সাভারে ট্যানারি শ্রমিকদের মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে ট্যানারি শ্রমিকদের মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত বিসিক চামড়া শিল্প নগরীতে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে ট্যানারি শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১১টা পর্যন্ত ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

শ্রমিকরা জানান, অন্যান্য সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার পরপরই তা বাস্তবায়ন হলেও ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি এখনো কার্যকর হয়নি। মালিকপক্ষ নানা টালবাহানায় সময় ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ তাদের।

এ কারণে তারা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন।

সরকার ঘোষিত ৫টি গ্রেডের মজুরি হলো: গ্রেড ১: ৩৪,১৬৮ টাকা, গ্রেড ২: ২৮,৩৮৮ টাকা, গ্রেড ৩: ২৪,০০২ টাকা, গ্রেড ৪: ২০,৯৯৩ টাকা এবং গ্রেড ৫: ১৮,০০১ টাকা।

শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি কারখানায় শ্রম আইন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যক্রম স্বচ্ছ ও জোরদার করা, স্থায়ী কাজে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা, মধ্যস্বত্বভোগী ও বেআইনি কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ শ্রমিক চাটাই ও টারমিনেশন বন্ধ করা, শ্রমিকদের জন্য ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন, স্বল্পমূল্যে ক্যান্টিন ও আবাসন ব্যবস্থা চালু করা, নারী শ্রমিকদের জন্য প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ মোতাবেক শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করা এবং ট্যানারি শিল্পে কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা।

কর্মবিরতির কারণে সকাল থেকে চামড়া শিল্প নগরীর কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ ছিল।

শ্রমিকরা সতর্ক করে বলেছেন, দাবি না মানলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোহনপুরের বিলে পড়ে ছিল মস্তকবিহীন লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
মোহনপুরের বিলে পড়ে ছিল মস্তকবিহীন লাশ

রাজশাহীর মোহনপুরে সইপাড়া এলাকায় বিলকুমারী বিলের ডোবা থেকে মস্তকবিহীন একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার ভোরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি গত ৯ মার্চ রাতে নিজ জমিতে সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ সইপাড়া গ্রামের আলতাফ (৫২) হোসেনের। এর আগে দেহবিহীন তাঁর মস্তক উদ্ধার করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান, আলতাফকে হত্যা করে লাশটি সেখানে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তবে স্থানীয়রা আজ রবিবার দুপুরে ওই ডোবায় লাশটি দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশের একটি টিম ও সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে।

আরো পড়ুন

আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেই বাড়ি ফিরব : শরীফ উসমান হাদী

আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেই বাড়ি ফিরব : শরীফ উসমান হাদী

 

এদিকে গত ৯ মার্চের পর সইপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের প্রতিবেশী রুস্তমের ছেলে শরিফুল ও রাসেল এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

 

আরো পড়ুন

করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখে উন্নীত করার প্রস্তাব দিল সিপিডি

করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখে উন্নীত করার প্রস্তাব দিল সিপিডি

 

মোহনপুর থানার ওসি আতউর রহমান জানান, ‘পারিবারিক কলহের জেরে আলতাফ হোসেনকে খুন করা হয়। এর আগে, তার দেহবিহীন মাথা উদ্ধার করা হয় বিল থেকে। আজ রবিবার বিলকুমারী বিল থেকে যে দেহটি উদ্ধার করা হলো, সেটি আলতাফ হোসেনের বলেই ধারণা করা হচ্ছে।’

মন্তব্য

২ শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
২ শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
প্রতীকী ছবি

যশোরের কেশবপুরে দুই শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

হামিদ সুফলাকাটি ইউনিয়নের আডুয়া গ্রামের বাসিন্দা

পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুই শিশুকে (৭) বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন হামিদ। পরে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে এ কথা জানায় তারা।

এ ঘটনা জানাজানি হলে হামিদকে ধরে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনা উল্লেখ করে এক শিশুর মা হামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

মন্তব্য

বাহুবলে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
বাহুবলে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর তাজুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি মারুফ মিয়াকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে করাঙ্গী ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার মারুফ মিয়া দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।

র‌্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, র‌্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল মারুফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।

তাকে বাহুবল থানায় হস্তান্তর করা হলে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

মন্তব্য

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আলু নিয়ে গেলেন স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক লীগের নেতারা

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আলু নিয়ে গেলেন স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক লীগের নেতারা
ছবি : কালের কণ্ঠ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আদালতের জারি করা ১৪৪ ধারা অমান্য করে কৃষকদের মালিকানাধীন জমির ফসল (আলু) তুলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার (১৫ মার্চ) হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর এলাকায় এ কাজ করেন তারা।  

এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ সময় ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানান ভুক্তভোগী কৃষকরা।

তখন পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ফারুক আহমদ পান্না জড়িতদের মদদ দিচ্ছেন। 

স্থানীয় সূত্র ও থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর গ্রামে বাড়উগাঁও মৌজায় বিভিন্ন দাগে দুই একর কৃষিজমি চাষ করেন কৃষক মুহিবুর রহমান, নাইওর মিয়া, আব্দুল বাছিত বাচ্চু, আব্দুল গফুর, আব্দুস শহীদ, আব্দুল মন্নান, আব্দুল আজিজ, ফয়সল মিয়া গং। তাদের কৃষিজমি থেকে কয়েক দফায় ফসল (আলু) তুলে নিয়ে যান হরিচক গ্রামের বাসিন্দা, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান (৩৫), দুই নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খালিস মিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কয়ছর মিয়া (৪০)।

তাদের নেতৃত্বে সহযোগী শাহিন মিয়া, আব্দুস সালাম সুরুজ, আব্দুর রশীদ, ছবদর আলী, আকমল ও ওয়াজিদ গং ছিল। 

এ ঘটনায় ভূমি দখলের অভিযোগ এনে ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষক মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে ফজলুর গংয়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় আদেশ অনুযায়ী উভয় পক্ষকে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুহিত মিয়া ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ফজলুর ও কয়ছর গং শনিবার সকালে মুহিবুর গংদের কৃষিজমিতে জোরপূর্বক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে কয়েক লাখ টাকার আলু তুলে নিয়ে যান।

 

১১ মার্চ দুপুরে ফজলুর গং লুৎফুর রহমান সুমনসহ স্থানীয় কৃষকদের মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি কেটে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন লুৎফুর। 

পরে ফজলুর গংয়ের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ করেন লুৎফর। অন্যদিকে অবাধে মাটি কাটা ও কৃষিজমি থেকে ফসল আলু তোলার বিষয়ে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় মুহিবুর ছেলে মাহবুব হোসাইন (৩০) আহত হন।

মুহিবুর রহমান, নাইওর মিয়া, লুৎফুর রহমানসহ আরো অনেক কৃষক বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের দোসর ফজলুর ও কয়ছর গং আমাদের মৌরসি জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মনু নদীর চর এলাকায় আমাদের জমিতে আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করি।

জমি থেকে ফসল উত্তোলনের সময় আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাধা দেয় তারা। ওই ঘটনায় কুলাউড়া থানা ও আদালতে মামলা করি। পরে আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা ফসলিজমি থেকে প্রায় ৪০০ মণ আলু তুলে নিয়ে যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের হাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা পান্না প্রতিপক্ষকে মদদ দিচ্ছেন।’ 

ফজলুরকে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে কয়ছর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কেন কৃষকদের জমি থেকে আলু তুলব এবং মাটি বিক্রি করব। ঠিকাদার মাটি আনছে ডিসি খতিয়ানের জমি থেকে এবং কিছু মাটি কৃষকদের টাকা দিয়ে আনছে।’ 

অভিযোগ অস্বীকার করে পান্না বলেন, ‘আসন্ন হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা কৃষকদের জমি থেকে ফসল ও মাটি কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলেছি।' 

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার বলেন, ঠিকাদার যদি কৃষকদের জমি থেকে ক্ষতিপূরণ ছাড়া মাটি নিয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর কৃষকের জমির মালিকানা থাকলে তাকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুহিত মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ থাকায় আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারার নোটিশ দিয়েছি। নোটিশ ভঙ্গকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।  

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করে কৃষকদের জমি থেকে ফসল তোলার অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, কৃষকদের মালিকানাধীন জমি থেকে এভাবে কেউ মাটি কেটে নিতে পারবে না। কৃষকদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ