে ঈদ আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে। যা আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা।

মন্তব্য

মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে গালিগালাজ, যুবদলের দুই নেতা বহিষ্কার

সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে গালিগালাজ, যুবদলের দুই নেতা বহিষ্কার
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও শফিকুল ইসলাম

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দুই যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল। একটি মারামারি মামলার এজহারভুক্ত আসামিকে ছাড়াতে মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পুলিশের সঙ্গে অসাদাচারণ ও গালিগালাজ করার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার হয়। 

রবিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া।

বহিষ্কৃতরা হলেন- সিংগাইর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সরকার (জীবন) ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম (২৫)।

বিজ্ঞপ্তিতিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন অনুমোদন করেছেন।

এ ছাড়া বহিষ্কৃতদের কোনো কর্মকাণ্ডের দায় দল বহন করবে না বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি যুবদলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে একটি মারামারি মামলার এজহারভুক্ত এক আসামিকে ছাড়াতে মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পুলিশের সঙ্গে অসাদাচারণের অভিযোগে দুই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় রবিবার সকালে তাদের দুজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান তারা।

সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ শেখর ঘোষ জানান, শনিবার একটি মারামারির মামলায় আরিফ নামে এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খবর পেয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে মদ্যপ অবস্থায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলামসহ ৭/৮ জন লোক থানায় এসে আরিফকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। ছেড়ে দিতে অপারাগতা প্রকাশ করলে শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও শফিকুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ